কাজিরবাজার ডেস্ক :
হাসপাতালে ভর্তি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আরও অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিককার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার রক্তের হিমোগ্লোবিন ও প্লাটিলেট কমে গেছে, তার অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। তবে আগে যে রক্ত পড়ছিল তা পড়া বন্ধ হয়েছে।
এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে ২২ তারিখ থেকে জেলা পর্যায়ে সমাবেশ হবে। যা ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, ইকবাল মাহমুদ টুকু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সামাজিক অনুষ্ঠান সীমিত করতে বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য সামাজিক অনুষ্ঠান সীমিত করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে ওমিক্রনের প্রভাবে করোনার সংক্রমণ আবারও বেড়েছে। তাই আমাদের সতর্ক হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে।’
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘করোনায় আমাদের অবস্থা ভালো আছে। আমরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করছি। কিন্তু আমাদের ভুলে গেলে হবে না যে করোনার সংক্রমণ এখনও শেষ হয়ে যায়নি। এই মুহূর্তে দোকানপাট, ব্যবসা সবকিছু খোলা, বিদেশে যাতায়াতও চলছে। তবে আমাদের অসতর্ক হলে হবে না। যুক্তরাজ্যে বর্তমানে আক্রান্তদের অধিকাংশ ওমিক্রনের শিকার। এই মুহূর্তে সব অনুষ্ঠানে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে এবং টিকা নিতে হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই মুহূর্তে দেশে সাড়ে ৪ কোটি ভ্যাকসিন মজুত রয়েছে। দুই ডোজের টিকা পেয়েছেন চার কোটির বেশি মানুষ।’
ওমিক্রনে আক্রান্ত দুই নারী ক্রিকেটার ভালো আছেন জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘আক্রান্তদের অবস্থা যে খারাপ হয়েছে তা নয়, তারা ভালো আছেন। কোয়ারেন্টিন থেকে শুধু হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউ’র অধীনে থাকা বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের ৭ শতাধিক শিক্ষার্থীকে এই বৃত্তি প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান প্রমুখ।