কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনায় দ্বিতীয় ঢেউয়ের ক্ষত না শুকাতেই ফের চোখ রাঙ্গাচ্ছে নতুন ঢেউ। অতি সংক্রামক ওমিক্রনের প্রভাবে সারাবিশ্বে আছড়ে পড়ছে তৃতীয় ঢেউ। বাংলাদেশও তৃতীয় ঢেউয়ের শঙ্কা থেকে বাদ যাচ্ছে না। অন্তত চলতি বছরের প্রথম ১০ দিনে করোনায় নতুন শনাক্তের সংখ্যা ও নমুনার বিপরীতে শনাক্তের হার এই শঙ্কাকে আরও উস্কে দিচ্ছে। ডেল্টা ও ওমিক্রনের যৌথ সংক্রমণে করোনার নতুন ঢেউয়ের হটস্পট হতে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকা ও রাঙ্গামাটি। অনেকেই মনে করছেন, আশঙ্কা নয় করোনার তৃতীয় ঢেউ ইতোমধ্যে রাজধানীতে শুরু হয়েছে। ঢেউটি মোকাবেলায় সরকার আজ ১৩ জানুয়ারি থেকে ১১ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়েছেন স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলা এবং টিকা কার্যক্রম জোরদার করার ওপর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুরুতে আগামী মার্চ-এপ্রিল নাগাদ করোনার আরেকটি ঢেউয়ের পরিপূর্ণ আশঙ্কা করা হয়েছিল। কিন্তু ওমিক্রনের প্রভাব ও স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে শিথিলতা নতুন ঢেউ আরও একমাস এগিয়েছে। ইতোমধ্যে সীমান্ত ঘেরা ভারতে করোনার ওমিক্রনের তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশেও তার আঁচ লেগেছে। গত ১১ জানুয়ারি ভারতে নতুন করে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৭২০ জন রোগী নতুন শনাক্ত হয়েছে। আর মারা গেছে ৪৪২ জন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ভারতে মাত্র ২৭ হাজার ৫৫৩ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল। অর্থাৎ সেখানে শনাক্তের হার ও সংক্রমণ দুটোই বাড়ছে আশঙ্কাজনকহারে। বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘ অরক্ষিত সীমান্ত এবং বন্দরগুলোতে যাতায়াত অব্যাহত থাকার কারণে ওমিক্রনের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, দিনাজপুর, জয়পুরহাট, যশোর, কুষ্টিয়া, রাজশাহীসহ বেশ কিছু জেলায় ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের কাঁটাতারের বেড়া পর্যন্ত নেই। এছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে আফ্রিকান রাষ্ট্রগুলোর প্রত্যক্ষ যোগাযোগ থাকায় আগে থেকেই বাংলাদেশে ওমিক্রনের সংক্রমণের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না সংশ্লিষ্টরা। তাই সতর্ক না হলে সংক্রমণ যেকোন সময় বাড়তে পারে। এছাড়া ওমিক্রনে মৃদু প্রভাবের কারণে জনগণের মধ্যে গা-ছাড়াভাব পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ করতে পারে বলেও তারা হুঁশিয়ার উচ্চারণ করেন।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত মোট ৩০ ওমিক্রন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। জিম্বাবুইয়ে ফেরত নারী ক্রিকেট দলের দুই ক্রিকেটার আক্রান্তের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে ওমিক্রন ধরা পড়ে। আস্তে আস্তে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩০ জনে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগেরই বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস নেই। অর্থাৎ স্থানীয়ভাবে তারা আক্রান্ত হয়েছেন। ধরে নেয়া যাচ্ছে রাজধানীতে ওমিক্রনের সামাজিক সংক্রমণ শুরু হয়েছে। ধারণা করা হয়েছে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হবে। তাই সতর্ক না হলে এটি আরও বাড়বে। কারণ এখন পর্যন্ত গবেষণা যা বলছে, তা হলো ওমিক্রনে সংক্রমণের মাত্রা অন্যান্য ধরনের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদফতর তথ্য মতে, গত মঙ্গলবার দেশে করোনা শনাক্তের হার ছিল ৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ। আগের দিন করোনা শনাক্তের হার ছিল ৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ। আর ৯ জানুয়ারি তা ছিল ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ৮ জানুয়ারি ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ। গত ৭ জানুয়ারি নতুন রোগী শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ, ৬ জানুয়ারি ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ, ৫ জানুয়ারি ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, ৪ জানুয়ারি ৩ দশমিক ৯১ শতাংশ, ৩ জানুয়ারি ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ, ২ জানুয়ারি ২ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং ১ জানুয়ারি বছরের প্রথম দিনে শনাক্তের হার ছিল ২ দশমিক ৪৩ শতাংশ। অর্থাৎ টানা করোনায় নমুনা সংগ্রহের বিপরীতে নতুন রোগী শনাক্তের হার বেড়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, কোন দেশের করোনা সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে মনে করা হয়ে থাকে। সেই হিসেবে গত দুই মাসে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বর্তমানে শনাক্তের হার বৃদ্ধি উদ্বেগজনক। যদিও বাংলাদেশে ইতোমধ্যে টিকার বুস্টার ডোজ চালু হয়েছে। এছাড়া স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে টিকা প্রদানের হার বেড়েছে।
অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ জানুয়ারি দেশে নতুন করে করোনায় ২৪৫৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আগের দিন ১০ জানুয়ারি দেশে নতুন করে ২২৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। আগের ৯ জানুয়ারি ১৪৯১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। ৮ জানুয়ারি ১১১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। ৭ জানুয়ারি করোনা শনাক্ত হয়েছে ১১৪৬ জনের। ৬ জানুয়ারি করোনা শনাক্ত হয়েছে ১১৪০। ৫ জানুয়ারি করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮৯২ জন। ৪ জানুয়ারি শনাক্ত হয়েছে ৭৭৫ জনের। ৩ জানুয়ারি করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬৯৪ জনের। ২ জানুয়ারি করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫৫৭ জনের। বছরের প্রথম দিনে দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৭০ জনের। অর্থাৎ ডিসেম্বর মাসে করোনাতে সংক্রমণের হার ১ শতাংশেও নেমেছিল। ঠিক এক মাস পরেই উল্টো চিত্র দেখল দেশ। মৃত্যু মোটামুটি স্থিতিশীল থাকলেও রোগী শনাক্ত ও সংক্রমণের হার আশঙ্কাজনক।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২০ সালের মার্চে প্রথম সংক্রমণের পর বিটা-গামা ও ডেল্টার ধাক্কাও বাংলাদেশ সামলে ছিল ভালভাবে। উন্নত বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনা সফলভাবে সামলেছে পরিস্থিতি। কারখানা চালু রেখে অর্থনীতির চাকা সচল রাখাসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বহির্বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। পরিস্থিতি সামলে নিয়ে যখন বাংলাদেশ আরও সামনে এগোচ্ছে ঠিক তখনই করোনার আরেকটি ঢেউয়ের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। মানুষ কথা শুনছে না, স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। কিন্তু করোনা তার কাজ ঠিকই করে যাবে মানুষ না করলেও। সংক্রমণ কমে গেছে, মানুষের ভেতরে ‘রিলাক্টেন্ট’ যে ভাব এসেছে, সেটাই আবার সর্বনাশের দিকে টেনে নিচ্ছে বাংলাদেশকে-বলছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা।
সরকার ইতোমধ্যে ওমিক্রন ধরনের উদ্বেগকে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। আর সেই কারণে ধরনটি রুখতে ১১ দফা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। আজ ১৩ জানুয়ারি থেকে দোকান, শপিংমল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং হোটেল-রেস্তরাঁসহ সব জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলকভাবে সবাইকে মাস্ক পরিধান করতে হবে। অন্যথায় তাকে আইনানুগ শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে, অফিস-আদালতসহ ঘরের বাইরে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে সারাদেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে, রেস্তরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ এবং আবাসিক হোটেলে থাকার জন্য অবশ্যই করোনা টিকা সনদ প্রদর্শন করতে হবে, ১২ বছরের উর্ধে সকল ছাত্র-ছাত্রীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত তারিখের পরে টিকা সনদ ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি দেয়া যাবে না, স্থলবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরসমূহে স্ক্রিনিংয়ের সংখ্যা বাড়াতে হবে। পোর্টগুলোতে ক্রুদের জাহাজের বাইরে আসার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করতে হবে। স্থলবন্দরগুলোতে আসা ট্রাকের সঙ্গে শুধুমাত্র ড্রাইভার থাকতে পারবে। কোন সহকারী আসতে পারবে না। বিদেশগামীদের সঙ্গে আসা দর্শনার্থীদের বিমানবন্দরে প্রবেশ বন্ধ করতে হবে, ট্রেন, বাসা এবং লঞ্চের সক্ষমতার অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী নেয়া যাবে। যানবাহনের চালক ও সহকারীদের আবশ্যিকভাবে কোভিড-১৯ টিকা সনদধারী হতে হবে, বিদেশ থেকে আসা যাত্রীসহ সবাইকে বাধ্যতামূলক কোভিড-১৯ টিকা সনদ প্রদর্শন ও র্যাপিড এ্যান্টিজেন টেস্ট করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন এবং মাস্ক পরিধানের বিষয়ে সব মসজিদে জুমার নামাজের খুতবায় ইমামরা সংশ্লিষ্টদের সচেতন করবেন। উন্মুক্ত স্থানে সবধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশসমূহ পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে এবং কোন এলাকার ক্ষেত্রে বিশেষ কোন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে স্থানীয় প্রশাসন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিতে পারবে।
