বড়লেখা থেকে সংবাদদাতা :
বড়লেখায় মানবাধিকারের হস্তক্ষেপে বিয়ের বৈধ কাগজ ও নির্যাতন না করার অঙ্গীকার নামা পেয়েছে দুই সন্তানের জননী রেজিয়া নামের এক মহিলা পুনরায় স্বামীর ঘরে ফিরেছে।
মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলা শাখায় মেয়েটির আবেদন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় ২০০৯ সালের প্রথম দিকে বড়লেখা উপজেলার রুকনপুর গ্রামের মৃত রজব আলীর ছেলে মাছুম আহমদ পাশের মুছেগুল গ্রামের মনোয়ার আলীর মেয়ে রেজিয়া বেগমের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ইসলামি সরিয়ত মোতাবেক বিয়ে করে। তাদের দু’জনের সংসারে একটি ছেলে ও একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। মাছুম মেয়েটির বিয়ের নিকাহ রেজিষ্ট্রার ও মোহরানা না দিয়ে সে এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা রেজিয়াকে একাদিক বার নির্যাতন চালায় এনিয়ে এলাকায় কয়েক দফা সালিশও হয় স্থানীয় ইউপি সদস্য খলিল উদ্দিন রেজিয়ার দুর্বলতার সুযোগে তাকে শীলতা হানির চেষ্টা অভিযোগ এনে মানবাধিকারে অভিযোগ করে মেয়েটি। ইউপি সদস্য অভিযুক্ত হয়ায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিস্পত্তির আশ্বাসে মানবাধিকারের নিকট থেকে অভিযোগটি নিয়ে এলাকায় ইউপি সদস্য ও এলাকার লোকজন নিয়ে সালিশি বৈঠকে রেজিয়ার মোহরানা ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকার নিকাহ রেজিষ্ট্রার করেন। আগামীতে এ ধরনের কোন শারীরিক ও মানসিক কান্ড না করতে দু’পক্ষের লিখিত ও নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলা শাখার মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম জানান ” মেয়েটিকে গতকাল শুক্রবার স্থানীয় ইউপি সদস্যরা আমাদের হস্তক্ষেপে বিয়ের বৈধ কাগজ করে স্বামীর ঘরে পাঠানো হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে মেয়েটির খোঁজ খবর রাখা হবে। এবং শালিস বৈঠকে সকলের সম্মুখে মেম্বার মেয়েটির স্বামীর বাড়ীতে না যাওয়ার আশ্বাস দেন।