তাহিরপুর থেকে সংবাদদাতা :
তাহিরপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ভিজিএফ কার্ডধারী কৃষকদের কাছ থেকে চাল পরিবহনে খরচের কথা বলে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের কাউকান্দি গ্রামের ইসমাইল মিয়া, তাজুদ আলী, শান্ত, তারা মিয়া আবুল হোসেন, বড়দল গ্রামের সাঞ্জব উস্তার, রসুলপুর গ্রামের সোনা মিয়া সহ একাধিক গ্রামের শত-শত ভিজিএফ কার্ডধারী কৃষক অভিযোগ করে বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান আজর আলী পরিবহন খরচের কথা বলে ইউপি সদস্যদের দিয়ে ইউনিয়নের প্রত্যেক ভিজিডিধারী কৃষকদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ১ থেকে ২শ করে টাকা আদায় করেন। কিন্তু আমরা জানি পরিবহন খরচ সরকারীভাবে দেয়া হয়।
জানা যায়, চলতি বছর অকাল বন্যায় ফসল ডুবির পর কৃষকদের জরুরী ত্রাণ সহায়তা দিতে সরকার তাহিরপুর উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নে ১৫ হাজার কৃষক পরিবারকে নগদ ৫শ টাকা ও প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নে ২৬ শ ৫০ জন কৃষক পরিবারকে জরুরী ভিজিএফ সহায়তা দেয়া হয়। ইতি মধ্যে ৩ মাসের জরুরী ত্রান সহায়তা মধ্যে ১ম কিস্তির নগদ টাকা ও চাল গত জুন মাসে প্রথম সপ্তাহে দেয়া হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় কিস্তির নগদ ৫শ টাকা ও ৩০ কেজি চাল প্রদানের পূর্বে ভিজিএিফ এর চাল পরিবহন খরছের কথা বলে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের কাছ থেকে ইউপি মেম্বারদের মাধ্যমে টাকা আদায় করে ইউনিয় পরিষদ চেয়ারম্যান। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকার চলতি বছর ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক পরিবারের ভিজিএফ চাল পরিবহনের জন্য পরিবহন ভাড়া সরবরাহ করে থাকে।
দক্ষিন বড়দল ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন,ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাক্সের কথা বলে টাকা আদায় করা হয়েছিল । অনেকে টাকা দিতে চায় অনেকে চায়না তাই ফেরত দেয়া হচ্ছে।
দক্ষিন বড়দল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ আজর আলী বলেন, টাকা ফেরৎ দেয়া হয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি শুনেছি টাকা আদায় করা হয়েছে ,চেয়ারম্যানকে বলেছি টাকা ফেরৎ দেয়ার জন্য।