সদ্য অনুষ্ঠিত কথিত উপ-নির্বাচন বয়কট করায় সিলেট-৩ আসনের সর্বস্তরের জনতাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীদার। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্দেশনার আলোকে এই প্রহসনের নির্বাচন বয়কট করে দলীয় নেতাকর্মী ও দক্ষিণ সুরমা- ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলাবাসী প্রমাণ করেছে এই ফ্যাসীবাদী সরকার ও তাদের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে জনগণের আস্থা নেই।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী শাসনের নগ্ন থাবায় বিধ্বস্ত গণতন্ত্রকে জীবিত রাখতে একটি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বিএনপি এই সরকারের অধীনে বিগত নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। কিন্তু সরকার ও তাদের পুতুল নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা দেখাতে ব্যর্থ হয়ে সরকার দলের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে কাজ করেছে। যার ফলে বিএনপি এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে আর কোন নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই আলোকে সদ্য সমাপ্ত সিলেট-৩ আসনের উপ নির্বাচনেও বিএনপি অংশ গ্রহণ করেনি। এমনকি এই নির্বাচনে বিএনপির কোন পর্যায়ের দলীয় নেতাকর্মী কোন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেনি, ভোট কেন্দ্রেও যায়নি। বিএনপির দাবীর সাথে একাত্ম হয়ে সিলেট-৩ আসনের জনসাধারণও এই প্রহসনের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। যার সচিত্র প্রতিবেদন স্থানীয় ও জাতীয় অনলাইন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। জনগণ বিএনপির সিদ্ধান্তের প্রতি তাদের অকুন্ঠ সমর্থন প্রদান করেছে। গত প্রশ্নবিদ্ধ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী মাহমুদুস সামাদ চৌধুরী কয়েস পেয়েছিলেন ১ লাখ ৭০ হাজার ৫০৭ ভোট। এই উপ-নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হাবিব পেয়েছেন ৯০ হাজার ৬৪ ভোট। সরকারের হিসাবেই আওয়ামীলীগের ৮০ হাজার ৪৪৩ জন ভোটার প্রহসনের নির্বাচনে ভোট দিতে যায়নি। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে বিএনপির নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তের প্রতি দেশপ্রেমিক জনতার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। সিলেট-৩ আসনের ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা রইলো। ভবিষ্যতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে এই সমর্থন অব্যাহত রাখার জন্য দক্ষিণ সুরমা-ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। বিজ্ঞপ্তি