আট বিভাগীয় শহরে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা ॥ ১ অক্টোবর শুরু

3

কাজিরবাজার ডেস্ক :
শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে প্রথমবারের মতো বিভাগীয় শহরগুলোয় ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র স্থাপন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। এ বিষয়ে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের সবার জন্য এটি একটি চ্যালেঞ্জ এবং নতুন অভিজ্ঞতা। তবে এই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে যেকোন ধরনের অনিয়ম, জালিয়াতি প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতি থাকবে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদা তৎপর রয়েছে।’
করোনা মহামারীর কারণে বার বার পিছিয়ে যাওয়া ঢাবির স্নাতক প্রথমবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১ অক্টোবর শুরু হচ্ছে। এ উপলক্ষে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল মতিন ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাবি উপাচার্য এ মন্তব্য করেন। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় পাঁচটি ইউনিটের ৭ হাজার ১৪৮টি আসনের বিপরীতে মোট ৩ লাখ ২৪ হাজার ৩৪০ শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। অর্থাৎ প্রতি আসনের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন গড়ে ৪৫ ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী।
দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। চট্টগ্রাম বিভাগের শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে, রাজশাহী বিভাগের শিক্ষার্থীরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে, খুলনা বিভাগের শিক্ষার্থীরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে, সিলেট বিভাগের শিক্ষার্থীরা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে, রংপুর বিভাগের শিক্ষার্থীরা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে, বরিশাল বিভাগের শিক্ষার্থীরা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ময়মনসিংহ বিভাগের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা দেবেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সাতটি বিভাগীয় শহরে প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের নেতৃত্বে প্রক্টরিয়াল টিম সর্বোচ্চ নজরদারি রাখবে। ইতোমধ্যে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি কোন ধরনের অনিয়ম হবে না।’
‘ক’ ইউনিটে ১ লাখ ১৭ হাজার ৯৫৭টি, ‘খ’ ইউনিটে ৪৭ হাজার ৬৩২টি, ‘গ’ ইউনিটে ২৭ হাজার ৩৭৪টি, ‘ঘ’ ইউনিটে ১ লাখ ১৫ হাজার ৮৮১টি এবং ‘চ’ ইউনিটে ১৫ হাজার ৪৯৬টি আবেদন জমা পড়েছে। এছাড়া প্রতি আসনের বিপরীতে ‘ক’ ইউনিটে ৬৪ জন, ‘খ’ ইউনিটে ২০ জন, ‘গ’ ইউনিটে ২১ জন, ‘ঘ’ ইউনিটে ৭৩ জন এবং ‘চ’ ইউনিটে ১১৪ জন লড়বেন।
এবার পরীক্ষা পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। মোট ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। ৮০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বাকি ২০ নম্বর থাকবে এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএ এর ওপর। ৮০ নম্বরের মধ্যে ৩০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৫০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে। পরীক্ষাগুলো সকাল এগারোটা থেকে দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ‘ক’ ইউনিটের সমন্বয়ক ও জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা, ‘খ’ ইউনিটের সমন্বয়ক ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, ‘গ’ ইউনিটের সমন্বয়ক ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল মঈন, ‘ঘ’ ইউনিটের সমন্বয়ক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।