কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে দেড় বছর ধরে বন্ধ থাকা স্কুল খোলার ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার। জাতীয় পরামর্শ কমিটির সভার পর তাদের মতামত পেলে স্কুল খুলে দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এছাড়া শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা দেওয়ার পর অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়া হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মন্ত্রী।
শুক্রবার দুপুরে গাজীপুরে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীর ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার পর অক্টোবরের মাঝামাঝি বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হবে। আগামী সপ্তাহে জাতীয় পরামর্শ কমিটির সভা আহ্বান করা হয়েছে। সেখানে তাদের মতামত পেলে স্কুল খুলে দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে বিজ্ঞানসম্মতভাবে বলা হয়, আক্রান্তের হার ৫ শতাংশের নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যায়। সে পরিস্থিতি এখনো হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও শিক্ষক সমিতিসহ জাতীয় কমিটির সভা শেষে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। নয় দিন পর ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। দফায় দফায় ছুটি বাড়িয়ে চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।
প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর দুই দিন আগে গত বুধবার শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সব প্রস্তুতি তাদের আছে। করোনা পরিস্থিতি আর একটু নিয়ন্ত্রণে এলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হতে পারে। শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফেরাতে গত বৃহস্পতিবার সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে চারটি কর্মপরিকল্পনা আসে।
পরদিন গাজীপুরে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে সরকার।
দীপু মনি বলেন, গতকালই সবাইকে নিয়ে একটি যৌথ সভা করেছি। সেখানে আমরা কী করে আগামী এক মাসের মধ্যেৃ যত দ্রুত সম্ভব আমরা চেষ্টা করছি, আমাদের শিক্ষার্থীদের যারা ১৮ বছরের বেশি, যাদেরকে টিকা দেওয়া যাবে, তাদেরকে টিকা দেয়া শেষ করা। টিকা দেওয়ার পরে যেহেতু আরও সপ্তাহ দুয়েক লাগে ইমিউনিটি পেতে, একটা পর্যায়ে আসতে। অর্থাৎ আমরা অক্টোবরের মাঝামাঝির পরে আশা করছি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে খুলে দিতে পারব।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বিজ্ঞানসম্মতভাবে’ সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে নামলে তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে কীভাবে স্কুল খোলা যায়, সেজন্য সব বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনের শেখ রাসেল চত্বরে গাছের চারা রোপণ করেন দীপু মনি।