গোয়াইনঘাট থেকে সংবাদদাতা :
গোয়াইনঘাটে পান সুপারির বাগান ধ্বংস ও পরিবেশ বিনষ্ট করে জাফলংয়ের মন্দিরের জুম, জুমপার, নয়াবস্তি ও কান্দুবস্তি এলাকা থেকে অবৈধ পন্থায় পাথর উত্তোলন বন্ধ করতে প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময় পেরিয়ে গেলেও ভরাট হয়নি অবৈধ পাথর উত্তোলনের গর্ত। গত ২ জানুয়ারি মন্দিরের জুম এলাকায় অবৈধ পন্থায় পাথর উত্তোলনের সময় গর্তের পার ধসে পাঁচ শ্রমিক নিহত হওয়ার পর জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাথর উত্তোলনের গর্ত ভরাটের জন্য চারদিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। একই সাথে ওই এলাকা থেকে সকল প্রকার পাথর উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধ করতে লাল নিশান টাঙিয়ে দেন। প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময় শেষ হয়ে গেলেও গতকাল রবিবার পর্যন্ত একটি গর্তও ভরাট করা হয়নি।
এদিকে দুর্ঘটনায় পাঁচ শ্রমিক নিহতের ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ইমরান আহমদ দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ইকোলজিক্যাল ক্রিটিক্যাল এরিয়ার (ইসিএ) সীমানা নির্ধারণের উদ্বোধন শেষে তিনি ইসিএ’র অন্তর্ভূক্ত এলাকা সমূহ থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ করতে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশনা ও স্থানীয় সাংসদ ইমরান আহমদ’র কঠোর নিষেধাজ্ঞার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নয়াবস্তি ও কান্দুবস্তি এলাকার কয়েকটি গর্ত থেকে পুনরায় পাথর উত্তোলন করে আসছে একটি পাথর খেকো চক্র।
এ বিষয়ে গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ^জিত কুমার পাল বলেন মাটি চাপায় ৫ জন নিহতের ঘটনার পর পরই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪ দিনের মধ্যে (শনিবার পর্যন্ত) পাথর উত্তোলনের অবৈধ গর্ত সমূহ ভরাট করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও যে সকল মালিকরা গর্ত ভরাট না করে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নয়াবস্তি কান্দুবস্তি এলাকায় পুনরায় পাথর উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে অবগত নন বলেও জানান।