কাজিরবাজার ডেস্ক :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২০০১-এর আদলে প্রশাসন সাজাতে উঠে পড়ে লেগেছে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজনৈতিক জোট। দীর্ঘদিন ধরে এরা অনেকেই সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থেকে এখন আস্থাভাজন বনে গেছেন। ইতোমধ্যে তারা অনেকেই সরকারের নীতিনির্ধারণী কর্মকর্তা সেজে কাজ করছেন। তাদের কারসাজিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সরকারবিরোধী আখ্যায়িত করে পদোন্নতি বঞ্চিত করা হচ্ছে। দেয়া হচ্ছে না তাদের ভাল কোন পদে। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের আদর্শের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোর কার্যক্রম চলছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, প্রশাসনের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের শীর্ষ কমিটি সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি)। পাঁচ সদস্যের এই কমিটিতে মাত্র দুজন সরকারের তথা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের। বাকি তিন সদস্যই সরকারের আদর্শের পরিপন্থী। এই তিন সদস্যের কারণে এসএসবিতে কোণঠাসা থাকছেন সরকার পক্ষের কর্মকর্তারা। যে কারণে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী আদর্শের পরিবারের সন্তানরা পদোন্নতি বাগিয়ে নিচ্ছেন। শুধু পদোন্নতি পেয়েই ক্ষান্ত থাকছেন না। তারা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে সরকার পরিচালনা করছেন।
সূত্র জানায়, সরকারের আদর্শের কোন কর্মকর্তাকে ভাল কোন পদে পদায়নের প্রস্তাব পাঠানো হলে তাকে সরকার পরিপন্থী আখ্যায়িত করে তা বাতিল করে দেয়া হচ্ছে। এতে মূলত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীরা দিন দিন সরকারের কাছ থেকে দূরে চলে যাচ্ছেন। বিরোধীরা চান এভাবে সরকারের আদর্শের কর্মকর্তারা দূরে চলে যাক। যাতে মেয়াদের শেষ সময় সহজেই সরকারকে বেকায়দায় ফেলা যায়। বর্তমানে সরকারের সচিবদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসীদের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া বাকি সচিবরা হলেন সরকারের বিরোধী শিবিরের।
চলতি বছর ১১ ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্যে সচিব হিসেবে পদোন্নতি দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। জানা গেছে, সরকারবিরোধী কর্মকর্তারা এসএসবি বৈঠকের আগেই সচিব করার জন্য এই ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্যে ফিটলিস্ট তৈরি করেছেন। এই ফিটলিস্ট থেকে আগামীতে সচিব করার পরিকল্পনা তাদের হতে রয়েছে। যা একেবারেই প্রশাসনের নীতিবিরোধী কর্মকান্ড।
সূত্র জানায়, এই ফিটলিস্ট তৈরি করতে সাভার পিএটিসিতে পছন্দের কর্মকর্তাদের ডেকে গোপন সাক্ষাতকার নেয়া হয়। কর্মশালার নাম করে সেখানে তাদের এই সাক্ষাতকার সারা হয়। প্রশাসনের অতি শীর্ষ এক কর্মকর্তা তাদের এই সাক্ষাতকার গ্রহণ করেন। এই কর্মশালায় মোট ২৪ কর্মকর্তাকে ডাকা হয়। জামায়াত, বিএনপি আদর্শের কর্মকর্তাদের সচিব করতে কৌশলগতভাবে এই লিস্টে কয়েকজন সরকারপন্থী হিসেবে পরিচিত কর্মকর্তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নিরপেক্ষ তালিকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ২৪ জনের এই তালিকায় মাত্র চার কর্মকর্তা সরকারপন্থী এবং আওয়ামী পরিবারের সদস্য। বাকিদের মধ্যে জামায়াত-বিএনপিপন্থী ১৫ কর্মকর্তার নাম রয়েছে। চারজন রয়েছেন সুবিধাভোগী কর্মকর্তা। বর্ণচোরা এই কর্মকর্তারা দেশ বা সরকারের নয়, নিজের সুবিধাই বেশি বোঝেন। এরা কখনও দেশের জন্য মঙ্গলজনক নন। আর এক কর্মকর্তার সম্পর্কে এখনও পরিষ্কার কোন ধারণা পাওয়া যায়নি। যে সকল কর্মকর্তা তাদের স্বার্থ হাসিল করতে পারবেন তাদের এই তালিকায় রাখা হয়।
