স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট বিভাগের সকল জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনসাধারণের আর্থ সামাজিক অবস্থার কাক্সিক্ষত পরিবর্তনের জন্যে স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল, সুখী ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠনে কাজ করে যাচ্ছে কমিউনিটি এগেইনস্ট পভারটি (ক্যাপ)। মাত্র ১০ বছরের মধ্যে সংস্থাটি অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।সিলেট সদর উপজেলায় ছালিয়া, সালুটিকর রোডে মেগা প্রজেক্ট “দ্যা গার্ডিয়ান ও অর্ফান বিলেজ গড়ে তোলা হচ্ছে।যেখানে ১০০ জন এতিম শিশুদের থাকা খাওয়া সহ অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধাসম্বলিত স্কুল, ট্যাকনিকেল কলেজ, মসজিদ, ডরমেটরী, ইনডোর স্পোর্টস ইত্যাদি থাকবে। এছাড়াও আগামী কয়েক দিনে নবনির্মিত মসজিদ – টিউবওয়েল, টং দোকান ঘর উদ্বোধনসহ অসহায় জেলেদের মধ্যে মাছধরার সামগ্রীসহ নৌকা ও জাকাতের অর্থ বিতরণ করা হবে।
ক্যাপের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম উপলক্ষ্যে সাংবাদিকদের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় ক্যাপ ফাউন্ডেশন’র সিইও মো. আব্দুল নূর এসকল তথ্য তুলে ধরেন।
শনিবার সন্ধ্যায় নগরীর পূর্ব জিন্দাবাজারের একটি রেস্টুরেন্টে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাপের সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেনের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় আরও জানানো হয়, রবিবার (২৮ নভেম্বর ২০২১ রোববার) সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার আমতৈল গ্রামের হতদরিদ্র ও অস্বচ্ছল ৪টি জেলে পরিবারকে ৪টি মাছ ধরার সামগ্রি সহ নৌকা বিতরণ করা হবে।
এছড়াও বিশ্বনাথ উপজেলায় একটি মসজিদ ও একটি ক্যাপ ভিলেজ কর্ণার শপ (টং দোকান) নির্মাণ করা হবে। আগামী ২৯ নভেম্বর সোমবার সিলেট সদর উপজেলায় ছালিয়ায় ‘দ্যা গার্ডিয়ান ও ক্যাপ ফাউন্ডেশন অর্ফান ভিলেজ’র চলমান কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করা হবে। আগামী ৩০ নভেম্বর মঙ্গলবার সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলায় একটি মসজিদ ও টিউবওয়েল উদ্বোধন করা হবে। আগামী ১ ডিসেম্বর বুধবার সিলেট সদর উপজেলায় ১৫০ টি হতদরিদ্র পরিবারের মধ্যে জাকাতের নগদ অর্থ বিতরণ করা হবে।
মতবিনিময় সভায় আরও জানানো হয়, ২০১২ সালে ক্যাপ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এপর্যন্ত বৃহত্তর সিলেটের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় বিশুদ্ধ পানির জন্যে ১ হাজার ৫০০ গভীর নলকূপ ও ৫০০ স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন স্থাপন করা হয়েছে। বিতরণ করা হয়েছে তিন শতাধিক রিক্সা ও ৫০০ সেলাই মেশিন।
ও সেলাই মেশিন প্রশিক্ষন কেন্দ্র স্থাপন।অসহায় দরিদ্র পরিবারকে গৃহ নির্মান করে দেয়া, অর্গানিক ফার্ম, গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে অসহায় মানুষকে সাহায্য করা,রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য খাদ্য সামগ্রী, বিশুদ্ধ পানির জন্যে নলকূপ স্থাপন, স্যানিটরী, রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য প্রি-প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও গর্ভবতী মায়েদের জন্য এন্টিনেটাল হাসপাতাল স্থাপন, অস্বচ্ছল পরিবারকে কর্ণারশপ (টং দোকান) প্রদান, হাওর অঞ্চলের অস্বচ্ছল জেলে পরিবারকে নৌকা এবং মাছ ধরার সামগ্রী প্রদান, শিশুদের পাঠদানের জন্য প্রি-প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন, মসজিদ বিহীন এলাকায় মুসল্লীদের জন্য মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মাণ, মাহে রমজানে হতদরিদ্র পরিবারকে চাল, ডাল, তৈল, লবণ, পিঁয়াজ, ছানা, আলু ও খেঁজুরসহ খাদ্য সামগ্রী প্রদান, করোনা মহামারী শুরুর পরপরই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে পিপিই, কেএন-৯৫ মাস্ক বিতরণ ও বিভিন্ন হাসপাতাল, সরকারী-বেসরকারী গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে জীবাণু নাশক টানেল স্থাপন করা হয়েছে। ক্যাপ বাংলাদেশ সরকার ও এনজিও বিষয়ক ব্যুরো কর্তৃক অনুমোদিত একটি এনজিও সংস্থা। এটি একটি অরাজনৈতিক ও অলাভজনক সংস্থা। বিত্তবান বাংলদেশী ও প্রবাসীদের অর্থায়নে পরিচালিত ক্যাপ একটি টেকসই অর্থনীতি ও সমাজ নির্মাণের লক্ষ্যে জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে ক্যাপ ফাউন্ডেশন’র ট্রেজারার আলম হাসান রউফ,মেন্টাল হেল্থ এন্ড ওয়েলবিং প্রজেক্টের প্রধান মিসেস পলি ইসলাম (এমবিই), এ্যাম্বাসেডর নাজ চৌধুরী, সোসিয়াল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার, এ্যাম্বাসেডর নাজ রহমান ও তাঁর টিমসহ ক্যাপ সংশ্লিষ্ট বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও ক্যাপের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।