স্টাফ রিপোর্টার
এবারের নির্বাচনে সিলেটের ৬টি আসনে ৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেছিলেন। এদের মধ্যে ২৪ জনই জামানত হারিয়েছেন। এছাড়া হবিগঞ্জের ৪টি সংসদীয় আসন থেকে অংশগ্রহণ করেন মোট ৩১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ২৪ জন প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন।
জামানত হারানো প্রার্থীরা হচ্ছে:
সিলেট-১ আসনে জামানত হারিয়েছেন চার জন। এরা হলেন- ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা ফয়জুল হক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ইউসুফ আহমদ, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোহাম্মদ সোহেল আহমদ চৌধুরী এবং বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আবদুল বাছিত (ছড়ি)।
সিলেট-২: বর্তমান সংসদ সদস্য গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি মোকাব্বির খান, সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহিয়া চৌধুরী (লাঙল), তৃণমূল বিএনপির আব্দুল মল্লিক, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোঃ জহির ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) মোঃ মনোয়ার হোসাইন। অবশ্যই নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে রবিবারই মোকাব্বির ও ইয়াহইয়া ভোট বর্জন করেন। আর সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে পুণঃভোটের দাবি জানান।
সিলেট-৩ আসনে জামানত হারিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী আনোয়ার হোসেন আফরোজ, বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী শেখ জাহেদুর রহমান (মাসুম) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ ফখরুল ইসলাম ও ইসলামী ঐক্যজোটের (আইওজে) প্রার্থী মোঃ মইনুল ইসলাম।
সিলেট-৪ আসনে জামানত হারিয়েছেন তৃণমূল বিএনপির আবুল হোসেন ও ইসলামী ঐক্যজোট প্রার্থী মোঃ নাজিম উদ্দিন কামরান।
সিলেট-৫ আসনে জামানত হারিয়েছেন তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী কুতুব উদ্দীন আহমদ শিকদার, বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মোঃ বদরুল আলম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) প্রার্থী মোঃ খায়রুল ইসলাম, এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাব্বীর আহমদ।
সিলেট-৬: আসনের তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী, দলটির চেয়াম্যিান শমসের মুবিন চৌধুরী, জাতীয় পার্টির প্রার্থী সেলিম উদ্দিন, ইসলামি ঐক্যজোটের প্রার্থী সাদিকুর রহমান এবং বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী আতাউর রহমান।
হবিগঞ্জ:
হবিগঞ্জ-১ আসন থেকে জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী মোহাম্মদ শাহেদ। তিনি ট্রাক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩১৯ ভোট। ইসলামি ঐক্যজোট বাংলাদেশের মোস্তাক আহমেদ ফারহানী। তিনি মিনার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩১৭ ভোট। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মোঃ নুরুল হক। তিনি গামছা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২১৩ ভোট। আসনটি থেকে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী। তিনি ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭৫০৫২ ভোট। সর্বমোট প্রদত্ত ভোট ১০৭৭৯৭। শতকরা হার ২৪.৯৯।
হবিগঞ্জ-২ আসন থেকে জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির প্রার্থী শংকর পাল। তিনি লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৫৩ ভোট। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মনমোহন দেবনাথ। তিনি গামছা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৪ ভোট। ইসলামী ঐক্যজোটের শেখ হিফজুর রহমান। তিনি মিনার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪২১ ভোট। তৃণমূল বিএনপির খাইরুল আলম। তিনি সোনালী আশঁ নিয়ে পেয়েছেন ৩০৯ ভোট। বিএনএম এর এসএএম সোহাগ। তিনি নোঙ্গর প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৭২ ভোট। ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশর মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ। তিনি চেয়ার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৪১ ভোট। বাংলাদেশ কংগ্রেসের জিয়াউর রশিদ। তিনি ডাব প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৭০ ভোট। আসনটি থেকে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯৯৯৪৩ ভোট। মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ১৫২৪৩৬। শতকরা হার ৪১.৩৯।
হবিগঞ্জ-৩ আসন থেকে জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির দলীয় প্রার্থী এমএ মুমিন চৌধুরী বুলবুল। তিনি লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪০৭৬ ভোট। বিএনএম এর প্রার্থী বদরুল আলম সিদ্দিকী। তিনি নোঙ্গর প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৫২ ভোট। বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের আদম আলী। তিনি ফুলের মালা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৮৪ ভোট। ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আব্দুল কাদির। তিনি আম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৮৫ ভোট। জাকের পার্টির আনসারুল হক। তিনি গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮৮৫ ভোট। ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবদুল ওয়াহেদ। তিনি চেয়ার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৪৪ ভোট। বাংলাদেশ কংগ্রেসের নোমান হাসান। তিনি ডাব প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২১২ ভোট। মুক্তিজোট (জেডিপি) এর শাহিনুর রহমান ছড়ি প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ১৫১ ভোট। আর ১৬০৬০৫ ভোট পেয়ে (নৌকা মার্কা) বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আবু জাহির। মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ১৬৯৪১২। শতকরা হার ৪৩.৪৭।
হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির প্রার্থী আহাদ উদ্দিন চৌধুরী। তিনি লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪১৭ ভোট। বাংলাদেশ কংগ্রেসের আল আমিন। তিনি ডাব প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৪০ ভোট। ইসলামি ঐক্যজোট বাংলাদেশের আবু ছালেহ। তিনি মিনার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৭৩ ভোট। বিএনএম এর মুখলেছুর রহমান। তিনি নোঙ্গর প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৯৩ ভোট। ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আব্দুল মুমিন। তিনি চেয়ার প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩৭ ভোট। বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক ঐকজোটের রাশেদুল ইসলাম খোকন ছড়ি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৬৭ ভোট। আর এ আসনটি থেকে ১৬৯০৯৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সুমন। মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ২,৪৩,৪৩৭। শতকরা হার ৪৭.৫২।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী এবার সিলেটের ১৯ আসনে ১১৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন। এরমধ্যে সিলেটের ৬ আসনে ৩৫ জন, সুনামগঞ্জ ৩১ জন, মৌলভীবাজারে ২২ জন ও হবিগঞ্জে ৩১ জন। যদিও এরমধ্যে কয়েকজন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িনোর ঘোষনা দেন।