সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১১নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত লালাদীঘির চতুর দিকে বেষ্টনি না দেওয়ার দাবি জানিয়ে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন ১১নং ওয়ার্ড এলাকাবাসী। সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টায় মেয়রের কাছে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
স্মারকলিপিতে এলাকাবাসী উল্লেখ করেন, ১১ নং ওয়ার্ডের অর্ন্তগত লালাদীঘি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন একমাত্র বৃহৎ দীঘি। এই দীঘিতে দীর্ঘদিন যাবত মাছ চাষ অব্যাহত আছে এবং দীঘির জল বিভিন্ন কাজে আমরা ব্যবহার করে আসছি। নির্ভরযোগ্য সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি সিলেট সিটি কর্পোরেশন দীঘির চতুর্দিকে এস. এস পাইপ দ্বারা বেষ্টনি ও সজ্জিত করণের পরিকল্পনা করেছে। উল্লেখ্য দীঘির পার একটি আবাসিক এলাকা। এখানে দুটি মসজিদ ও একটি মাদ্রাসা আছে। দীঘির চতুর পারে এস. এস পাইপের বেষ্টনি ও সজ্জিত করণ হলে পার্শ্ববর্তী কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও বহিরাগত মানুষের অবাদ বিচরণ ঘটতে পারে। যার দরুন পর্দাশীল মহিলা এবং মাদ্রাসার কোমলমতি ছাত্র ধর্মপ্রাণ মুসল্লিসহ এলাকাবাসী বিভিন্ন সমস্যায় পড়বে। সামাজিক অবক্ষয় ঘটবে, বখাটে ছেলেদের জন্য আইন শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে এবং দীঘির চারিদিকে বেষ্টনি হলে বৃহৎ আকার দীঘি হওয়ার দরুণ বৃহৎ টানা জাল দ্বারা মাছ উত্তোলন বাধাগ্রস্ত হবে, মাছের পরিচর্যা, পানি দূষণ রোধ এবং মাছ চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিধায় দীঘির চতুর্দিকে এস. এস পাইপ অথবা যেকোন ধরনের স্থাপনা দ্বারা কোন প্রকার বেষ্টনি নির্মাণ না করার জন্য আহবান জানাচ্ছি।
স্মরকলিপিতে এলাকাবসীর পক্ষে স্বাক্ষর করেন মো. ইমাদ মিয়া, মো. আব্দুল মজিদ টিয়া মিয়া, মো. খোকন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ননী গোপাল সিং, মো: সেলিম আহমদ, আজাদ, রুমন, আরমান, প্রবীন সিংহ, স্বপন দে, মান্নান, অভিজিৎ সিংহ, বাপ্পু, রনজু, নিলু দে, মধুমিতা সিনহা, আশুতোষ রায়, বিষ্ণু দে, রনজন সিং, অনজন সিনহা, ধৃতা সিংহ, তানভীর, মামুনুর রশিদ, মো. জাফর ইকবাল, নিহার রঞ্জন দেব, মোহাম্মদ মুকিত, সাফওয়ান সাকিব, আহনাফ হাসান, পাপন, সাইফ, রাজু, সিপু, নাইম, রামেন্দ্র চন্দ্র দে, আব্দুর রহিম মতছির, ফয়েজ হোসেন ফেরদৌস, মনাফ আহমদ, আলিফ, আব্দুল আহাদ, মাধব দে, ইমন, সজিব, মো. শাওন আলম, আমেনা বেগম রুমী, মোমিনুর রসিদ সুজন, মো. আজহার আলম, নাদিমা আলম, রোকসানা আক্তার জলি, মো. মোজম্মিল আলী, মো. মোছব্বির আলী, রায়হান, খোকন, রনি, তানিম, মোস্তফা, ফারুক, লায়েক, খালেদ, সাদিক, সুমন আহমদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি