সিলেট নগরীর শেখঘাট খুলিয়াপাড়ায় সিসিকের মালিকানাধীন প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের ৪০ শতক ভূমি উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার ( ২১ জুলাই ) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সিসিকের কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিপূল সংখ্যক পুলিশ নিয়ে প্রায় ৭২ বছর থেকে দখলে থাকা সিসিকের এই জমি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করে জমির চার পাশে দেয়াল ও সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে।
সিসিক সূত্র জানায়, নগরীর ১৩ নং ওয়ার্ডের শেখঘাট খুলিয়াপাড়া মিউনিসিপালিটি মৌজার জে এল নং- ৯১ এর ৩৭৫১ ও ৩৭৫২ নং দাগে মোট ৩৯.৮৫ শতক জমির মালিক সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)।
১৯৪৭ ইংরেজীতে তৎক্ষালিত মিউনিসিপালিটি কর্তৃপক্ষ ঐ এলাকার জনৈক এক ব্যক্তিকে শর্ত সাপেক্ষে লীজ প্রদান করে। এর পর থেকেই মূল্যবান এই ভূমি সিসিকের হাত ছাড়া হয়ে যায়।
বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর নগরবাসীকে দেয়া প্রতিশ্র“তি অনুযায়ী ছড়া, নালা, খাল, রাস্তা প্রশস্থকরণ, যানজট নিরসন, হকার উচ্ছেদ, সরকারী ও সিটি কর্পোরেশনের জমি উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন। এতে অনেকটা সফলও হন তিনি। এরই ধারাবাহীকতায় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নগরীর শেখঘাট খুলিয়াপাড়া এলাকায় দখল হয়ে যাওয়া সিসিকের মূল্যবান জমি উদ্ধারে আদালতের শরণাপন্ন হন। আদালতের রায় সিসিকের পক্ষে আসলে রবিবার দুপুরে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সিসিকের কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিপুল সংখ্যক পুলিশ নিয়ে এই জমি উদ্ধার করেন।
উদ্ধার অভিযান শেষে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, ‘সিসিকের মালিকানাধীন ৩৯.৮৫ শতক জমি স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালীদের দখলে ছিল। জমি দখল করে তারা এখানে ঘর-বাড়ি, দোকানপাট নির্মাণ করে। গত প্রায় এক বছর থেকে দখলে নেয়া সিসিকের জমি ছাড়তে দখলদারদের বার বার নোটিশ দিলেও তাতে কোন কাজ না হওয়ায় এ অভিযান চালানো হয় বলে জানান তিনি’। তিনি জানান, ‘নগরীর অন্যান্য এলাকায়ও সরকারী ও সিসিকের জমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা সহ জমি উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে’।
অভিযানে সিসিকের ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীম, আজাদুর রহমান আজাদ, সিকন্দর আলী, রকিবুল ইসলাম ঝলক, ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ, আফতাব হোসেন খান, রাশেদ আহমদ, শাহনা বেগম শানু, সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা হানিফুর রহমান সহ সিসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নগরীর চৌহাট্টা, রিকাবীবাজার এলাকায় গড়ে ওঠা অবৈধ মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড অপসারণ করেন। এসময় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদ, উপ পুলিশ কমিশনার নিকুলিন চাকমা, অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার জ্যোতির্ময় সরকার, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হাবিবুর রহমান, বি আমিন সহ বিপূল সংখ্যক পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি