কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনার ধকল কাটিয়ে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে দেশ। ভেঙ্গে পড়া শিক্ষাব্যবস্থা পুনরুদ্ধারে খুলে দেয়া হয়েছে স্কুল-কলেজ। খোলার প্রক্রিয়ায় রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও। কিন্তু এরই মধ্যে বিপুল সংখ্যক মেয়ে শিশু শিক্ষার্থী কমে গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঝরে পড়া এসব শিক্ষার্থীর বেশিরভাগেরই বিয়ে হয়ে গেছে। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রায় দুই বছরে দেশে আশঙ্কাজনকভাবে হয়েছে বাল্যবিয়ে। অনেক স্কুলের এক তৃতীয়াংশ মেয়ে শিক্ষার্থীই ক্লাসে অনুপস্থিত থাকায় এ আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর আর্থিক অনিশ্চয়তা এবং সামাজিক অসচেতনতাকেই এর অন্যতম কারণ বলে দাবি করছেন তারা।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসের হিসাবে দেখা যায়, জানুয়ারিতে দেশে বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটেছে চারটি। যা মার্চে গিয়ে দাঁড়ায় ৫ এ। এপ্রিলে কমে হয় ২টিকে। মে মাসে আরও কমে দাঁড়ায় ১ জনে। তবে এ সময় বাল্যবিয়ের চেষ্টা হয়েছে মে-এপ্রিল মাসে ২ জনের। জুনে ৬ জন, জুলাইয়ে ১ জন এবং আগস্টে ৪ জনের। তবে ২০২০ সালে এ চিত্র ছিল ভয়াবহ। ওই বছরের শুধু ডিসেম্বরে দেশে বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটেছে ১১৭টি। বাল্যবিয়ের চেষ্টা হয়েছে ৩৩টি। নবেম্বরে বিয়ে হয়েছে ১৪টি। অক্টোবরে ৬টি। সেপ্টেম্বরে মোট বাল্যবিয়ে হয়েছে ১৯টি। আগস্টে চারটি। জুলাইয়ে ৫টি। জুনে একটি এবং করোনা সংক্রমণের শুরুর মাস অর্থাৎ ২০২০ সালের মার্চে বাল্যবিয়ে হয়েছে ৮ শিশুর। এসব শিশুর বেশিরভাগই বিদ্যালয়গামী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত দেড় বছরে সাতক্ষীরার আলীপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫০ জন ছাত্রীর বিয়ের ঘটনা ঘটেছে। বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিকভাবে অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণীর অন্তত ৫০ জন ছাত্রীর বিয়ের কথা জানা গেছে। এদের মধ্যে ১৮ জন এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। তাদের বয়স ১৩ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। বিষয়টি তদন্তে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
দেশের অনেক এলাকায়ই গত দেড় বছর স্কুল বন্ধ থাকার সময় বিয়ে হয়ে গেছে অনেক স্কুলছাত্রীর। আইনে নিষেধ থাকা সত্ত্বেও কিভাবে এত বাল্যবিয়ে হচ্ছে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, কাজী, আইনজীবী ও অভিভাবকরা মিলে নতুন কৌশলে বাল্যবিয়ে দিচ্ছেন। নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ‘বিয়ের ঘোষণাপত্র’ তৈরি করে দিচ্ছেন এক শ্রেণীর অসাধু আইনজীবী। নিকাহ রেজিস্ট্রাররা বিয়ে নিবন্ধন করার সময় ছেলে- মেয়ের জন্ম নিবন্ধন, স্কুল বা কলেজের সনদসহ বিভিন্ন কিছু যাচাই করেন। কারও বয়স কম থাকলে তারা বিয়ে নিবন্ধন করাতে আপত্তি জানান। যে কারণে অভিভাবকরা চলে যান আইনজীবীর কাছে। ভুয়া জন্মনিবন্ধন নিয়ে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ‘বিয়ের ঘোষণাপত্র’ নামের একটি লিখিত নথি তৈরি করেন। তারপর সেটিকে বিয়ে বলে চালিয়ে দেন।
‘কোভিড-১৯ মহামারীকালীন বাংলাদেশে বাল্যবিয়ে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ’ শীর্ষক একটি জরিপ পরিচালনা করে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)। ওই জরিপে দেখা গেছে, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দেশের ২১টি জেলায় অন্তত ১৩ হাজার ৮৮৬টি বাল্যবিয়ে হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ এক হাজার ৫১২টি বাল্যবিয়ে হয়েছে বরগুনা জেলায়। এর ৭৮ শতাংশ ক্ষেত্রে মা-বাবারা তাদের আর্থিক অসচ্ছলতাকে মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করে মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। যাদের প্রায় অর্ধেকের বয়স ১৬-১৭ বছর, ৪৮ শতাংশের বয়স ১৩-১৫ বছর এবং বাকি ২ শতাংশের বয়স ১০-১২ বছর বলে জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে সর্বোচ্চ ১০টি বাল্যবিয়ের দেশের মধ্যে বাংলাদেশের স্থান শীর্ষে। বাংলাদেশে বাল্যবিয়ের হার ৫১ শতাংশ। যার মধ্যে প্রতি ১০ জনে পাঁচটি মেয়ে ১৮ বছর হওয়ার আগেই এবং প্রতি ১০ জনে আটজন ২০ বছর হওয়ার আগেই মা হয়ে যায়।
ইউনিসেফের মতে, দরিদ্র মা-বাবা অন্ধভাবে বিশ্বাস করেন, মেয়েরা চাকরি করতে পারবে না, শুধু ছেলেরাই পরিবারকে অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করতে পারে। অন্যদিকে ধনী পরিবারের অনেকে মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে তাদের সতীত্ব রক্ষা করছে। যৌন সহিংসতা থেকে রক্ষায় মা-বাবা বয়ঃসন্ধির শুরুতে মেয়েদের বিয়ে দিচ্ছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
করোনা সংক্রমণের উর্ধগতির সময় অনেক বাবা-মা বেকার হয়ে যাওয়ায় আর্থিক অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। নিশ্চয়তার অভাবে অনেক মা-বাবা বাধ্য হয়ে মেয়ে শিশুকে বিয়ে দিয়েছেন বলে মনে করছেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। তিনি বলেন, এটা খুবই অপ্রত্যাশিত ঘটনা। এই দুই বছরে বিপুল পরিমাণ মেয়ে শিক্ষার্থী শ্রেণীকক্ষ থেকে হারিয়ে গেছে। এর অন্যতম কারণ বাল্যবিয়ে। সামাজিক অসচেতনতাই বলি আর সামাজিক নিরাপত্তার কথাই বলি না কেন বলি হচ্ছে আমাদের মেয়ে শিশুরাই। এক্ষেত্রে মেয়ে শিশুদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা, বৃত্তি-উপবৃত্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি বলেন, মিথ্যা জন্মনিবন্ধন তৈরির ব্যবস্থা বন্ধ করতে হবে। কারণ এই মিথ্যা জন্মনিবন্ধন দিয়ে মেয়ে শিশুর বয়স বাড়িয়ে বিয়ে দিতে পারছেন মা-বাবা। স্কুল খোলা অবস্থায় তাও সহপাঠীদের প্রতিরোধে অনেক বাল্যবিয়ে বন্ধ হয়েছে। কিন্তু স্কুল বন্ধ থাকায় এসবও হয়নি। ফলে অনেক শিশু না বুঝেই বাধ্য হয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছে। এতে করে তাদের প্রজনন স্বাস্থ্য যেমন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে তেমনি ভবিষ্যত প্রজন্মও শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে। নারীর ক্ষমতায়নের ওপর বর্তমান সরকার যে জোর দিচ্ছে তা সমূলেই বিনষ্ট হবে বলে আমি মনে করি।
অপর এক পরিসংখ্যা বলছে, বাংলাদেশে ৫৯ শতাংশ মেয়ের ১৮ আর ২২ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয় ১৫ বছরের আগে। বাল্যবিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। কিন্তু করোনা মহামারীর মধ্যে এদেশে ১৩ শতাংশ বাল্যবিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে যা বিগত ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এ ব্যাপারে ব্র্যাকের একটি গবেষণায় বলা হয়, করোনাকালে অভিভাবকের কাজকর্ম না থাকায় ভবিষ্যত দুশ্চিন্তার কারণে ৮৫ শতাংশ, সন্তানের স্কুল খোলার অনিশ্চয়তায় ৭১ শতাংশ এবং করোনা মহামারী দীর্ঘ স্থায়ী হওয়ার আশঙ্কায় অনিরাপত্তা বোধ এবং বিদেশ থেকে আসা ছেলে হাতের কাছে পাওয়ায় ৬২ শতাংশ বেড়েছে বাল্যবিয়ে। বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে, লকডাউনের ঘরের মধ্যে পরিচিত মানুষের মাধ্যমে শিশুরা যৌন হয়রানির শিকার হওয়াও বাল্যবিয়ের কারণ।
২০২০ সালে অক্টোবরে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে উত্থাপিত প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাকালে প্রথম তিন মাসে (মার্চ-জুন ২০২০) সারাদেশে ২৩১টি বাল্যবিয়ে হয়েছে এবং ২৬৬টি বাল্যবিয়ে ঠেকানো সম্ভব হয়েছে। সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বাল্যবিয়ে হয়েছে কুড়িগ্রাম, নাটোর, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলায়।
বিদেশ থেকে একটা বড়সংখ্যক প্রবাসী দেশে দীর্ঘ সময় আটকে থাকার কারণেও বাল্যবিয়ে বেড়েছে। বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলে এ পরিমাণ বেশি। দীর্ঘদিন পর শ্রেণীকক্ষে ফিরে ক্লাসের অন্তত ৩ জন সহপাঠীকে না পেয়ে সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী রূপা (ছদ্ম নাম) তাদের খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন। ৩ জনেরই লন্ডন থেকে আসা আত্মীয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়ে গেছে। মন খারাপ করে রূপা বলেন, এরকম তো হওয়ার কথা ছিল না। সবাই মিলে এখন আনন্দ করে ক্লাস করব তা না আমার ৩ বান্ধবী ঘর সংসার শুরু করে দিয়েছে।
হঠাৎ বাল্যবিয়ে বেড়ে যাওয়ার এটাকে একটা কারণ বলে মন্তব্য করেন সমাজকর্মী শাহনাজ বেগম। তিনি বলেন, বিগত কয়েক বছরে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে বাল্যবিয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছিল। কিন্তু করোনার এই দুই বছরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। বিদেশ থেকে যারা দেশে এসে আটকা পড়েছে এই সুযোগে বিয়ে করে ফেলতে চেয়েছে। আর অনেক মা-বাবাও মেয়ের ভবিষ্যত চিন্তা করে তাদের বিয়ের বয়স হওয়ার আগেই বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু এতে যে হিতে বিপরীত হতে পারে তা কেউ ভাবছে না।
এ ব্যাপারে মেরী স্টোপস বাংলাদেশের এ্যাডভোকেসি ও কমিউনেশন হেড মনজুন নাহার সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন তথ্য অনুযায়ী করোনাকালে প্রজনন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে অল্প বয়সে গর্ভধারণ, গর্ভপাত এবং অনিরাপদ সন্তান প্রসবের বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের মহামারী অবস্থার পরপরই গর্ভধারণ, বাচ্চা প্রসবের সংখ্যা এবং অনাকাক্সিক্ষত গর্ভধারণ ও অনিরাপদ গর্ভপাতের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পায় এবং এটি একটি সাধারণ প্রবণতা। তাই মহামারীর প্রথম থেকে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের সহযোগিতায়, বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি, মেরী স্টোপসসহ কয়েকটি সংস্থা নিরাপদ মাতৃত্ব, সন্তান ধারণ, পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহার এবং এই সংক্রান্ত যাবতীয় কর্মসূচী এবং তথ্যসেবাসমূহ নিশ্চিত করতে কাজ করছে। করোনার চিকিৎসা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য সেবা, প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা, এমনকি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা চরম ব্যাহত হয়েছে।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক কাজী মহিউল ইসলামের মতে, করোনাকালে সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে সেবা গ্রহণ অথবা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিবার পরিকল্পনা তথ্য সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। বর্তমান সময় বিবেচনায় পরিবার পরিকল্পনা সেবার মান উন্নয়নে এ্যাপস ভিত্তিক সেবার গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে হবে। মোবাইলের ব্যবহার বৃদ্ধি করে ডিজিটাল সেবায় দক্ষ করতে হবে সেবা গ্রহীতা ও সেবা প্রদানকারী উভয় পক্ষকেই। পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের সুখী পরিবার নামক কল সেন্টার ১৬৭৬৭ কল করে সরাসরি ডাক্তারের কাছ থেকে সেবা গ্রহণে গ্রামীণ নারীদের আগ্রহী করতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি বলেন, এ্যাপস ভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে স্বাস্থ্যকর্মীদেরও দক্ষ করতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
বাল্যবিয়ের প্রভাবক সম্পর্কে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের সর্বশেষ গবেষণায় উঠে এসেছে, অর্থনৈতিক অভাব, শিক্ষার অভাব, যৌতুক প্রথা, ইভটিজিং, অনিশ্চয়তা, অনিরাপত্তা, যৌন নির্যাতন-এসব বিষয় বাল্যবিয়ে প্রভাবক হিসাবে কাজ করে। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হওয়ায় দেশে নারীশিক্ষার প্রসার বেড়েছে। কিন্তু শুধু শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নতি হলেও বাকি বিষয়গুলোর কারণে নারীদের ভবিষ্যত যাত্রা অনেকাংশেই মুখ থুবড়ে পড়ছে।
বাল্যবিয়ের প্রভাব সম্পর্কে গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাঃ শিখা গাঙ্গুলি বলেন, বাল্যবিয়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা স্বাস্থ্যঝুঁকি। বাল্যবিয়ের সঙ্গে প্রজনন স্বাস্থ্য ও বয়ঃসন্ধির সম্পর্ক রয়েছে। দেশের নারীরা শুরু থেকেই অপুষ্টিজনিত রোগে ভুগছে। করোনাকালে তা আরও বেড়েছে এবং কোভিড-১৯ মহামারীকালে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও নারীর প্রতি সহিংসতা ও অপরিকল্পিত গর্ভধারণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাল্যবিয়ের কারণে নারীদের অপ্রাপ্ত বয়সে গর্ভধারণ, গর্ভপাত ও অনিরাপদ সন্তান প্রসবের ঘটনা বাড়ছে, সন্তান ও মায়ের অপুষ্টিজনিত রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা খুবই আশঙ্কার কারণ।