স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটে একইদিনে হঠাৎ করে নিখোঁজ হওয়া ৩ জনের মধ্যে আপন দুই ভাইয়ের খোঁজ পাওয়া গেছে। রবিবার (১৪ নভেম্বর) বেলা ১টার দিকে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের দিরাই রাস্তায় তাদের পাওয়া যায়। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাদেরকে বাসায় নিয়ে আসছেন।
এর আগে গত শনিবার নগরীর জালালাবাদ থানার পশ্চিম পাঠানটুলা পল্লবী আবাসিক এলাকার ২৩/২নং বাসার কামাল আহমদের পুত্র রায়হান আহমদ (১৭) ও আব্দুল্লাহ (১১) নিখোঁজ হয়। তাদের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মকরমপুরে।
তাদেরকে গতকাল পাওয়া গেলেও বাকী এক যুবকের সন্ধান এখনো মেলেনি। রায়হান ও আব্দুল্লাহকে খোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাদের চাচা আফজাল আহমেদ। তবে তারা সেখানে কি করে গেল, কিভাবে তারা নিখোঁজ হলো তা তিনি বলতে পারেননি।
এর আগে এ দুজনের নিখোঁজের ঘটনায় তাদের ভাই রাজু আমিন বিমানবন্দর থানায় জিডি করেন। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, রাহয়ান আহমদ ও আব্দুল্লাহ বিমানবন্দর থানার শামীমাবাদ মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে। গত শনিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে মাদ্রাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে পাঠানটুলার বাসা থেকে বেরিয়ে যায় তারা। রাত ৯টার দিকে মাদ্রাসার শিক্ষক তাদেরকে জানান যে, রায়হান ও আব্দুল্লাহ মাদ্রাসায় যায়নি। পরে তিনি মদিনা মার্কেট এলাকার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে দেখেন যে, এ দুজন সিএনজি অটোরিকশায় চড়ে মেডিকেল রোডের দিকে গেছে। কিন্তু সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ করেও তাদের সন্ধান মেলেনি।
এদিকে, বালাগঞ্জের বোয়ালজোড় ইউনিয়নের রূপাপুরের অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের পুত্র মাহবুবুর রহমান মামুন (২০) এখনও নিখোঁজ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার বাবা মিজানুর রহমান। তিনি জানান, মামুন একটি সিগারেট কোম্পানিতে সেলসম্যান হিসেবে কাজ করেন। শনিবার সে কাজের উদ্দেশ্যে গোয়ালাবাজারে বেরিয়ে যান। কিন্তু রাতে আর সে ফিরে আসেননি। ওই কোম্পানির লোকদের কাছ থেকে খবর পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান মেলেনি। এ ঘটনায় ওসমানীনগর থানায় জিডি করা হয়েছে। মিজানুর রহমান জানান, মামুনের উচ্চতা ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি। তার গায়ের রঙ ফর্সা।