কাজিরবাজার ডেস্ক :
বছরের প্রথম দিন থেকে শুরু হওয়া করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না। বছরের প্রথম দিন সংক্রমণের যে হার ছিল ২.৪৩ শতাংশ বুধবার সেটি বেড়ে দাঁড়ায় ২৫.১১ শতাংশে। শতাংশের হিসাবে শনাক্তের হার বেড়েছে ২২.৬৮ শতাংশ। এই হিসাবে বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ২৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। সংক্রমণের এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ঠেকাতে সরকার থেকে জারি করা হয়েছে ১১ দফা বিধিনিষেধ। যা গত বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হয়েছে।
কিন্তু সাধারণ মানুষ তো দূরে থাক নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের মানুষজনও বিধিনিষেধকে তুচ্ছজ্ঞান করছেন প্রতিনিয়ত। মানুষের মধ্যে অসেচতনতাসহ দোকানপাট, গণপরিবহন, সভা-সমাবেশ এমনকি নির্বাচনী প্রচারে কার্যত অকার্যকর দেখা যাচ্ছে এ বিধিনিষেধ। ফলে সংক্রমণ প্রতিরোধে এবার লকডাউনের পরিকল্পনা চিন্তা করতে পারে সরকার। তবে এখনই সামগ্রিকভাবে লকডাউন না দিয়ে বিকল্প চিন্তার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। এক্ষেত্রে প্রশাসন নয় বরং জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর তাগিদ তাদের।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলছে। সরকারের ১১ বিধিনিষেধ না মানলে দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। লকডাউন দিলে দেশের ক্ষতি। সরকার সেদিকে যেতে চায় না। তবু যদি প্রয়োজন হয় তাহলে লকডাউনের কথা বিবেচনা করা হবে। একইভাবে সোমবার লকডাউনের কথা না বললেও করোনা ইস্যুতে বিধিনিষেধ মানাতে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দুই-একদিনের মধ্যে এ্যাকশনে যাওয়ার কথা বলেছেন মন্ত্রীপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামও। তিনি বলেছেন, আমরা বলে দিয়েছি দু’একদিন একটু পর্যবেক্ষণ করা হবে। তারপর কিছু কিছু এ্যাকশনে যাব।
একই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতরও। অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডাঃ মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণ দ্রুতগতিতে বাড়ছে। ফলে ১১টি বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। তবে এখনও লকডাউনের কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে পরিস্থিতি। করোনার অব্যাহত সংক্রমণ ও হাসপাতালে রোগী ভর্তিসহ সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। লকডাউন দেয়া না দেয়ার সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য অধিদফতরের না থাকলেও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা সরকারের শীর্ষ নীতিনির্ধারকরা পরিস্থিতি বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেবেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী, মন্ত্রীপরিষদ সচিব এমনকি স্বাস্থ্য অধিদফতরের এসব বক্তব্যের পর থেকেই শুরু হয়েছে লকডাউন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে জল্পনা। কিন্তু বাস্তবে কেউই বিধিনিষেধের তোয়াক্কা করছেন না। ১১ দফা বিধিনিষেধে রাত ৮টা পর্যন্ত দোকানপাট, শপিংমল খোলা থাকার কথা বলা হলেও কোথাও এ নির্দেশনা বাস্তবে দেখা যায়নি। নগরীর প্রায় সব শপিং সেন্টারই খোলা থাকছে অন্তত রাত ১০ পর্যন্ত। আর দোকানপাট বন্ধ হতে হতে রাত ১২-১টা বেজে যাচ্ছে। একই অবস্থা হোটেল-রেস্তরোঁগুলোতেও। স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি টিকার সনদ দেখিয়ে হোটেল-রেস্তরাঁয় খাবারের কথা বলা হলেও সরেজমিনে রাজধানীর কোথাও এ দৃশ্য দেখা যায়নি। একই অবস্থা সভা-সমাবেশের ক্ষেত্রেও। উন্মুক্ত স্থানে খুব একটা সভা-সমাবেশ না হলেও ইনডোরে বন্ধ হয়নি জনবহুল সভা-সমাবেশ। খোদ সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকেও করা হচ্ছে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন। স্বাস্থ্যবিধি ন্যূনতম মানা হচ্ছে না গণপরিবহনগুলোতেও। রাজধানীসহ দেশের প্রায় সব জায়গার বাস, ট্রেন, লঞ্চে নেই ১১ দফা বিধিনিষেধ কার্যকরে তেমন কড়াকড়ি। যদিও কমলাপুর রেলস্টেশনে কর্তৃপক্ষের নিজ উদ্যোগে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানা নিশ্চিত করার চেষ্টা হচ্ছে কিন্তু সদরঘাট এলাকার চিত্র ভয়াবহ। সরেজমিনে সদরঘাট এলাকা দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একের পর এক লঞ্চ আসছে আর যাত্রীরা হুড়মুড় করে নিজেদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছোটাছুটি করছেন। এমন অবস্থা মাস্ক মুখে রাখা সত্যিই খুব কষ্টকর বলে উল্লেখ করে বরিশালগামী যাত্রী আরাফাত মিয়া বলেন, এত মানুষের ঠেলাঠেলিতে নিজের গায়ের কাপড়টাই যে টিকে থাকে সেটাই তো বেশি। মাস্ক কিভাবে থাকবে? যাদের মাস্ক রয়েছে তারাও নামিয়ে রেখেছেন থুতনিতে। ঘাট এলাকার কোথাও নজরে পড়েনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদারকি।
মহাখালী, সায়েদাবাদ, শ্যামলী, গাবতলী, ফকিরাপুলের বাসস্ট্যান্ডগুলোর চিত্রও প্রায় এক। বাসের অভ্যন্তরে নির্দিষ্ট আসনে যাত্রী পরিবহন করলেও স্টেশন এলাকায় নেই স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়ি। বেশিরভাগ মানুষই ঘুরছেন মাস্ক ছাড়া। কাউন্টারগুলোতে গাদাগাদি করে বসে গন্তব্য এলাকার বাসের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন যাত্রীরা। আর এর মাধ্যমে রাজধানী থেকে যেন ভাইরাসটি নিয়ে যাচ্ছেন অন্যান্য শহরে।
এমন অবস্থায় আবারও করোনার একটি বিস্ফোরণ ঘটার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। এর জন্য লকডাউন নয় বরং করোনা প্রতিরোধে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন তারা।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ লেনিন চৌধুরী বলেন, করোনা প্রতিরোধে লকডাউন হচ্ছে সর্বশেষ শব্দ। এটির আগে প্রয়োজন করোনা প্রতিরোধে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানো। বিশেষ করে পাড়া-মহল্লায় কমিটি গঠন করে দেয়া। কোন এলাকায় যদি কারো বাড়িতে করোনা হয় সেটি তাৎক্ষণিকভাবে কিন্তু প্রশাসনের লোকজন জানবে না। বা ওই মহল্লায় যদি কেউ মাস্ক না পরে ঘুরে সেটিও তাদের নজরে আসবে না। এক্ষেত্রে যদি ওই এলাকার কাউন্সিলর বা কমিশনারদের নেতৃত্বে একটি কমিটি থাকে যারা এগুলোর নজরদারি করবে, মানুষজনকে মাস্ক পরতে উদ্বুদ্ধ করবে তাহলে কাজটি সহজ হয়ে যাবে। প্রত্যেকটি এলাকায় যদি একটি করে এমন কমিটি থাকে গ্রাম থেকে শহর সব জায়গায় তাহলে খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে আমি মনে করি। বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসক বলেন, আমরা ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে যেমনটি দেখেছি দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়ররা মহল্লায় মহল্লায় যেভাবে এডিস মশা নিধনে অভিযান চালিয়েছেন ঠিক একইভাবে করোনা প্রতিরোধেও যদি অভিযান চালায় তাহলে নিশ্চয়ই করোনাও নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে পাড়া-মহল্লায় যেভাবে অভিযান চালানো হয়েছে করোনার সচেতনতায় এমন কোন কর্মসূচী চালানো হচ্ছে না কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা তো কাজ করছি। পাড়ায়-পাড়ায় সচেতনতা তৈরি করার লক্ষ্যে কাজ করছি। কিছুদিনের মধ্যে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে বিনামূল্যে ৬ হাজার করে মাস্ক বিতরণ করা হবে। আমাদের কাউন্সিলররাও সচেতনতা তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছেন। এখনই কোন কমিটি না হলেও শীঘ্রই এই সচেতনতা কর্মসূচীর উদ্বোধন হবে বলে জানান তিনি। এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে তাপস বলেন, আমরা কয়েকদিন পরপরই ভার্চুয়াল বৈঠকে কাউন্সিলরদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে আসছি। এছাড়া রাজধানীর অন্তত তিনটি মোড়ে আমাদের মোবাইল কোর্ট রয়েছেন মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে উৎসাহিত করার জন্য। পাশাপাশি আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা নিয়মিতভাবে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে কাজ করছেন।
লকডাউন হলে দেশের অর্থনীতির ক্ষতি ও স্বাভাবিক জীবন বাধাগ্রস্ত হবে উল্লেখ করে করোনা প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় কারিগরি কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডাঃ ইকবাল আর্সনাল বলেন, এর আগেও আমরা লকডাউনের ক্ষতি দেখেছি। তাই আমরা সার্বিকভাবে লকডাউন দেয়ার পক্ষপাতি না। বরং প্রয়োজনে এলাকাভিত্তিক লকডাউন দেয়া হউক। যেসব এলাকায় করোনার প্রাদুর্ভাব বেশি সেসব জায়গা লকডাউন করা হলে করোনার বিস্তার হবে না। তবে সবচেয়ে বেশি যেটা প্রয়োজন তা হলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। করোনার সংক্রমণ বাড়লেও এক জেলার মানুষ অন্য জেলায় যাচ্ছে, বাজার-হাট করছে, শপিং করছে, মিটিং-মিছিলও করছে। এক্ষেত্রে নিজের স্বাস্থ্যবিধি নিজে মানা ছাড়া বিকল্প নেই।
