সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বারবার নির্বাচিত কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ বলেছেন শিক্ষা ছাড়া নিজের উন্নয়ন তথা জাতীয় উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই আমাদের সবাইকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। বাংলাদেশ মণিপুরী ছাত্র সমিতি ‘বামছাস” বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয় এ ধরনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রয়াসের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি সুশিক্ষিত উন্নত জাতি গঠন সম্ভব। তিনি বাংলাদেশ মণিপুরী ছাত্র সমিতি আয়োজিত প্রাথমিক ও জুনিয়ার স্কলারশীপ পরীক্ষা প্রকল্পের বৃত্তিপ্রদান অনুষ্টানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকালে সিলেট প্রেসক্লাবে আমিনুর রশীদ মিলনায়তনে ‘বামছাস” কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি হিজম সুশীল এর সভাপতিত্বে আয়োজিত বৃত্তি প্রধান অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন ‘বামছাস” অন্যতম উপদেষ্টা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও প্রাবন্ধিক এল.নন্দলাল সিংহ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট রাজা জিসি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল মোমিত ও জুড়ি ছোটধামাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অহৈবম রনজিত সিংহ। বামছাস-এর সাধারন সম্পাদক এস কেশব সিংহ এর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বামছাস-এর বৃত্তি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান পুস্পদেবী সন্দিপা, জালালাবাদ হোমিও মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার প্রভাষক ডা.বাবলী দেবী সিনহা, সমাজ সেবক কে এইচ সমেন্দ্র সিংহ, বাংলাদেশ মনিপুরী সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক কবি নামব্রম শংকর বামছাস-এর উপদেষ্টা, বিশিষ্ট নাট্যজন এম উত্তম সিংহ রতন। সমস্ত অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন য়ুন্নাম স্নিগ্ধা। উক্ত অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের ফুলের তোড়া, উত্তরিয় পড়িয়ে দেন ‘বামছাস” এর নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য ১৯৯৫ সালে শুরু হওয়া প্রাথমিক ও জুনিয়ার স্কলারশীপ পরীক্ষা এ বছরের বৃত্তি পরীক্ষা ২০২০ সালের নভেম্বর বাংলাদেশের মণিপুরি অধ্যুষিত ৬টি কেন্দ্র যথাক্রমে সিলেট সদর, মৌলভীবাজারের ভানুগাছ, নলধরি, ছোট ধামাই, শ্রীমঙ্গল ও হবিগঞ্জের বিশগাও একযোগে অনুষ্ঠিত হয়। এতে টেলেন্টপুল, প্রথম গ্রেড ও দ্বিতীয় গ্রেডে মোট ২১ জনকে বৃত্তি প্রদান করা হয়। বৃত্তিপ্রাপ্তদের নগদ অর্থ, ক্রেষ্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। বিজ্ঞপ্তি