কাজিরবাজার ডেস্ক :
মালয়েশিয়ার ডিপোর্টেশন সেন্টারে অবস্থানরত সহস্রাধিক বাংলাদেশিকে দ্রুত দেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশ দূতাবাস। কোভিড পরিস্থিতিতে ফ্লাইটের স্বল্পতার কারণে গত কয়েক মাসে অত্যন্ত অল্প সংখ্যক বাংলাদেশিকে সেন্টার থেকে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হওয়ায় ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত মো. গোলাম সারওয়ার বলেন, ‘কোভিড পরিস্থিতির উন্নতির কারণে ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো আগের থেকে কিছুটা সহজ হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে দুটি কাজ করছি। প্রথমত, ফেরত পাঠানোর বিষয়টি দেখাশোনা করছি। দ্বিতীয়ত ওই সেন্টারে যাদের আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় থেকে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া সম্ভব তাদের সহায়তা করছি।’
নিয়মিত অভিযান
কোভিড পরিস্থিতির কারণে মালয়েশিয়ার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষত অভিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। যেসব জায়গায় কোভিড নিয়ম কানুন মানা হয় না সেখান থেকে অনেককে ধরা হয়ে থাকে। অনেক সময়ে অনিবন্ধিত অভিবাসীরাও ধরা পড়ে। এ ধরনের একটি নিয়মিত অভিযানে বৃহস্পতিবার রাতে প্রায় ৯৫ জন বাংলাদেশি ধরা পড়েছে।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এটি নিয়মিত অভিযানের অংশ। কোভিডের কথা বলে তারা এই অভিযান পরিচালনা করে।’
ওই বাংলাদেশিদের কি হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায় এরমধ্যে একটি ভালো অংশের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আছে এবং তাদের যাচাই বাছাই করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
এছাড়া যারা অনিবন্ধিত অর্থাৎ ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বা প্রয়োজনীয় কাগজ নেই তাদেরকে ডিপোর্টেশন সেন্টারে ফেরত যাওয়ার জন্য পাঠানো হয়ে থাকে বলে জানান তিনি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘অনিবন্ধিতদের একটি অংশ মালয়েশিয়া সরকারের রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রামের আওতায় নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। প্রোগ্রামটি ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান থাকায় তাদের ফেরত যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।’
দূতাবাস ইমিগ্রেশন অফিসের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বৈধ কাগজপত্রধারীদের নিয়মিত অভিযানে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’