স্মার্টকার্ডে ঠিকানা অসম্পূর্ণ থাকলে প্রিন্ট হবে না

5

কাজিরবাজার ডেস্ক :
ঠিকানা অসম্পূর্ণ থাকলে নাগরিকদের স্মার্টকার্ড প্রিন্ট হবে না। যে তথ্যটি দেওয়া হয়নি, সেটি যুক্ত করলেই কেবল সমস্যাটির সমাধান হবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একটি স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের মাধ্যমে কার্ডের ভেতর নাগরিকদের তথ্য সন্নিবেশ করা হয়। এক্ষেত্রে সফটওয়্যারে তথ্যের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে। কোনো ব্যক্তির এনআইডি তথ্যে বা ভোটার হওয়ার ফরমে ওই নির্দিষ্ট সংখ্যক তথ্যের ঘাটতি থাকলে তার ক্ষেত্রে ‘ডাটা নট ফাউন্ড’ দেখায়। স্মার্টকার্ড উৎপাদনের শুরুর দিকে ১৮টি তথ্য সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। এতে বিরাট সংখ্যক নাগরিকের স্মার্টকার্ড প্রিন্ট করা যাচ্ছিল না, তথ্যে ঘাটতি থাকার কারণে। পরবর্তীতে সেই সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়। এতেও অনেকের কার্ড প্রিন্ট হচ্ছে না। দেখাচ্ছে ডাটা নট ফাউন্ড। আর এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি তথ্যের ঘাটতি রয়েছে ঠিকানায়। বিশেষ করে উপজেলার নাম নেই অনেকের। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নাগরিক আবেদন করলেই কেবল সমস্যার সামাধান পাবেন।
এ বিষয়ে ইসির এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ুন কবীর জানান, সাধারণত, ভোটারের বর্তমান অথবা স্থায়ী ঠিকানার কোনো প্যারামিটার (যেমন-ইউনিয়ন, ওয়ার্ড নং, মৌজা, পোস্টকোড ইত্যাদি) ভোটার নিবন্ধনকালে অসম্পূর্ণ থাকার কারণে স্মার্টকার্ড মুদ্রণের বেলায়  data Not Found  হয়ে থাকে।
মাঠ পর্যায় থেকে নির্ধারিত ফরমে এ সংক্রান্ত আবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে এনআইডি উইং থেকে  data complete  করে কারিগরি অধিশাখার সহায়তায় update  করা হয়। সম্প্রতি এ বিশেষ কাজের জন্য এনআইডি উইং এর তিনজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
২০০৭-২০০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা কার্যক্রম হাতে নেয় নির্বাচন কমিশন। সেই সময় ৯ কোটি ভোটারের ডাটাবেজ তৈরি করা হয়। এরপর ২০১১ সালে এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় আইডিইএ প্রকল্পটি হাতে নেয়। যে প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১৬ সাল থেকে শুরু হয় স্মার্টকার্ড বিতরণ। পরবর্তীতে প্রকল্পটি শেষ হলে ২০২১ সালে হাতে নেওয়া হয় আইডিইএ-২ নামের একটি নতুন প্রকল্প। এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে সরকারি তহবিল থেকে। ২০২৫ সালের মধ্যে প্রায় ১৫ কোটি নাগরিককে এর আওতায় দেওয়া হবে স্মার্টকার্ড।
স্মার্টকার্ড বিতরণ শুরুর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ছয় কোটির মতো স্মার্টকার্ড প্রিন্ট করেছে ইসি। এদের মধ্যে সাড়ে পাঁচ কোটির মতো স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হয়েছে। দেশে বর্তমানে ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন ভোটার রয়েছে। এরমধ্যে ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ২৭ জন নারী ভোটার। এবং হিজড়া ভোটার আছেন ৪৫৪ জন।