স্টাফ রিপোর্টার :
যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সিলেটে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে মহান আল্লাহর ক্ষমা ও অনুগ্রহ লাভের আশায় মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর এই আনন্দ আয়োজনে শামিল হন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
সিলেটে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত ঐতিহাসিক শাহী ঈদগাহ ময়দানে সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ইমামতি করেন আল্লামা মুফতি রশিদুর রহমান ফারুক (বরুণী)। হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ মাজার মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায়। নামাজের আগে বয়ান পেশ করেন দরগাহ মাদরাসার শায়খুল হাদিস মুফতি মুহিব্বুল হক গাছবাড়ী। নামাজে ইমামতি করেন হাফিজ মাওলানা আসজাদ আহমদ। আন্জুমানে খেদমতে কুরআন সিলেট-এর উদ্যোগে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সিলেট সরকারী আলীয়া মাদরাসা মাঠে ঈদের জামাত সকাল ৮ টায় অনুষ্ঠিত হয়। জামায়াতে ইমামতি করেন বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা আব্দুস সালাম-আল মাদানী । জামাতে মহিলাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও ছিলো। সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গনে ঈদুল ফিতরের জামাত সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন বন্দরবাজার কালেক্টরেট জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফিজ মাওলানা শাহ আলম। বন্দরবাজার কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে মোট ৩টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে সকাল সাড়ে ৭টায় প্রথমটি, সাড়ে ৮টায় দ্বিতীয়টি ও সকাল সাড়ে ৯টায় তৃতীয়টি অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া পুলিশ লাইন্স জামে মসজিদ, টিলাগড় মাদানী ঈদগাহ, জিন্দাবাজার বায়তুল আমান জামে মসজিদ, রেজিস্টারি মাঠ, সিলেট জর্জ কোর্ট জামে মসজিদ, মদিনা মার্কেট জামে মসজিদসহ নগরীর ৪শ’ ৪৪টি স্থানে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের জামাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগরীতে নিরাপত্তা জোরদার ছিলো। কোথাও কোন অঘটনের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে ঈদের নামাজের পরপরই শুরু হয় নগরীতে বৃষ্ঠিপাত। এদিন বিশেষ কাজ ছাড়া অনেকেই ঘর থেকে বের হতে দেখা যায়নি।