কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রাপ্তির সঙ্কটের মধ্যেও বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো করোনার ৪ কোটি টিকা প্রদানের মাইলফলক অর্জন করেছে। বিভিন্ন উৎস থেকে এখন পর্যন্ত দেশে মোট টিকা এসেছে ৪ কোটি ৯৪ লাখ ২৯ হাজার ৯৪০ ডোজ। আজ দেশে এসে পৌঁছাবে ফাইজারের আরও ২৫ লাখ ডোজ টিকা। এসব টিকার মধ্যে শনিবার পর্যন্ত প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে ২ কোটি ৪১ লাখ ৯৭ হাজার ৫৯৮ জন মানুষকে। আর প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজের টিকা পেয়েছেন ১ কোটি ৬০ লাখ ৩৩ হাজার ৯৭১ জন। এতে করে দেশে এখন মোট টিকাপ্রাপ্ত মানুষের সংখ্যা ৪ কোটি ২ লাখ ৩১ হাজার ৫৬৯ জন। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে টিকা রফতানি বন্ধের পর টিকা প্রদান কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়ার পরও এরকম অর্জনকে মাইলফলক হিসেবে বলছেন সংশ্লিষ্টরা। শুধু তাই নয় বিভিন্ন উৎসসহ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে আরও ১০ কোটি টিকাসহ মোট ২৪ কোটি টিকা কেনার প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে। যা সরকারের সফল কূটনৈতিক তৎপরতার ফলাফল হিসেবেই দেখছেন অনেকে। এসব টিকা প্রাপ্তিসাপেক্ষে খুব শীঘ্রই বড় পরিসরে টিকা আবারও টিকাদান কর্মসূচী পরিচালনা করার কথা ভাবছে সরকার।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানায়, আজ সোমবার রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আমেরিকার ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য থেকে ন্যাশনাল এয়ার লাইন্স কার্গো বিমানে কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের আওতায় ২৫ লাখ ডোজ ফাইজারের টিকা দেশে এসে পৌঁছাবে। এর আগে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে প্রথম দফায় ১০ লাখ ৩ হাজার ৮৬০ ডোজ টিকা দেশে এসেছে। আজকের ২৫ লাখের সঙ্গে এ নিয়ে দেশে ফাইজারের মোট টিকার সংখ্যা হবে ৩৬ লাখ ৪ হাজার ৪৮৯ ডোজ হবে। শুধু তাই নয় এ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, মডার্নার ভ্যাকসিনসহ কেনা এবং কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের আওতায় দেশে এখন পর্যন্ত মোটি টিকা এসেছে ৪ কোটি ৯৪ লাখ ২৯ হাজার ৯৪০ ডোজ। এছাড়াও চীনের সিনোফার্মের ৬ কোটি ডোজ টিকা কেনার চুক্তি অনুযায়ী এ মাস থেকেই মাসে ২ কোটি ডোজ করে টিকা দেশে আসার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে আরও ১০ কোটি ডোজসহ মোট ২৪ কোটি ডোজ টিকা কেনার প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে। এসব টিকা হাতে পৌঁছালে সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসায় আর কোন বাধা থাকবে বলে দাবি করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
২০২০ সালের ৫ নভেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট এব বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে টিকা আমদানির বিষয়ে চুক্তি হয়। এরপর ২১ জানুয়ারি ভারত সরকারের উপহার হিসেবে দেশে আসে ২০ লাখ ডোজ টিকা। ২৫ জানুয়ারি কেনা টিকার প্রথম চালান আসে। ওই সময় ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসে দেশে। কেনা টিকার দ্বিতীয় চালান আসে ২২ ফেব্রুয়ারি। প্রতি চালানে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসার কথা থাকলেও ওই দিন ২০ লাখ ডোজ টিকা আসে। ২৬ মার্চ ভারত সরকার আবারও ১২ লাখ ডোজ উপহার হিসেবে দেয় বাংলাদেশকে। সব মিলিয়ে ভারত থেকে মোট ১ কেটি ২ লাখ ডোজ টিকা দেশে এসেছে। এসব টিকা প্রাপ্তির পরপরই চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে একযোগে শুরু হয় করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচী। প্রথম দিনে ঢাকাসহ সারাদেশে ১ হাজার ৫টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা দেয়া হয়, যার মধ্যে ছিল ঢাকার ৫০টি কেন্দ্র। ঢাকায় ২০৪টি এবং ঢাকার বাইরে ২ হাজার ১৯৬টি স্বাস্থ্যকর্মী দল এসব কেন্দ্রে সরাসরি টিকাদানে কর্মকান্ডে নিয়োজিত ছিল। এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছিলেন, বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ, অর্থাৎ ১৩ কোটি ৮২ লাখ ৪৭ হাজার ৫০৮ জন মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার। প্রত্যেককে দুই ডোজ টিকা দেয়া হবে। কিন্তু হঠাৎ করে ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়লে নিজেদের উৎপাদিত টিকা রফতানি বন্ধ করে দেয় দেশটি। ফলে দেশটি থেকে কোভিশিল্ডের আর কোন টিকা দেশে আসেনি।
