কারাগারে আটক থাকা শিশু কিশোরদের অবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত জেলা টাস্কফোর্সের এক সভা বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর অফিস কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান এর সভাপতিত্বে এ সভায় বক্তব্য রাখেন সমাজ সেবার প্রবেশন অফিসার তমির হোসেন চৌধুরী, সিভিল সার্জন এর প্রতিনিধি ডা. মির্জা লুৎফুল বারী, সিনিয়র জেল সুপার মঞ্জুর হোসেন, সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, ব্লাস্ট কো-অর্ডিনেটর মো. ইরফানুজ্জামান চৌধুরী, এফআইভিডিবি’র জিয়াউর রহমান শিপার, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের চাইল্ড রাইটস ফেসিলিটেটর প্রিয়াংকা দাস রায় প্রমুখ।
সভায় জেল সুপার জানান, বর্তমানে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে মায়ের সাথে অন্তরীণ ৩ জন মেয়ে ও ৩ জন ছেলে শিশু রয়েছে। সম্প্রতি এই জেলে মায়ের সাথে অন্তরীণ শিশুদের বিনোদনের জন্য শিশু কর্ণার ‘স্বপ্নপুরী’ চালু করা হয়েছে। সভায় জানানো হয়, সম্প্রতি ১৬ বছর ও সাড়ে ১৬ বছর বয়সী দুই কিশোরকে ২২ ও ২৫ বছর হিসাবে দেখিয়ে আসামি হিসেবে সিলেট কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। আইনজীবী মারফত তারা আদালতে প্রকৃত বয়সের প্রমাণাদি উপস্থাপনের জেরে গত সপ্তাহে তারা জামিন পেয়েছে।
মামলা রুজু সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে কিশোরদের আসামি হিসেবে উল্লেখ করার সময় বয়স জনিত ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের ওপর জোর দেয়া হয়। সভায় আরও জানানো হয়, কারাগারে মায়ের সাথে অবস্থানরত কোনো শিশুর বয়স ৬ বছর অতিক্রম করলে তাকে সরকারি শিশু আবাসন বা অন্যত্র স্থানান্তরের ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া প্রতি মাসে কারাগারে থাকা আইনের সাথে সাংঘর্ষিক এবং মায়ের সাথে অন্তরীণ শিশুদের তথ্যাবলী পৃথকভাবে উপস্থাপন করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি