কাজিরবাজার ডেস্ক :
ইসরাইলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার ১৫ জনের ছবি প্রকাশ করেছে তুরস্ক। সোমবার তুরস্কের একটি গণমাধ্যমে ওই মোসাদ গুপ্তচরদের ছবি প্রকাশ করা হয় বলে জেরুসালেম পোস্টে জানিয়েছে।
ওই গুপ্তচর নেটওয়ার্কের সদস্যদের পুরো নাম প্রকাশ করেনি তুরস্ক। ওই নেটওয়ার্কের অধিকাংশ সদস্যই তরুণ। তুর্কি গণমাধ্যমে তাদের বিভিন্ন অদ্যাক্ষর দিয়ে অভিহিত করা হয়েছে।
তুরস্কের দাবি মূলত পাঁচটি সেলে ভাগ হয়ে ওই নেটওয়ার্ক তাদের কর্মকাণ্ড চালাত। প্রতিটি সেলে তিনজন করে গুপ্তচর কাজ করতেন।
গ্রেফতার এসব গুপ্তচরদের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিকে তুরস্কের গণমাধ্যমে এম.এ.এস নামে অভিহিত করা হয়েছে । তিনি তুরস্কের কোনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন বলে জানা গেছে।
আরেক গুপ্তচরকে গণমাধ্যম এ.জে নামে অভিহিত করেছে, তিনি জার্মানভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। তিনি মোসাদের এই গুপ্তচর নেটওয়ার্কের ইনচার্জ ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরেকজন গুপ্তচরকে গণমাধ্যমে এ.বি নামে অভিহিত করেছে। এ.বির কাজ ছিল তুরস্ক ফিলিস্তিনকে কী কী সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে সে সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে পাচার করা।
এ.বি ২০১৫ সালের শেষের দিকে তুরস্কে এসেছিলেন। চলতি বছরের জুনে তিনি নিখোঁজ হয়েছেন বলে তুরস্কের কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করা হয়। মূলত তার ওপর থেকে নজর সরাতেই এই নিখোঁজের নাটক সাজানো হয় বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে।
গ্রেফতার বাকি এজেন্টের মধ্যে রয়েছেন বি.ইউ.টি নামে ২১ বছর বয়সী আরেক জার্মান ভিত্তিক সংস্থায় কর্মরত তরুণ, যিনি তুরস্কে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের তথ্য সংগ্রহ করতেন।
এছাড়া এ.জে.এ নামের ২৯ বছর বয়সী আরেক গুপ্তচর মোসাদ কর্মকর্তাদের কাছে সরাসরি তথ্য পাচার করতেন। তিনি অর্থ পাচারের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন।
২৯ বছর বসয়ী এন.এ নামের আরেক গুপ্তচর ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করতেন বলে তুর্কি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
তুর্কি গণমাধ্যমের মতে, ওই নেটওয়ার্কের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য ছিলেন ৪৬ বছর বসয়ী আর.এ.এ. যিনি ইসরাইলি কনস্যুলেট থেকে তহবিল পেয়েছিলেন। ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগরেবে তিনি মোসাদ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।
এছাড়া এ.আর.এ নামে ২৯ বছর বয়সী আরেক গুপ্তচর ইস্তাবুলে বসবাসরত আরব বিশ্বের নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহের জন্য বিটকয়েনের মাধ্যমে অর্থ দিতেন বলে জানা গেছে। তিনি কেনিয়ার নাইরোবিতে মোসাদ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন বলে কথিত আছে। তবে ওই নেটওয়ার্কের বাকিদের কাজ কী ছিল তা জানা যায়নি।
গত ৭ অক্টোবর গোপন অভিযানে মোসাদের গুপ্তচর সন্দেহে ওই ১৫ জনকে গ্রেফতার করে তুরস্ক।