গণপরিবহনে নিরাপত্তা

8

গণপরিবহনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নতুন উদ্যোগে আসছে ‘প্যানিক বাটন’। যাত্রীবাহী বাস কিংবা যে কোন গণপরিবহন থেকে এই বাটন টিপে যাত্রীরা পাবেন নিরাপত্তা। বিশে^র বিভিন্ন দেশে যাত্রীদের নিরাপত্তায় চালু রয়েছে এই ব্যবস্থা। পুলিশের উদ্যোগে এবার বাংলাদেশেও ব্যবহৃত হবে এই প্রযুক্তি। গণপরিহনের নিরাপত্তার বিষয়টি বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে রাতে দূরপাল্লার গণপরিবহনগুলো অনেকটা নিরাপত্তাহীনভাবেই চলাচল করছে। রাস্তায় ব্যারিকেড তৈরি করে যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে ডাকাতি করলে কারও কিছু করার থাকে না। গণপরিহনের নিজস্ব নিরাপত্তা বলতে কিছু নেই। এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা বলতে হাইওয়ে পুলিশের টহল। দেশের সকল সড়কের সবখানে এই টহল পর্যাপ্ত নয়। এ কারণে মাঝে মধ্যেই ঘটে চলেছে ডাকাতিসহ নানা দুর্ঘটনা। এসব ক্ষেত্রে যাত্রী বা বাসচালকের কিছুই করার থাকে না।
এই প্রযুক্তিতে বাস বা যে কোন গণপরিবহনে একটি সঙ্কেত পাঠানোর ডিজিটাল ডিভাইস প্রতিস্থাপন করা হবে। বাসের একটি নির্দিষ্ট স্থানে থাকবে একটি বাটন। ডাকাতের হামলা কিংবা যে কোন ধরনের বিপদে যাত্রী কিংবা চালক এই বাটন চাপতে পারবেন। বাটন চাপার সঙ্গে সঙ্গে ডিভাইসের মাধ্যমে তিনটি বার্তা যাবে। একটি যাবে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ ডিভাইসে। দ্বিতীয় বার্তাটিতে যাবে বাসটির জিপিআরএস লোকেশনে, যার মাধ্যমে পুলিশ দ্রুত বাসের অবস্থান নির্ণয় করতে পারবে এবং সহযোগিতার জন্য দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবে। তৃতীয় বার্তাটি পাবেন বাসের মালিক বা পরিচালক। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে রাতে আন্তঃজেলা কোচগুলোতে এই প্রযুক্তি চালু হবে। যাত্রী হয়রানি বন্ধ করার লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে সকল গণপরিবহনেই এটি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
যাত্রীদের নিরাপত্তায় এটি খুব ভাল উদ্যোগ অবশ্যই। প্রতিটি গণপরিবহনে এই প্রযুক্তির সংযুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। জোরদার করতে হবে মনিটরিং ব্যবস্থা। আধুনিক এই প্রযুক্তিতে সড়কে চলাচলকারী প্রতিটি যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, এটিই সকলের প্রত্যাশা।