স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট-এয়ারপোর্ট সড়কের মালনীছড়ায় বিআরটিসি বাসের অগ্নিকান্ডে অল্পের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৪৬ জন শিক্ষার্থী ও চালক-হেলপার প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে মালনীছড়া এলাকায় আসা মাত্র ‘ওভার হিটে’ এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ধর্মঘট চলাকালে সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৭ জন শিক্ষার্থী বিআরটিসির দুটি এসি বাসে বিছানাকান্দি ঘুরতে যান। সন্ধ্যায় ফেরার পথে ৪৬ জন শিক্ষার্থীকে বহনকারী বাসটি সালুটিকর এলাকায় পৌঁছামাত্র পেছন থেকে শ্রমিকরা ধাওয়া করেন। এ সময় বাসের পেছনে একটি ঢিল ছোড়া হয়। এতে বাসের গ্লাস ভেঙে দুই শিক্ষার্থী আহত হন। যদিও তাৎক্ষণিক তাদের নাম জানা যায়নি।
খোঁজ নিয়ে একাধিক সূত্রে জানা গেছে, পরিবহন শ্রমিক অবরোধ চলাকালে গাড়ির পেছনে ঢিল ছোড়া হলে আহত হওয়ার ভয়ে চালক দ্রুতগতিতে গাড়ি চালিয়ে নিয়ে আসেন। ঘটনাস্থলে আসামাত্র বাসের হেডলাইট বন্ধ হয়ে যায়। তাৎক্ষণিক হেলপার নেমে দেখতে পান ধোঁয়া বের হচ্ছে। আতঙ্কিত চালক ও শিক্ষার্থীরা নামতেই বাসে আগুন ধরে যায়। তখন শিক্ষার্থীরাও খাবার পানি দিয়ে আগুন নেভানোর ব্যর্থ চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ এসএমপির এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ সময় বাসে থাকা শিক্ষার্থীরা ঢিল ছোড়ার ঘটনা ও দুই শিক্ষার্থী আহত হওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। খবরে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে বিকল্প ব্যবস্থায় পুলিশ শিক্ষার্থীদের দরগাহ গেইটস্থ হোটেল গ্র্যান্ড মোস্তফায় পৌঁছে দেয়।
এ বিষয়ে এসএমপির এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ মঈনুল জাকির জানান, দুটি বাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৭ জন শিক্ষার্থী বিছানাকান্দি গিয়েছিলেন। ফেরার পথে একটি বাসে ঢিল ছোড়া হলে গ্লাস ভেঙে দুই শিক্ষার্থী আহত হন। চালক বাসটি নিয়ে সিলেট ক্যাডেট কলেজে এসে অবস্থান করে। সেখান থেকে ছেড়ে শহরে আসার পথে মালনীছড়া এলাকায় এলে হেডলাইট বন্ধ হয়ে যায়। গাড়ি বন্ধ করে যান্ত্রিক ত্রুটি খুঁজতে গিয়ে হেলপার দেখতে পান ধোঁয়া বের হচ্ছে। তা দেখে চালকসহ শিক্ষার্থীরা নেমে পড়তেই বাসে আগুন ধরে যায়। তিনি আরও জানান, অভার হিটের কারণে বাসটিতে আগুন ধরে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. বেলাল হোসেন জানান, বাসের আগুন তাৎক্ষণিক নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধান করছেন তারা।