কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাট উপজেলার লোভা নদীর তীরবর্তী ঐতিহ্যবাহী বিশাল মেছার চরটি পাথর খেকোদের তান্ডব থেকে রক্ষা করার জন্য এলাকাবাসী স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউ.পির মেছাগ্রাম, সাউদগ্রাম, পশ্চিমপাড়া, বড়গ্রাম, কালিজুরি, নক্তিপাড়া, উজানবারাপৈত, ভাটিপৈত, সতিপুর, শরীফনগর, বাখালছড়া, কান্দলা, বাজেখেল ও ভালুকমারা গ্রামের শত শত মানুষ নদীর পারে লাঠি-সোটা নিয়ে অবস্থান করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। চরে অবস্থান করে পাথর খেকোদের হাত থেকে ঐতিহ্যবাহী এই চরটি রক্ষা করার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবী জানান তারা। প্রায় দেড় শতাধিক লোকজন লাঠিয়াল বাহিনী গঠন করে যান্ত্রিক চালিত বাহন দিয়ে চরটির নদীর তীরবর্তী এলাকায় বড় বড় গর্ত তৈরী করে সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন অব্যাহত রাখায় চরটির অনেক জায়গা লোভানদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। মহামান্য হাইকোর্ট ও নি¤œ আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সেখান থেকে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন করছে প্রভাবশালী লোকজন। চর এলাকায় ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকার পরও প্রশাসনের নির্দেশ মানছে না পাথর খেকো চক্র। এ পর্যন্ত চর থেকে প্রায় ১০ লক্ষ ঘন ফুট পাথর উত্তোলন করছে তারা। অপর দিকে উত্তর লক্ষ্মীপ্রসাদ গ্রামের লোকজন জানিয়েছেন, চরটির অনেক জায়গা এসএ সূত্রে তারা মালিক। এ ব্যাপারে উপজেলা ভূমি অফিস তাদের পক্ষে প্রতিবেদন দিয়েছে। তারা তাদের জায়গা থেকে পাথর তুলছেন। বিক্ষোভ প্রদর্শনকালে স্থানীয় লোকজন দেশীয় লাঠি-সোটা নিয়ে অবস্থান করে জানান, মেছার চরটিতে বিভিন্ন জাতের সব্জির বাম্পার ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। এ চরের মিষ্টি কুমড়া, টমেটু, বেগুন, বরবটি, ফরাস, ফুলকপি, বাধাকপি, শালগম, শষা, ধনিয়া পাতাসহ ইত্যাদি দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। মেছাগ্রাম সহ এলাকার কয়েকটি গ্রামের মানুষ এ চরে শীত মৌসুমে নানা ধরনের সব্জি চাষ করে কুটি টাকা আয় করে থাকেন। যুগযুগ ধরে চরটির মালিক ও দখলদার মেছাগ্রাম এলাকার লোকজন। গায়ের জোরে উত্তর লক্ষীপ্রসাদ গ্রামের অধিকাংশ লোকজন তাদের চর থেকে অবৈধ ভাবে কয়েক মাস থেকে পাথর উত্তোলন করছে।