নগরীতে অন্য পণ্য না কিনলে মিলছে না সয়াবিন তেল!

29

স্টাফ রিপোর্টার :
দেশে এক লাফে সয়াবিন তেলের লিটারের দাম পৌঁছেছে ১৯৮ টাকায়। দাম বাড়লেও তেলের কোনো সংকট তৈরি হয়নি কোথাও। তবু সিলেটসহ সারা দেশে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী হাজার হাজার লিটার সয়াবিন তেল মজুদ করে তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।
খবর পেয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর জরিমানা করলেও থামানো যাচ্ছে না অবৈধ মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদের। সর্বশেষ পাওয়া তথ্যমতে- গতকাল সোমবার দোকানে বা ব্যবসায়ীদের সরবরাহ করা হচ্ছে না দাম বাড়া এ ভোজ্যতেলের।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন- তেল সরবরাহ না করায় তাঁদের কাছে তেল সংকট। খুচরা ব্যবসায়ী ও ভুক্তভোগিদের অভিযোগ- দাম বাড়ার কারণে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে তেল কোম্পানিগুলো। অধিক মুনাফায় বিক্রির অসাধু ইচ্ছা কোম্পানিগুলোর।
এদিকে, তেলের কৃত্রিম সংকটের কারণে দোকানিরা ক্রেতাদের কাছে শুধু সয়বিন তেল বিক্রি করছেন না। সঙ্গে অন্যান্য দ্রব্য কিনে নেওয়ার শর্ত জুড়ে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
নগরীর শিবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সুবহান। তিনি গত রবিবার রাতে গিয়েছিলেন স্থানীয় একটি মুদির দোকানে সয়াবিন তেল কিনতে। কিন্তু তেল থাকার পরও দোকানি তেল দেননি বলে অভিযোগ করেন তিনি। কয়েকটি দোকান ঘুরে তিনি শুধু সয়াবিন তেল কিনতে পারেননি। তাঁকে বলা হয়, অন্য আরও দু-চারটি পণ্য না কিনলে শুধু তেল তারা বিক্রি করবেন না। এ নিয়ে তিনি ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করার কথা বললে এক দোকানি ভয় পেয়ে তার কাছে ২ লিটার তেল বিক্রি করেন।
এ বিষয়ে দোকানিরা বলছেন- সয়াবিন তেলের সরবরাহের ঘাটতির কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। তেল সরবরাহকারী সব প্রতিষ্ঠানেরই অন্য মালামাল রয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানগুলো তেল নিতে হলে ব্যবসায়ীদের তেলের পাশাপাশি অন্য মালামাল বুঝিয়ে দিচ্ছেন। এ কারণে দোকানিরাও বাধ্য হয়ে ক্রেতাদের তেলের সঙ্গে অন্য মালামাল কেনার শর্ত দিচ্ছেন।
নগরীর মির্জাজাঙ্গাল, মাছুদিঘীর পাড়, লামাবাজার, তালতলা, রিকাবীবাজার, মদিনা মার্কেট, জিন্দাবাজার, জল্লারপার, আম্বরখানা, শিবগঞ্জ, বারুতখানা এলাকার বিভিন্ন দোকানে ঘুরে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
দোকানদাররা জানান, রমজানের মাঝামাঝি থেকে তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর আগে থেকে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে তেল নিতে হলে একই প্রতিষ্ঠানের আটা, ময়দা, সুজিসহ অন্য মালামাল নিতে হয়েছে। এখন ঈদের পর বর্ধিত দাম হওয়ায় বাজারে তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। নতুন করে সরবরাহ করা হচ্ছে না। পাইকারি বাজারে গিয়ে অনেক ব্যবসায়ী তেলের সঙ্গে অন্য মালামাল কিনে নিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছেন। এ জন্য তাঁরাও তেলের সঙ্গে অন্য মালামাল বিক্রির শর্ত জুড়ে দিচ্ছেন।