এতে করে টিকার সঙ্কট দেখা দেয়ায় ২৬ এপ্রিল থেকে প্রথম ডোজ দেয়া এবং ২ মে’র পর থেকে টিকার জন্য নিবন্ধন বন্ধ ঘোষণা করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। পরবর্তীতে সিনোফার্ম ফাইজার ও মডার্নার টিকা প্রাপ্তির পর সেই প্রতিবন্ধকতা দূর হলে পুনরায় চালু হয় টিকার প্রথম ডোজ ও নিবন্ধন কার্যক্রম। ১৯ জুন সারাদেশে আবার শুরু হয় করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেয়ার কার্যক্রম। আর দীর্ঘ বিরতির পর ৮ জুলাই থেকে আবারো টিকার জন্য নিবন্ধন কার্যক্রম উন্মুক্ত করা হয়।
টিকা পাওয়ার জন্য সরকারের নানামুখী তৎপরতার ফল হিসেবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বে গ্লোবাল এ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস এ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস (গ্যাভি) এবং কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনসের গড়া প্ল্যাটফর্মের (কোভ্যাক্স) সুবিধার আওতায় ৩১ মে দেশে আসে ফাইজারের ১ লাখ ৬০০ ডোজ টিকা। চীন সরকার ১২ মে সিনোফার্মের ৫ লাখ ও ১৩ জুন ৬ লাখ ডোজ মোট ১১ লাখ ডোজ টিকা উপহার হিসেবে দেয় বাংলাদেশকে। সরকারের চুক্তির আওতায় ১ ও ২ জুলাই চীন থেকে আসে আরও ২০ লাখ ডোজ টিকা। আর ১৭ জুলাই আসে আরও ২০ লাখ ডোজ টিকা। টিকা পাওয়ার জন্য সরকারের নানামুখী তৎপরতার ফলাফল হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আবারও টিকা আমদানিতে ফিরে গতি। ফলে চলতি বছরের মধ্যেই দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, চীন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি থেকে ২৪ কোটি ৩০ লাখ ডোজ টিকা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা রয়েছে। এর মধ্যে চীন থেকে ৭ কোটি ডোজ ও ডব্লিউএইচও থেকে ১০ কোটি ৫০ লাখ ডোজ টিকা কেনার চুক্তি হয়েছে। এছাড়া কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটির আওতায় আরও ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়া যাবে। তাই আমাদের টিকার সঙ্কট হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আমরা লক্ষ্যপূরণ করতে পারবই।
এর আগে চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি কোভিশিল্ড টিকার অনুমোদন দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। ভারতের প্রতিশ্রুত টিকা না পেয়ে সঙ্কট তৈরি হয়। সঙ্কট কাটাতে বিকল্প উৎস থেকে চলে টিকা সংগ্রহের চেষ্টা। এরপর থেকে একে একে দেশে এসেছে চীনের তৈরি সিনোফার্ম, ফাইজার-বায়োএনটেক ও মর্ডানার টিকা। ২৯ এপ্রিল সিনোফার্মের টিকার অনুমোদন দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। ২০ জুন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এই চার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিক্যালের শিক্ষার্থীদের ওপর টিকা প্রয়োগ করা হয়। আর সারাদেশে সিনোফার্ম টিকার প্রয়োগ শুরু হয় ১ জুলাই। ২৭ মে দেশে জরুরী প্রয়োগের অনুমতি পায় ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা। ২১ জুন ফাস্ট রান হিসেবে দেশের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এই তিন হাসপাতালে প্রয়োগ হয় এই টিকা। ১ জুলাই এই তিন হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত হয় আরও চারটি হাসপাতাল। সেগুলো হলো ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর জরুরী ব্যবহারে জন্য ২৯ জুন মডার্নার টিকার অনুমতি দেয়। দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান ক্যাম্পেন কার্যক্রমে মর্ডানার টিকা যুক্ত হয় ১৩ জুলাই। রাজধানীসহ সকল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এই টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকার ৪০টি সরকারী হাসপাতাল ও ঢাকার বাইরে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিভিন্ন হাসপাতালে এ টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে। এছাড়া ২৭ এপ্রিল স্পুটনিক-ভি, ৩ জুন সিনোভ্যাক, ১৫ জুন জনসন এ্যান্ড জনসন জরুরী ব্যবহারের জন্য অনুমতি দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। এসব