স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর নাইওরপুল পয়েন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে হিজড়াদের দু’পক্ষে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার ২৪ ডিসেম্বর জুমআর নামাজের পর নাইওরপুল পয়েন্টে একটি বিয়ের গাড়িবহর আটককে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে এই মারামারি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, নাইওরপুল পয়েন্টে বিয়ের গাড়ি আটক করতে প্রস্তুতি নেয় রাণী নামের এক হিজড়া ও তার পক্ষের লোকজন। এসময় লিপি (রাসেল) নামের আরেক হিজড়ার লোকজন তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরে দু পক্ষের হিজড়াদের মাঝে হাতাহাতি শুরু হয়। এসময় নাইওরপুল পয়েন্টে দায়িত্বরত কয়েকজন পুলিশ সদস্য এসে তাদের মারামারি থামান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ। তিনি শুক্রবার রাতে বলেন, খবর পেয়ে একদল পুলিশ গিয়ে তাদের মারামারি থামায়। পরে দুপক্ষ দুদিকে চলে যায়।
উল্লেখ্য, সিলেটজুড়ে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ বা হিজড়াদের উৎপাত-চাঁদাবাজি চরম আকার ধারণ করেছে। তাদের অশ্লীল আচরণ ও প্রকাশ্য চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ সিলেটবাসী। নগরীসহ শহতলির বিভিন্ন রাস্তা ও মোড়ে পুলিশের সামনে তারা বিয়ের গাড়িবহর আটকে এবং দোকানে দোকানে এমন দৌরাত্ম্য চালালেও কোনো ভূমিকা নিচ্ছে না পুলিশ।
বিভিন্ন রাস্তা এবং মোড় ছাড়াও সিলেটের বিভিন্ন স্থানে দোকানে দোকানে চাঁদাবাজি করে বেড়ায় হিজড়ার দল। তাদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা না দিলে চড়াও হয় ব্যবসায়ীদের উপর। এতে চক্ষুলজ্জার কারণে সাধ্যের বাইরে হলেও হিজড়াদের চাহিদামতো চাঁদা দিয়ে বিদায় করেন ব্যবসায়ীরা। অনেক সময় হিজড়াদের হাতে অনেকেরই লাঞ্ছিত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কিছুটা কমে আসার পর গত কয়েক মাস ধরে নগরীসহ সিলেটের বিভিন্ন রাস্তা ও মোড়ে ৪-৫ জন করে হিজড়াদের একেকটি দল দিনভর দাঁড়িয়ে থেকে চাঁদাবাজি করছে। নগরীর হুমায়ুন রশিদ চত্বর, মেন্দিবাগ পয়েন্ট, নাইওরপুল পয়েন্ট, দক্ষিণ সুরমার তেতলি এলাকার সুনামগঞ্জমুখি বাইপাসের মুখ ও তেলিবাজার, সিলেট-বিয়ানীবাজার সড়কের পারাইরচকস্থ বাইপাসের মুখসহ প্রায় সকল গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হিজড়ারা ৪-৫ জন করে দাঁড়িয়ে থাকে। কোনো বিয়ের গাড়িবহর আসলেই সামনে দাঁড়িয়ে যায় তারা। হাজার-পাঁচ শ নয়, ৪-৫ হাজার টাকার কম তারা রাস্তা ছাড়ে না গাড়িবহরের।