সম্প্রতি যুগ্ম সচিবে পদোন্নতি পেলেন ২১৩ কর্মকর্তা। এর মধ্যে জামায়াত-বিএনপি আখ্যায়িত করে মোট ৩৩ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানকে পদোন্নতি বঞ্চিত করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারের ২২ কর্মকর্তা এবং ইকোনমিক ক্যাডারের ১১ কর্মকর্তা রয়েছেন। খোদ আওয়ামী লীগের শাসনামলে সকল যোগ্যতা থাকার পরও পদোন্নতি পেলেন না মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও তাদের পরিবারের কর্মকর্তা। অথচ জামায়াত-বিএনপিপন্থী কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। এতে পদোন্নতি বঞ্চিত মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের কর্মকর্তাদের মধ্যে নেমে এসেছে চরম হতাশা।
বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাদের ব্যাচ ভেঙ্গে পদোন্নতি, নির্দিষ্ট সময়ে পদোন্নতি না দেয়া, ভারপ্রাপ্ত সচিবের পদ সৃষ্টি ও বিলুপ্তি, একদিন চাকরি থাকলেও সচিব পদে পদোন্নতি, আবার পদোন্নতির সময় যে কর্মকর্তা কমপক্ষে দুই বছর সচিব পদে চাকরি করতে পারবেন তাদেরই পদোন্নতি দেয়ার সিদ্ধান্তসহ অসংখ্য অলিখিত নিয়মের কারণে জটিলতা বাড়ছে প্রশাসনে। এতে ক্ষুব্ধ হচ্ছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। মনগড়া নিয়ম বাদ দিয়ে আইন ও বিধি মেনে এসএসবিকে কাজ করার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে যার সুবিধামতো সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্যের অধিকার হরণ করা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। প্রশাসনের শীর্ষ এ কমিটিকে সরকারের আইন ও বিধি মেনে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোসলেহ উদ্দিন আহমদ বলেন, প্রশাসনিক গতিশীলতা এবং গুড গবর্নেন্সের জন্য হঠাৎ অস্থায়ী ভিত্তিতে রুলস-রেগুলেশনের বাইরে গিয়ে কিছু করা উচিত না। রুলস-রেগুলেশন অনুযায়ী চললে প্রশাসনে গতিশীলতা এবং যারা প্রশাসনের মধ্যে কাজ করেন তাদের মধ্যে স্পৃহা, ভবিষ্যতে কাজ করার দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এর পরও মাঝে মধ্যে মনে হচ্ছে, কোন ব্যক্তিকে সামনে রেখে এসব অস্থায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। সেটা একটা সিভিল সার্ভিসের জন্য অদূর ভবিষ্যতে সুফল বয়ে আনবে না। সিভিল সার্ভিসে হতাশা দেখা দেবে। পুরো প্রশাসন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়বে। এ জন্য সরকারকেই বলিষ্ঠ ভূমিকা নিতে হবে। প্রশাসনকে গতিশীল করতে গেলে সঠিক রুল-রেগুলেশনের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। অস্থায়ী ভিত্তিতে করলে কখনও সুফল আসবে না।
জানা যায়, প্রশাসন ক্যাডারের ১১তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে এখন সচিব করা হচ্ছে। প্রথম ধাপে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া ১৩তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের সচিব করা হবে ২০২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বরের পর। আর দ্বিতীয় ধাপে পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তারা সচিব হতে পারবেন ২০২৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বরের পর থেকে। কারণ, ওইসব দিনে এই ব্যাচের কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত সচিব পদে কাজের দুই বছর পূর্ণ হবে, যা সচিব হওয়ার অন্যতম যোগ্যতা। তাই সচিব হওয়ার যোগ্যতা অর্জনের আগেই বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা অবসরে চলে যাবেন। সম্প্রতি পদোন্নতি পাওয়া ৮৯ অতিরিক্তি সচিবের মধ্যে ২০২২ সালেই প্রায় অর্ধশত কর্মকর্তা অবসরে যাবেন। এদিকে ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের ২০২২ সালে পিআরএল শুরু হচ্ছে, কিন্তু অতিরিক্তি সচিব পদোন্নতির কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি। বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নির্দিষ্ট সময়ে পদোন্নতি না হওয়ায় অতিরিক্ত সচিবের পদগুলোতে পদায়ন এবং গ্রেড-১ ও সচিব পদে পদোন্নতিতে বড় সঙ্কট তৈরি হতে পারে।
