সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে নির্বাচন পরবর্তী আওয়ামী লীগ বিএনপির মধ্যে সংহিতার ঘটনা ঘটেছে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় আহম্মদ চৌধুরীর পক্ষের আমিনুর চৌধুরী (২৬), আল আমিন চৌধুরী (৩৮) ও সুফি মিয়া চৌধুরীর পক্ষে তিনি নিজে ও তাঁর ছেলে ইদু মিয়া চৌধুরী (৩০) আহত হন। গুরুতর আহত আমিনুর চৌধুরী ও আল আমিন চৌধুরীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
রবিবার (২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তাড়ল গ্রামে তাড়ল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচনে নৌকা মার্কার পরাজিত প্রার্থী আহম্মদ চৌধুরী ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সুফি মিয়া চৌধুরীর লোকজনের মধ্যে ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাড়ল গ্রামের আহম্মদ চৌধুরী। একই গ্রামের বাসিন্দা ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সুফি মিয়া চৌধুরী নির্বাচনে পরাজিত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আহম্মদ চৌধুরীর বিরোধিতা করেন। গত শনিবার দুপুরে দিরাই বাজারের হাইস্কুল রোডে আহম্মদ চৌধুরীর ছোট ভাই সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সুজন চৌধুরী হামলা করেন। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপোষ নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হলে সুফি মিয়া চৌধুরী রাজি হনিন। মারধরে আহত করে সুফি মিয়া চৌধুরী রাতে আহম্মদ চৌধুরীকে প্রধান আসামী করে দিরাই থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের জের ধরে রবিবার সকালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ চৌধুরীর সমর্থক ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সুফি মিয়া চৌধুরীর লোকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় দুপক্ষের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। তবে গুলিতে ২ জনসহ উভয় পক্ষের ৪ জন আহত হন। পুলিশ জানায় আহতদের গায়ে গুলি লাগেনি।
দিরাই থানার ওসি মো. আজিজুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে আহতরা গুলির আঘাত লাগেনি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।