করোনাতে ২০২০ সালের মার্চ মাসে যে ঢেউ শুরু হয়েছিল সেটি ছিল রাজধানী ও নারায়ণগঞ্জকেন্দ্রিক। প্রথম ঢেউয়ে রাজধানী ও তার আশপাশে হটস্পট হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। আর দ্বিতীয় ঢেউয়ের হটস্পট ছিল দেশের সীমান্তের জেলাগুলো। ডেল্টার কারণে সীমান্তের জেলাগুলো হটস্পটে পরিণত হয়। সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউয়ের হটস্পট হিসেবে ইতোমধ্যে রাজধানী বিবেচিত হচ্ছে।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে চোখ রাঙ্গাচ্ছে তৃতীয় ঢেউ। এই ঢেউয়ে রাজধানী ও আশপাশের জেলাগুলোতে করোনা শনাক্ত বেশি হচ্ছে। মোট আক্রান্তের প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি রোগী রাজধানী ঢাকার। ১০ জানুয়ারি সারাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২২৩১ জনের মধ্যে রাজধানীর ১৮৭১ রোগী রয়েছে। ৯ জানুয়ারি ঢাকাতে আক্রান্ত ছিল ১১৯৬ জন। ৮ জানুয়ারি শনাক্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে ৯৪৩জনই ঢাকার। ৭ জানুয়ারি ঢাকাতে ৯০২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে, ৬ জানুয়ারি ঢাকাতে আক্রান্ত রোগী ছিল ৯৫০ জন শনাক্ত হয়েছেন। অর্থাৎ গত কয়েকদিনের সংক্রমণের চিত্র বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি ঢেউয়ে রাজধানীকেন্দ্রিক সংক্রমণ বেশি। এর মধ্যে ডেল্টা ও ওমিক্রন দুটোই রয়েছে। দুই ধরনের মিশ্র সংক্রমণেই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডাঃ মুশতাক হোসেন বলেন, কোথাও স্বাস্থ্যবিধি নাই। এখনও মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে, মৃত্যু হচ্ছে। শহর কিংবা গ্রাম কেউ মাস্ক পরছে না। স্বাস্থ্য অধিদফতর নির্দেশিত ১৫ দফার মধ্যে রেস্টুরেন্ট, গণপরিবহনের জন্য যেসব নির্দেশনা ছিল সেগুলোর বালাই নেই।
স্বাস্থ্যবিধি কড়াকড়ি করতে কেবল নির্দেশনাই যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন এই মহামারী বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, এজন্য প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নিতে হবে। কাউকে একক দায় দিয়ে লাভ নেই। নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ, কমিউনিটি সেন্টার, রেস্টুরেন্টসহ যেসব জায়গায় ভিড় হচ্ছে; সেই কর্তৃপক্ষকে দায় নেয়ার কাজটা করাতে হবে সরকারকে।
নতুন ঢেউ নিয়ে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডাঃ ইকবাল আর্সলান বলেন, মানুষের এই গা ছাড়া ভাব দেশের জন্য আরেকটি বিপর্যয়ের কারণ হবে কয়েকদিন পর। মানুষের মাস্ক থাকার কথা নাক-মুখ ঢেকে। কিন্তু হয় থাকে থুতনিতে, নয়তো থাকে ব্যাগে। আর মাস্ক যদি মাস্কের জায়গায় না থাকে, তাহলে ভাইরাসতো ঢুকবেই- এটাই নিয়ম এবং এটাই হবে। অধ্যাপক ইকবাল আর্সলান বলেন, সংক্রমণের আরেকটি ঢেউ খুব শীঘ্রই আমরা দেখতে পাব, মানুষ যখন অবাধ্য হয়, তখন প্রকৃতি সেটা বুঝিয়ে দেয়।
রাজধানীর হেলথ এ্যান্ড হোপ হাসপাতালের পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ লেনিন চৌধুরী বলেছেন, নিঃসন্দেহে বাংলাদেশে করোনার নতুন ঢেউ শুরু হয়েছে। দেশের অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে হবে এবং একইসঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। করোনা সংক্রমণের তুলনায় প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার না করলে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডাঃ নাজমুল ইসলাম জানান, গত ৩০ দিনের চিত্রের দিকে তাকালে একটি উর্ধমুখী চিত্র চোখে পড়ে। সারাবিশ্বে করোনা পরিস্থিতি দিন দিন নাজুক হয়ে যাচ্ছে। ইউরোপে ওমিক্রনে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বাড়ছে ব্যাপকভাবে। করোনার বাড়তে থাকা সংক্রমণ হার কমাতে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি, মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার গুরুত্ব তুলে ধরেন অধ্যাপক নাজমুল। তিনি বলেন, মাস্ক আমার, সুরক্ষা সবার এ কথাটি আমাদের স্মরণে রাখতে হবে সব সময়।