এফবিসিসিআই এর রুগ্নশিল্প পুনর্বাসন সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির সভা ॥ রুগ্ন শিল্প ও নন-টেক্সটাইল কারখানাগুলিকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করেছেন ব্যবসায়ী নেতারা

2
এফবিসিসিআই এর রুগ্নশিল্প পুনর্বাসন সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় বক্তব্য রাখছেন সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও এফবিসিসিআই এর স্ট্যান্ডিং কমিটির ডাইরেক্টর ইনচার্জ তাহমিন আহমদ।

চলমান আর্থিক সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত রুগ্ন শিল্প ও নন-টেক্সটাইল কারখানাগুলিকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করেছেন ব্যবসায়ীরা নেতারা। ২ জানুয়ারি রবিবার এফবিসিসিআই বোর্ড রুমে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) স্ট্যান্ডিং কমিটি অন রিহ্যাবিলিটেশন অব সিক ইন্ডাস্ট্রিজ এর প্রথম সভায় তারা এ আহ্বান জানান। উক্ত সভায় এফবিসিসিআই এর অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সাথে উপস্থিত ছিলেন সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও স্ট্যান্ডিং কমিটির ডাইরেক্টর ইনচার্জ তাহমিন আহমদ।
২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার রুগ্নশিল্প পুনর্বাসন এবং তাদের দায় মেটানোর জন্য একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করে বলে ব্যবসায়ী নেতারা জানিয়েছেন। তারপর, টাস্কফোর্স রুগ্নশিল্প কারখানাগুলিকে গার্মেন্টস, টেক্সটাইল এবং নন-টেক্সটাইল নামে তিনটি ক্যাটাগরিতে শ্রেণীবদ্ধ করে এবং টাস্ক ফোর্সের সিদ্ধান্ত অনুসারে, সরকার ২৭৯টি পোশাক কারখানা এবং ১০০টি টেক্সটাইল কারখানার দায় নিষ্পত্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। কিন্তু কোনো নন-টেক্সটাইল কারখানা এখনো এ সুবিধা পায়নি এবং এসব শিল্প রুগ্নশিল্প হলেও ব্যাংকগুলো খেলাপি দেখিয়ে মানি লোন কোর্টে মামলা করেছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয় একাধিকবার বৈঠক করেও এ বিষয়ে কোনো সমাধান করতে পারেনি। ফলস্বরূপ, রুগ্নশিল্প নন-টেক্সটাইল কারখানাগুলি নতুন ব্যবসায়িক উদ্যোগ নিতে অক্ষম হয়ে পড়েছে। তাই রুগ্নশিল্প শিল্প মালিকগণ এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেছেন।
সভায় এফবিসিসিআই স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাদেক ইউ চৌধুরী বলেন, রুগ্নশিল্পকে পুনর্বাসনের জন্য ১৯৯৮ সালে মুন্সেফ কমিটি গঠন করা হয়। রুগ্নশিল্প শিল্প পুনর্বাসনের জন্য তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ১০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করেছিল বলে তিনি জানান।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, রুগ্নশিল্পকে সহায়তা ও পুনর্বাসনের জন্য এফবিসিসিআইতে একটি পৃথক ডেস্ক স্থাপন করা হবে। তিনি বলেন, এফবিসিসিআই, অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সদ্য রুগ্নশিল্প হয়ে পড়া শিল্পের পুনর্বাসনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এফবিসিসিআই এর স্ট্যান্ডিং কমিটির ডাইরেক্টর ইনচার্জ ও সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি তাহমিন আহমেদ জানান, রুগ্নশিল্প শিল্প মালিকদের উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চেয়ে শিগগিরই চিঠি পাঠাবেন তারা।
বৈঠকে এফবিসিসিআই মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, কমিটির কো-চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন এ ফেরদৌস, এম নজরুল ইসলাম, সরকার মো: সালাউদ্দিন ও এ.কে.এম খোরশেদ আলম খানসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি