সিলেট নগরীর বাগবাড়িস্থ ছোটমণি নিবাস কেন্দ্রের আয়া সুলতানা ফেরদৌসী সিদ্দিকার হাতে খুন হওয়া ২ মাসের শিশু নাবিল হত্যাকান্ডের স্থান পরিদর্শন করলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। শনিবার (১৪ আগষ্ট) বেলা ১টায় সমাজ সেবা অধিদপ্তর পরিচালিত বাগবাড়িস্থ ছোটমণি নিবাস কেন্দ্রে যান তিনি। এ সময় তিনি উপ-পরিচালক নিবাস চন্দ্র এর এ হত্যাকান্ড ঘটনার বিবরণ জানতে খোঁজ খবর নেন।
মতবিনিময় ও পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন, পুণ্যভূমি সিলেটে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের ঘটনা খুবই দুঃখজনক এবং মর্মান্তিক যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আগষ্ট মাস হচ্ছে শোকের মাস, এই মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আর এই শোকের মাসে পরিবার পরিজন ছাড়া এতিম শিশুদের দেখাশোনার জন্য সিলেটে সরকারি প্রতিষ্ঠান ছোটমণি নিবাসে এ ধরনের একটি জঘন্য হত্যাকান্ড কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তিনি বলেন, দেশরত্ন জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় ও এতিম শিশুদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে সম্পূর্ণ খরচ বহণ করে যাচ্ছেন। তাদের বিভিন্ন ধরনের ভাতা দিয়েও স্বাবলম্বী করে যাচ্ছেন। ছোটমণি নিবাসে গত ২২ জুলাই এ হত্যাকান্ডটি ঘটনানো হলেও কর্তৃপক্ষ তা গোপন রেখেছেন। সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের অবহেলার কারণে এ ধরনের একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি মনে করেন। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের খোঁজে বের করার জন্য তিনি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি বলেন, আমরাও সন্তানের বাবা। আর একজন বাবা হিসেবে এই শিশুটির হত্যাকান্ড কোনভাবেই মেনে নিতে পারছি না। তাই আমি ও সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডিশনাল পিপি এডভোকেট সৈয়দ শামীম আহমদকে নিয়ে নিজ খরচে এই শিশু হত্যাকান্ডে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে মামলাটি পরিচালনা করবো।
ছোটমণি নিবাস পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর জগদ্বীশ চন্দ্র দাস, সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডিশনাল পিপি এডভোকেট সৈয়দ শামীম, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান, ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেক উদ্দিন তাজ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি