মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
প্রয়াত সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মহসিন আলীর ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাদ জোহর মৌলভীবাজারের দরগাহ মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। তার আগে হযরত সৈয়দ শাহ মোস্তফা (র.) দরগাহ প্রাঙ্গণে পুষ্পার্ঘ অপর্ণ করেন।
এ সময় শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মহসিন আলী ফাউন্ডেশন ও পরিবারের সদস্যরা, মেয়র ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে মৌলভীবাজার পৌরসভা, আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন।
দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশ গ্রহণ করেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সংসদ সদস্য নেছার আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, সহ-সভাপতি মশুদ আহমদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আকবর আলী, আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুর রহমান বাবুল প্রমুখ।
পুষ্পার্ঘ অর্পণ ও কবর জিয়ারতে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ মহসিন আলীর ভাই ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নওশের আলী খোকন, কনিষ্ঠ ভাই সৈয়দ সলমান আলী, বড় মেয়ে সৈয়দা শায়লা শারমিন, মেজো মেয়ে ও জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দা সানজিদা মহসিন, ছোট মেয়ে সৈয়দা সাবরিনা শারমিন, জেলা পরিষদ সদস্য সৈয়দা জেরিন আক্তারসহ অন্যান্যরা।
এছাড়াও জেলাসহ বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতারকর্মীরা পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন।
প্রসঙ্গত. সৈয়দ মহসিন আলী ১৯৪৮ সালের ১২ ডিসেম্বর কলকাতার আলীপুরে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবা সৈয়দ আশরাফ আলী। মা সৈয়দা আছকিরুনন্নেছা খানম। তারা ছিলেন ৬ ভাই এবং ১ বোন। তিনি ১৯৮১ সালে বিয়ে করেন। তার স্ত্রী সৈয়দা সায়রা মহসিন। যিনি পরবর্তীতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হোন।
সৈয়দ মহসিন আলী ১৯৮৪ সালে মৌলভীবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন। একাধারে ৩ বার তিনি পৌর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় ১৯৯২ সালে তাকে শ্রেষ্ঠ পৌরসভা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচন করে।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় নির্বাচনে মৌলভীবাজার-রাজনগর ৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হোন। তখন তিনি বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হোন। আবার ২০১৪ সালে দশম জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভের মধ্য দিয়ে তিনি সমাজকল্যাণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন। এবং দায়িত্বরত থাকাকালীন তিনি অসুস্থ হয়ে পরলে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। তিনি সিলেট বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী ছিলেন। ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত মৌলভীবাজার মহকুমা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১৭ সালে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হয়েছেন।