একই কথা বলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ডাঃ এবিএম আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, লকডাউন একটি কঠিন শব্দ। একেবারে চূড়ান্ত পরিস্থিতিতে না গেলে এই সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত হবে না। তার চেয়ে বরং স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কঠোর হতে হবে প্রশাসনকে। এক্ষেত্রে ১১ দফা যে বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে তার বাস্তবায়ন করতে প্রশাসনকে জোর তৎপরতা চালাতে হবে। আর অবশ্যই সবাইকে টিকার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। যারা এখনও টিকা নেননি তাদের প্রতি আমি আকুল আবেদন জানাচ্ছি, টিকা নিন। টিকা নিলেই যে আক্রান্ত হবেন না তা নয় কিন্তু টিকা একটি প্রতিষেধক। যা আপনাকে করোনার সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করবে।
করোনা সংক্রমণের উর্ধগতি রুখতে সরকার ঘোষিত ১১ দফা বিধিনিষেধ শুরু হয় গত বৃহস্পতিবার থেকে। বিধিনিষেধের শর্তাবলি মোতাবেক কোন ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠান উন্মুক্ত স্থানে আয়োজন করা যাবে না। সর্বত্র মানতে হবে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। এসব শর্তাবলি না মানলে গুনতে হবে জরিমানা। প্রয়োজনে জেলেও যেতে হতে পারে কাউকে কাউকে। পরবর্তী নির্দেশনা পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ মানতে হবে সবাইকে। ১০ জানুয়ারি মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মোঃ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ বিধিনিষেধ জারি করা হয়। ওই বিধিনিষেধে বলা হয়, পরিস্থিতি পর্যালোচনায় আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্তে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকা- সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৩ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে নিম্নবর্ণিত বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো। আরোপিত বিধিনিষেধগুলো হলো দোকান, শপিংমল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং হোটেল-রেস্তরাঁসহ সকল জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলকভাবে সবাইকে মাস্ক পরিধান করতে হবে। অন্যথায় তাকে আইনানুগ শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে, অফিস-আদালতসহ ঘরের বাইরে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে সারাদেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে, রেস্তরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ এবং আবাসিক হোটেলে থাকার জন্য অবশ্যই করোনা টিকা সনদ প্রদর্শন করতে হবে, ১২ বছরের উর্ধে সকল ছাত্রছাত্রীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত তারিখের পরে টিকা সনদ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি দেয়া যাবে না, স্থলবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরসমূহে স্ক্রিনিংয়ের সংখ্যা বাড়াতে হবে। পোর্টগুলোতে ক্রুদের জাহাজের বাইরে আসার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করতে হবে। স্থলবন্দরগুলোতে আসা ট্রাকের সঙ্গে শুধু ড্রাইভার থাকতে পারবে। কোন সহকারী আসতে পারবে না। বিদেশগামীদের সঙ্গে আসা দর্শনার্থীদের বিমানবন্দরে প্রবেশ বন্ধ করতে হবে, ট্রেন, বাসা এবং লঞ্চের সক্ষমতার অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী নেয়া যাবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কার্যকারিতার তারিখ দেয়া সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করবে। সর্বপ্রকার যানের চালক ও সহকারীদের আবশ্যিকভাবে কোভিড-১৯ টিকা সনদধারী হতে হবে, বিদেশ থেকে আসা যাত্রীসহ সবাইকে বাধ্যতামূলক কোভিড-১৯ টিকা সনদ প্রদর্শন ও র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন এবং মাস্ক পরিধানের বিষয়ে সকল মসজিদে জুমার নামাজের খুতবায় ইমমারা সংশ্লিষ্টদের সচেতন করবেন। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা এ বিষয়টি নিশ্চিত করবেন, করোনার টিকা এবং বুস্টার ডোজ প্রয়োগ ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় প্রচার এবং উদ্যোগ গ্রহণ করবে। এক্ষেত্রে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সহায়তা করবে, কোভিড আক্রান্তের হার ক্রমবর্ধমান হওয়ায় উন্মুক্ত স্থানে সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশসমূহ পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে এবং কোন এলাকার ক্ষেত্রে বিশেষ কোন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে স্থানীয় প্রশাসন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিতে পারবে।
কিন্তু রাজধানীর কয়েকটি সড়কে মোবাইল কোর্ট ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদারকি খুব একটা দেখা যায়নি জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে। তাই প্রশাসনের সঙ্গে করোনা প্রতিরোধে এই জনগণেরই সম্পৃক্ততা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।