সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুধু বাংলা সাহিত্য নয়, বিশ্বসাহিত্যের সম্পদ। তার কলমে আমাদের সমাজ এবং সংস্কৃতি নির্মিত হয়েছে। সিলেট সম্প্রীতির নগরী, কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সিলেটে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন মুসলিম-হিন্দু-বৌদ্ধ সকলেই।মাছিমপুরে রবীন্দ্রনাথের আগমণ-সিলেটের জন্য মাইলফলক। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এই মাইলফলক তুলে ধরতে হবে। রবীন্দ্রনাথ, কাজী নজরুলসহ যারা সিলেটে এসেছেন, সব ইতিহাস সংরক্ষণ করতে হবে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বাঁচিয়ে রাখতে বই করা জরুরি।
মাছিমপুরে রবীন্দ্রনাথ: ১০২তম স্মরণোৎসব ও মণিপুরী নৃত্যু দিবস ২০২১-এ আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
৬ অক্টোবর শনিবার মাছিমপুরে রবীন্দ্রনাথ উৎসব উদযাপন পরিষদের আয়োজনে ও আহ্বায়ক মণিসেনা সিংহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়।
১০২ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে ১০২টি মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে সার্বিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিলেটে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার নিরাজ কুমার জয়সওয়াল ও সেকেন্ড সেক্রেটারি এন.কে.গঙ্গোপাধ্যায়।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিসিক এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) বিধায়ক রায় চৌধুরী,২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোস্তাক আহমদ।
এসময় আলোচনা করেন শাবিপ্রবির বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড.ফারজানা সিদ্দিকা, অধ্যাপক ড. রণজিৎ কুমার সিংহ ও সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি মিশফাক আহমদ চৌধুরী মিশু।
উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব সাংবাদিক সুনীল সিংহের পরিচালনায় এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উৎসব উদযাপনের যুগ্ম আহ্বায়ক সংগ্রাম সিংহ এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জ্যোতির্ময় সিংহ মজুমদার, নির্মল কুমার সিংহ ও রমেন্দ্র সিংহ বাপ্পা। আলোচনা সভার শুরতে গীতা পাঠ করেন অনুপ সিংহ।
সর্বশেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সিলেটের জনপ্রিয় রবীন্দ্রসঙ্গীত লাভলী সিনহা, প্রিয়ন্তী সিনহা, রাখী দে চৌধুরী, আকাশ রায়, শ্রেয়শ্রী দেবী সিনহা ও আবৃতি সিনহা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। পরে নৃত্যুানুষ্ঠানে মণিপুরী কালচারাল একাডেমী মাছিমপুর সিলেটের দিঘী সিনহা,দিয়া সিনহা,মেঘা সিনহা, মনিষা সিনহা, পৃথ্বিলা সিনহা প্রমা ও রাত্রী এবং বিএমসি প্রভা নিকেতন মাছিমপুর এর নৃত্য শিল্পী রশ্নী, ঋষিকা, বিপাশা, রূপা অংশগ্রহণ করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিধায়ক রায় চৌধুরী বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের অহংকার। তার লেখার রূপ-রস-গন্ধ আমাদের মাতোয়ারা করে। রবীন্দ্রনাথকে পাঠের মাধ্যমে আমাদের প্রজন্ম সাহিত্য-সংস্কৃতির মূল স্বাদ আস্বাদন করতে পারবে। বিজ্ঞপ্তি