বাবরুল হাসান বাবলু তাহিরপুর থেকে :
পাহাড়ি ঢলের পানিতে তাহিরপুর সুামগঞ্জ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। বেকায়দায় সড়ক পথে যাতায়াতকারী পর্যটক ও লোকজন। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সড়ক পথে জেলা সদরের সাথে যোগাযোগ।
গত তিন চার দিনের ভারী বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলের পানিতে নদ দীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তাহিরপুর সুনামগঞ্জ সড়ক ও তাহিরপুর বাদাঘাট সড়কে বিভিন্ন স্থান দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বন্ধ রয়েছে তাহিরপুর উপজেলা সদর থেকে জেলা সদর ও উপজেলার আভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ।
লকডাউন খুলে দেয়ায় গতদু দিন ধরে প্রচুর পর্যটক আসছে টাঙ্গুয়া হাওরে। সড়কের একাধিক স্থানি দেয় পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবাহিত হওয়ায় পথে নানামুখি সমস্যায় পড়ছে যাতায়াতকারী লোকজন। তাহিরপুর সুনামগঞ্জ সড়কের দুর্গাপুর,শক্তিয়ারখলা ও আনোয়ারপুর সড়কে পানি থাকায় সরাসরি গাড়ি নিয়ে আসা যাওয়া করা যাচ্ছে না। ফলে এ সব স্থান নৌকায় পানি দিয়ে ভেঙ্গে ভেঙ্গে যে যার গন্তব্যে যাচ্ছে। বিশেষ করে বেশী বেকায়দায় পড়েছেন গাড়ি নিয়ে আসা লোকজন।
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থেকে টাঙ্গুয়া হাওর ঘুরতে আসা পর্যটক সাগর ভূঁইয়া জানান, পথে তিন স্থানে পানি । তাদের গাড়িটি বিশ^ম্বরপুর উপজেলা সদরে রেখে তাহিরপুর এসেছেন।
তাহিরপুর সুনামগঞ্জ সড়কের সিএনজি চালক উজান তাহিরপুর গ্রামের ঝিনুক মিয়া বলেন, আনোয়ারপুর ব্রীজের পূর্ব পাশে ও শক্তিয়ারখলা বাজারে পূর্ব পাশে সড়কের উপর দিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবাহিত হওয়ায় সিএনজি চালাতে পারছি না।
বর্তমানে স্থান দুটো নৌকা যোগে খুব কষ্ট করে লোকজন পারাপার হচ্ছেন।
যাদুকাটা নদীর পাথর ব্যাবসায়ী ও সীমান্ত গ্রাম লাউড়েরে গড়ের বাসিন্দা আলম সাবিবর বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে যে কোন সময় পাহাড়ি ঢল নামে। বার ঢলের পানি হুটহাট নদী তীরবর্তী গ্রামের ভেতর প্রবেশকরে। এতে নদী তীরবর্তী বালি পাথর ব্যাবসায়ীদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
তাছাড়া গত তিন চার দিনের বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলের পানিতে নদ নদী ও হাওরে পানি বেড়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আরো পানি বাড়বে বলে ধারনা স্থানীয় লোকজনদের।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রায়হান কবির জানান, তিন চার দিনের বৃষ্টিতে যাদুকাটা নদী দিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে এবং তিনি নিয়মিত খোঁজ খবর রাখছেন বলেও জানান।
