জালালাবাদ গ্যাস টি এন্ড ডি সিস্টেম লি: (জেজিটিভিএসএল) এর স্টাফ হাউজিং কমপ্লেক্সের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও স্টাফ কোয়াটার জামে মসজিদ এর সম্প্রসারণের স্থানে বিনা অনুমতিতে সিলেট সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক গভীর নলকূপ ও পাম্প হাউজ এর নির্মাণ কাজ বন্ধকরণ এবং স্থানীয় কাউন্সিলর তৌহিদের বিরুদ্ধে সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেছেন জালালাবাদ গ্যাস টি এ্যান্ড ডি সিস্টেম লি: (জেজিটিভিএসএল) এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সোমবার (২৮ মার্চ) জালালাবাদ গ্যাস টি এ্যান্ড ডি সিস্টেম লি: (জেজিটিভিএসএল) এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সিলেটের জেলা প্রসাশকের বরাবরে আবেদনে বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন জালালাবাদ গ্যাস টি এ্যান্ড ডি সিস্টেম লি: (জেজিটিভিএসএল) এর বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত রয়েছি। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১৯ নং ওয়ার্ডের আওতাভুত্ত রায়নগর এলাকায় জালালাবাদ গ্যাসের স্টাফ হাউজিং কমপ্লেস অবস্থিত।
উক্ত হাউজিং কমপ্লেক্সের সম্মুখভাগের সীমানা প্রাচীর সিলেট সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক প্রায় ৫ মাস পূর্বে ভেঙ্গে হাউজিং কমপ্লেক্সের ৩ ফুট করে জায়গা নিয়ে রাস্তা সম্প্রসারণ করা হয়। হাউজিং কমপ্লেক্সের উত্তর পশ্চিম পার্শ্বে অবস্থিত স্টাফ হাউজিং কমপ্লেক্সের জামে মসজিদ এর পিছনে মসজিদ সম্প্রসারণের জন্য নির্ধারিত জায়গায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ/পেট্রোবাংলা/জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের কোনো প্রকার অনুমোদন গ্রহণ না করে সিলেট সিটি কর্পোরেশন এর ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসএম শওকত আমীন তৌহিদ কর্তৃক ভূমি দখল করে গভীর নলকূপ ও পাম্প হাউজ নির্মাণের উদ্যেগ গ্রহণ করেছেন। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নলকূপ স্থাপন ও টেস্ট বোরিং কাজ বন্ধ রাখার জন্য সিলেট সিটি কর্পোরেশন মেয়র বরাবরে পত্র প্রদান করা হলেও কোনো উদ্যেগ গ্রহণ করা হয়নি।
সিটি মেয়র ও ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নলকূপের কাজ বন্ধ ও হাউজিং কমপ্লেক্সের সম্মুখভাগের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য অনুরোধ করা হলেও তারা কর্তপাত করেন নি।
জালালাবাদ গ্যাসের রায়নগর স্টাফ হাউজিং কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে ২ ইউনিটের ৫তলা ৮ টি ভবনে পরিবার পরিজন নিয়ে প্রায় ৭০০-৮০০ জন লোক বসবাস করেন। সীমানা প্রাচীর না থাকায় কোয়ার্টার হতে বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রি, মোটর সাইকেল, বাইসেকল চুরি হচ্ছে। ফলে বসবাসকারীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, রাস্তা সম্প্রসারণ কাজের জন্য স্টাফ হাউজিং কমপ্লেক্সের সামনেও পিছনের অন্যান্য সকল স্থাপনার সীমানা প্রাচীর সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক ইতিমধ্যে নির্মিত হলেও জালালাবাদ গ্যাসের রায়নগর স্টাফ হাউজিং কমপ্লেক্সের সীমানা প্রাচীর অদ্যবধি নির্মিত হয়নি।
জালালাবাদ গ্যাসের রায়নগর স্টাফ হাউজিং কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাসকারী ৭০০-৮০০ জন সদস্যদের পানি সরবরাহের জন্য কোম্পানি কর্তৃক ১টি গভীর নলকূপ স্থাপন আছে, যা বর্তমানে সিলেট সিটি কর্পোরেশন প্রস্তাবিত নলকূপ স্থাপনের ১০০ ফুটের মধ্যে। উক্ত স্থানে গভীর নলকূপ স্থাপন করা হলে কোয়র্টারে বসবাসকারীদের চরম পানির সমস্যা সৃষ্টি হবে।
জালালাবাদ গ্যাসের রায়নগর স্টাফ হাউজিং কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে অবস্থিত জামে মসজিদ হাউজিং কমপ্লেক্সে ও আশেপাশে বসবাসকারীগণ নামাজ আদায় করে থাকেন। মসজিদে মুসল্লিদের স্থান সংকুলান না হওয়াায় মসজিদ সম্প্রসারণের উদ্যেগ কোম্পানি কর্তৃক গ্রহণ করা হয়েছে। বর্ণিত বিষয়সমূহ স্থানীয় ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এন.এম শওকত আমীন তৌহিদ কে অবহিত করা হলেও তিনি তা কর্তপাত না করে মসজিদের জায়গা নলকূপ স্থাপনের মালামাল এনে দখল করে রেখেছেন।
জালালাবাদ গ্যাসের রায়নগর স্টাফ হাউজিং কমপ্লেক্সের বসবাসকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য দ্রুত সীমানা প্রাচীর নির্মাণ এবং মসজিদ সম্প্রসারণ কাজের জায়গায় গভীর নলকূপ ও পাম্প হাউজ নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য জালালাবাদ গ্যাসের সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ মানবন্ধন করেছেন। যা ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
জালালাবাদ গ্যাসের রায়নগর স্টাফ হাউজিং কমপ্লেক্সের বসবাসকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য দ্রুত সীমানা প্রাচীর নির্মাণ এবং হাউজিং কমপ্লেক্সের মসজিদ সম্প্রসারণ নির্ধারিত জায়গায় গভীর নলকূপ ও পাম্প হাউজ নির্মাণ কাজ স্থগিত করার আবেদন করেছেন জালালাবাদ গ্যাসের সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ ।
জালালাবাদ গ্যাস এমপ্লীয়জ ইউনিয়ন (রেজি নং- চট্ট-২৫২০ জাতীয় শ্রমীক লীগের অন্তর্ভুক্ত) মো: আব্দুর রহমান বলেন, আমরা বাধ্য হয়ে নিরাপত্তা চেয়ে জেলা প্রশাসকের বরাবরে আবেদন করেছি। বিজ্ঞপ্তি