হবিগঞ্জ সদরে প্রধানমন্ত্রীর শতভাগ বিদ্যুতায়ন উদ্বোধন

32

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা
হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই প্রথম হবিগঞ্জ জেলার কোনো উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় এলো।
রবিবার (৫ আগষ্ট) দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের ২১ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন করেন তিনি।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় প্রায় ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮৪৭ কিলোমিটার লাইন নির্মাণের মাধ্যমে ৫২ হাজার একটি বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। এই উপজেলায় উপকেন্দ্রের সংখ্যা একটি এবং মোট ক্ষমতা ২০ এমভিএ।
দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- হবিগঞ্জ সদর-লাখাই আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির, হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ, পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা, শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডা. মো. আবু সুফিয়ান, বৃন্দাবন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এলিয়াছ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফজলুল জাহিদ পাভেল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম, হবিগঞ্জ জজকোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক চৌধুরী, নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. আলমগীর চৌধুরী, বাহুবল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হাই, জেলা পরিষদ সদস্য অ্যাড. সুলতান মাহমুদ, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শাহ ফখরুজ্জামানসহ সরকারি সব বিভাগের প্রধান, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ এবং সুশীল সমাজের একাংশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেয়ার আগে হবিগঞ্জে উপস্থিত অতিথিবৃন্দের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন- সংসদ সদস্য অ্যাড. মো. আবু জাহির।
এ সময় তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনকে নিয়ে যায় ৪ হাজার ৩০০ মেঘাওয়াটে। এরপর বিএনপি-জামায়াত এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ৭ বছরে বিদ্যুতের বারোটা বাজায়। ২০০৮ সাল পর্যন্ত তারা বিদ্যুতের উৎপাদনকে কমিয়ে নিয়ে যায় ৩ হাজার ৭০০ মেঘাওয়াটে। পরবর্তীতে বিগত সাড়ে ৯ বছরে বর্তমান সরকার বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়িয়ে ১৮ হাজার ৭০০ মেঘাওয়াটে দাঁড় করিয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের এই বৈপ্লবিক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুপরিকল্পিত নেতৃত্বের কারণে।