১৫তম ব্যাচের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয় ১৯৯৩ সালে। ১২৫ জনের এ ব্যাচের কর্মকর্তারা যোগ দিয়েছিলেন ১৯৯৫ সালের ১৫ নবেম্বর। ১০ বছর পর ২০০৫ সালে উপসচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ার কথা থাকলেও পদোন্নতি পেয়েছেন ২০১২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। ১৭ বছর পর, অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের সাত বছর পর তারা উপসচিব হয়েছেন। তিন বছর পর যুগ্ম সচিব হওয়ার কথা থাকলেও হয়েছেন ছয় বছর পর, ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর। যুগ্ম সচিব হওয়ার পর দুই বছর চাকরিসহ অন্যূন ২২ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলে অতিরিক্ত সচিব হওয়া যায়। কিন্তু যুগ্ম সচিব হওয়ার তিন বছর অতিবাহিত ও চাকরির অভিজ্ঞতা ২৬ বছর হওয়ার পরও এ ব্যাচের কর্মকর্তারা অতিরিক্ত সচিব হতে পারেননি। অথচ ১৩তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের এক বছর পর চাকরিতে যোগদান করেন ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তারা। দুই ব্যাচের কর্মকর্তাদের একই সঙ্গে উপসচিব করা হয়েছিল। ব্যাচ ভেঙ্গে পদোন্নতি দেয়ায় ১৩তম ব্যাচের দ্বিতীয় ধাপেও পদোন্নতির ট্রেন ধরতে পারেননি ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তারা। অথচ ১৫তম ব্যাচে যুগ্ম সচিব রয়েছেন মাত্র ৭৮ জন। এছাড়া ১৭তম ব্যাচে ৬৭ জন ও ১৮তম ব্যাচে ১০০ কর্মকর্তা রয়েছেন। এর মধ্যে অনেকে যুগ্ম সচিব হতে পারেননি। গত ২৯ অক্টোবর ২০তম ব্যাচ ভেঙ্গে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব ব্যাচের কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেয়া না হলে প্রশাসনে এক ধরনের সঙ্কটের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ কারণে সচিব হওয়ার সব যোগ্যতা থাকার পরও ১৫তম ব্যাচের অনেক কর্মকর্তার সচিব হওয়ার দৌড় থেকে বাদ পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
১৫তম ব্যাচের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ১৩তম ব্যাচ ভেঙ্গে পদোন্নতি দেয়ায় ১৫তম ব্যাচ প্রায় দেড় বছর পিছিয়ে গেছে। ফলে এ ব্যাচকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই পদোন্নতি দেয়া প্রয়োজন। তা না হলে সচিব পদে পদোন্নতি দেয়ার সময় সরকারের হাতে যোগ্য কর্মকর্তা বাছাইয়ের সুযোগ সঙ্কুচিত হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসএসবির এক সদস্য বলেন, সচিব পদে পদোন্নতির জন্য সব সময় কাছাকাছি তিনটি ব্যাচকে প্রস্তুত রাখা হয়। তাই ১৫তম ব্যাচকে শীঘ্রই অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেয়া হবে।
জানা যায়, ১৩তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়োগের সময় চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা বৃদ্ধি করেছিল সরকার। ফলে অনেক কর্মকর্তা বেশি বয়সে চাকরিতে যোগদান করেন। এখন অতিরিক্ত সচিব হতে না হতেই বেশিরভাগ কর্মকর্তা অবসরে চলে যাচ্ছেন। এর মধ্যে ১৩তম ব্যাচকে ভেঙ্গে দুই ভাগে পদোন্নতি দেয়ায় দ্বিতীয় ধাপের কর্মকর্তারা এক বছর পিছিয়ে গেছেন। আবার ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য বিবেচনায় না নেয়ায় তারা আরও পিছিয়ে গেছেন।
বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে সচিবালয় ক্যাডার একীভূত হওয়ায় ৮৪, ৮৫, ৮৬, ৯ম ও দশম ব্যাচে (৫ম, ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম, ৯ম ও ১০ম) মোট কর্মকর্তা ছিলেন এক হাজার ৫৩৩ জন। এর মধ্যে ৮৪ ব্যাচে ৩৮৩ জন, ৮৫ ব্যাচে ৫৮৪ জন, ৮৬ ব্যাচে ২৫২ জন, ৯ম ব্যাচে ১২৫ জন, দশম ব্যাচে ১৯১ জন কর্মকর্তা ছিলেন। এ জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদফতর ও মাঠ প্রশাসনে অতিরিক্ত সচিবের অনেক নতুন পদ বৃদ্ধি করা হয়। এসব ব্যাচের বেশিরভাগ কর্মকর্তা এখন অবসরে যাওয়ায় পদগুলো শূন্য থেকে যাচ্ছে। এ ছাড়া পদোন্নতির সময় যে কর্মকর্তা কমপক্ষে দুই বছর সচিব পদে চাকরি করতে পারবেন, তাদেরই পদোন্নতি দেয়ার অলিখিত সিদ্ধান্ত রয়েছে সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি)। এর পরের ব্যাচগুলোতে কর্মকর্তার সংখ্যাও অনেক কম। তাই ১৫, ১৭ ও ১৮তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিতে বিলম্ব করলে অতিরিক্ত সচিব পদে পদায়ন এবং গ্রেড-১ ও সচিব পদে পদোন্নতিতে সঙ্কট তৈরি হবে। বিভিন্ন অধিদফতর ও অনুবিভাগে দায়িত্ব পালনে জটিলতা বাড়বে। সচিব পদের যোগ্য কর্মকর্তাদের বাছাইয়ের সুযোগও কমে যাবে। তবে অতীতে একদিন চাকরি ছিল এমন কর্মকর্তাকেও সচিব করার দৃষ্টান্ত রয়েছে।