স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল রবিবার আলিয়া মাদরাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু কেন্দ্রের নির্দেশে সে সম্মেলন ও কাউন্সিল স্থগিত করা হয়েছে।
সে নির্দেশের পরই সম্মেলনস্থলের শামিয়ানা ও বাঁশ খুলে ফেলার কাজ শুরু হয়। রবিবার বিকেল ৩টার দিকে সমাবেশস্থল (আলিয়া মাদরাসা মাঠ) পরিদর্শনে যান সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও জেলা বিএনপির সভাপতি পদপ্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। এ সময় তাঁর সামনেই একজনকে চোর সন্দেহে গণপিটুনি দিতে শুরু করেন আলিয়া মাঠে খেলতে আসা কিশোর-তরুণরা।
জানা যায়, আলিয়া মাঠে খেলতে আসা কিশোর-তরুণরা তাদের ব্যাগ মাঠের একপাশে রেখে খেলায় মেতে ওঠেন। সেসব ব্যাগে তাদের মোবাইল ফোন ও টাকা-পয়সা থাকে। গত কিছুদিন থেকে এক কিশোরের নজর সেই ব্যাগগুলোর উপর পড়েছে। খেলার দর্শকের ভূমিকায় এসে এভাবে রাখা একটি ব্যাগ থেকে একজনের মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে পালাতে যায়। তবে কয়েকজন বিষয়টি দেখে ফেলেন এবং তাকে আটক করে মারধর শুরু করেন। কিন্তু ওই কিশোর মোবাইল নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করে। এসময় বিষয়টি নজরে আসে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর। তিনি এসময় মারধর থামান এবং বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে অভিযুক্ত কিশোর ও মারধরকারীদের স্থানীয় কাউন্সিলর কার্যালয়ে পাঠান।
দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল স্থগিতের বিষয়ে জেলা বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান এডভোকেট আব্দুল গাফফার বলেন, ‘আমিও এমন বিষয় শুনছি। তবে এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি।
তবে সম্মেলন স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার। তিনি বলেন, ‘সম্মেলন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।’