টিকা এখনও দেশে না আসলে ভবিষ্যতে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া দেশেও টিকা উৎপাদনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ১৭ আগষ্ট দেশেই করোনার টিকা উৎপাদনের লক্ষ্যে চীনের সিনোফার্মের সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার। সিনোফার্মের এ টিকা উৎপাদন করবে ইনসেপটা ভ্যাকসিন লিমিটেড। রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানে (বিসিপিএস) আনুষ্ঠানিক এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির পরই দেশে সিনোফার্মের করোনার টিকা উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু হয়। টিকা উৎপাদনের বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, মূলত ‘বাল্ক’ এনে এ দেশে তা রিফিল বা ফিল ফিনিশড তৈরি করবে দেশের ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইনসেপটা ভ্যাকসিন লিমিটেড। যদিও ওই সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছিলেন, তিন মাসের মধ্যে দেশে সিনোফার্মের টিকা উৎপান সম্ভব এবং প্রতি মাসে অন্তত ৪ কোটি টিকা তৈরির সক্ষমতা রয়েছে। তবে এটি এখনও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
হতাশার জায়গা থেকে টিকা প্রদানে ৪ কোটির মাইলফলকে বাংলাদেশ। টিকা প্রাপ্তির সঙ্কটেও এটি সম্ভব হয়েছে। কিভাবে সম্ভব হলো এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আপনি জানেন, সেই শুরু থেকেই যখন গোটা বিশ্বই লকডাউনে আছে, কেউই বুঝতে পারছে না কি করা উচিত সেই সময় থেকেই আমরা আমাদের প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছি। করোনা মোকাবেলায় প্রথমেই আমরা একটি চিকিৎসা গাইডলাইন করেছি, টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়া শুরু করেছি, হটলাইনের মাধ্যমে ১ হাজারেরও বেশি চিকিৎসক হটলাইনে লাখ লাখ মানুষের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে। পাশাপাশি দেশের শীর্ষ পর্যায়ে আমার নেতৃত্বে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটিসহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, দেশে মাত্র একটি টেস্টিং ল্যাব ছিল। গোটা বিশ্ব যখন লকডাউনে, টেস্টিং ল্যাব বৃদ্ধি করা, পিপিইসহ কিটস সংগ্রহ করা যখন কঠিন কাজ তখন আমরা নিভৃতে বিভিন্ন মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে কিটস, পিপিই সংগ্রহ করেছি, মাত্র একটি টেস্টিং ল্যাব থেকে এখন ৮২০টি ল্যাব হয়েছে। ১৭ হাজার কোভিড ডেডিকেটেড বেড করা হয়েছে যদিও এখন এগুলোর ৮৫ ভাগই খালি হয়ে গেছে। এখন আপনার প্রশ্নের উত্তরে চলে আসি। টিকা নিয়ে যখন গোটা বিশ্বেই হাহাকার অবস্থা, কে কোথা থেকে টিকা সংগ্রহ করবে এ নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, তখন টিকার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে দফায় দফায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী খুব বিচক্ষণ ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়ে দ্রুততম সময়ে অর্থছাড়ের ব্যবস্থা করেছেন, পরামর্শ ও নির্দেশনা দিয়েছেন এবং সবসময়ই মনিটরিং করেছেন। ভ্যাকসিন কিনতে করতে আমরা কোনভাবেই একটি দেশের ওপর নির্ভর করিনি। একই সাথে চীন, রাশিয়া, ইউকে, আমেরিকাসহ টিকা উৎপাদনকারী সব দেশের সঙ্গেই যোগাযোগ রেখেছি। আজ দেখুন, বিশ্বের বহুদেশ এখনও টিকা কিনতেই পারেনি। টিকা না পাওয়ায় মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এর মতো দেশের রাজনৈতিক অবস্থা আপনারা জানেন। অথচ আমরা এখন পর্যন্ত নানাভাবে দেশে ৫ কোটির ওপরে টিকা আনতে সক্ষম হয়েছি। চীনের ৭ কোটি ডোজ টিকা কেনা হয়েছে যা প্রতি মাসে ২ কোটি ডোজ করে দেশে আসা শুরু হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে আরও সাড়ে ১০ কোটি ডোজ কেনাসহ কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের মাধ্যমে আরও ২৪ কোটি টিকা পাওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর শুভ জন্মদিন। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে আমরা এক দিনেই ৮০ লক্ষ মানুষকে টিকা দেয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। এই কাজে ৮০ হাজারের মতো মানুষ কাজ করবে। এই প্রোগ্রামে সফল হতে পারলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সকল মানুষকেই আগামী বছরের শুরুর দিকেই টিকা দেয়া সম্ভব হবে।