দক্ষিণ সুরমার ৫নং সিলাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আত্তর আলী ৮ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে দক্ষিণ সুরমার কলাবাগানের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে রকিব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপত্বিতে ও আবু সামারে পরিচালনায় আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি লিখিত ইশতেহার ঘোষণা করেন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে তিনি ইশতেহার বাস্তবায়ন করবেন বলেও জানিয়েছেন।
তার ৮ দফা ইশতেহার হলো, শিক্ষাখাতে উন্নয়ন, সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, নাগরিক সুবিধাকে সহজতর করে গণমুখী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা, জবাবদাহিতা নিশ্চিতে উন্মুক্ত বাজেট অধিবেশন ও মতবিনিময় সভা, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারকে (ইউডিসি) অধিকতর সেবামুখী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা, ইউপি সদস্য, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আত্মউন্নয়নে নিয়মিত সমন্বয় সভার আহ্বান, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে কর্ম পরিকল্পনা, ইউনিয়নের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, হতদরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে অওাধিকার ভিত্তিতে সহায়তা প্রদান ইত্যাদি।
লিখিত ইশতেহারে তিনি বলেন, শিক্ষাখাতের উন্নয়নে আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে এবং ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে উদ্যোগী হয়ে ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের সমন্বয়ে সবগুলো প্রতিষ্ঠানের কমিটি/পরিচালনা পর্ষদ, ইউনিয়নের শিক্ষাবিদ-শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ, প্রতিষ্ঠান প্রধান ও প্রবাসী কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা নিয়ে একটি স্বতন্ত্র এডুকেশন ট্রাস্ট গঠন, সময়ের ব্যবধানে সিলাম ইউনিয়নে যাতে একটি এডুকেশন জোনে পরিণত হয় সে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হবে।
তিনি বলেন, একসময় আমাদের পূর্বপুরুষ তথা এই সিলাম ইউনিয়নবাসী সিলাম দক্ষিণ সুরমা তথা বৃহত্তর সিলেটের সালিশ বিচারকার্যে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ইনসাফভিত্তিক ওাম্য বিচারব্যবস্থাকে প্রতিষ্ঠিত করে সমাজে বিরাজমান নানাধরণের পারিবারিক, ভূ-সম্পত্তিগত এমনকি ছােটখাটো ফৌজারী অনেক বিষয়াবলীবে নিস্পত্তি করতে ভূমিকা রেখেছেন। ওাম্য সালিশ ব্যবস্থাকে আদালতও আমলে নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের অধিনে ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে গ্রাম আদালত প্রতিষ্ঠা করেছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সেই সালিশ ব্যবস্থা প্রায় ভেঙ্গে পড়েছে। প্রচলিত সালিশ ব্যবস্থাকে সমন্বয় করে যাতে ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ কোনো সমস্যা, থানা পুলিশ বা আালত পর্যায়ে গিয়ে মানুষ হয়রানীর শিকার যাতে না হয় সে জন্য ইউনিয়নের অভ্যন্তরের সালিশ বিচারকার্যে এমন মান্যবর ব্যক্তিরে সমন্বয়ে সর্বদলীয় একটি সালিশ বোর্ড বা জুরি বোর্ড গঠন করা হবে।
আত্তর আলী বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ প্রদত্ত নাগরিক সুবিধাকে সহজতর করে গণমুখী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হবে। ওামীন পর্যায়ের বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা যেমন- নাগরিকত্ব সনদ, জন্ম নিবন্ধন, মৃত্যু নিবন্ধন, উত্তরাধিকারী সনদ, ট্রেড লাইসেন্স, সামাজিক সুরক্ষা সেবা কর্মসূচি: টিআর, কাবিখা, কাবিটা, এলজিএসপি-১/২,এডিপি, বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যাক্ত ভাতা, বয়স্ক ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা,সরকার কর্তৃক বিভিন্ন আপদকালীন অর্থায়ন, ভিজিডি-ভিজিএফ। কার্ড রিলিফ, দুর্যোগকালীন সহায়তা সহ সরকার হতে প্রাপ্ত বিভিন্ন অনুদান।
এছাড়া অবকাঠামােগত উন্নয়নে সিসি, আরসিসি ঢালাই, ইট সয়েলিং, ছােট ছােট কালভার্ট ও ড্রেন নির্মাণ, নিম্নাঞ্চল এলাকায় গার্ডওয়াল নির্মান, বিদ্যালয়গুলােতে ওয়াসব্লক ও গারলস। ফ্যাসিলিটিস ভবন নির্মাণ, বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা (টিউবয়েল, নলকূপ স্থাপন), কৃষকদের মধ্যে কৃষি কার্ড-সার বীজ ও ভর্তুকি প্রদান, ছড়া খাল গুলােকে পুনঃখননসহ জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদ কর্তৃক প্রাপ্ত সবধরণের সুযােগ সুবিধাকে সুষম বণ্টন নীতিতে জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে সচেষ্ট থাকব। বিজ্ঞপ্তি