হেলেনা-পরীমনিসহ ৭ জনের মামলা তদন্তের দায়িত্ব চায় র‌্যাব

5

কাজিরবাজার ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের উপ-কমিটি থেকে বহিষ্কারের পর গ্রেফতার হেলেনা জাহাঙ্গীর এবং চিত্রনায়িকা পরীমনি ও প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ সাতজনের বিরুদ্ধে করা ১০ মামলার তদন্তের দায়িত্ব চেয়ে পুলিশ সদরদফতরে চিঠি দিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।
সোমবার (৯ আগষ্ট) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি র‌্যাবের অভিযানে গ্রেফতার হেলেনা জাহাঙ্গীর, শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান, মাসুদুল ইসলাম ওরফে জিসান, চিত্রনায়িকা পরীমনি ও তার ম্যানেজার সবুজসহ গ্রেফতার প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ, পরীমনির কথিত মামা ও সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুর বিরুদ্ধে দায়ের করা ১০ মামলার তদন্তের দায়িত্ব চেয়ে পুলিশ সদরদফতরে চিঠি দেয়া হয়েছে।
পুলিশ সদরদফতরের অনুমতি মিললে মামলাগুলো র‌্যাব দ্রুততা ও গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করবে বলে জানান তিনি।
আলোচিত-সমালোচিত এসব ব্যক্তির বাসা-অফিস থেকে বিদেশি মদ ও মাদকদ্রব্য উদ্ধারের কথা জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
র‌্যাবের দাবি, ৪ আগস্ট বিকেল থেকে রাত অবধি অভিযানে চিত্রনায়িকা পরীমনির বনানীর বাসা থেকে ১৯টি বিদেশি মদের বোতল, দেড় শতাধিক ব্যবহৃত মদের বোতল, ইয়াবা ও শিশা সামগ্রী, ভয়ঙ্কর মাদক এলএসডি (লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইথ্যালামাইড) ও আইস জব্দ করা হয়।
একই রাতে প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের বনানীর অফিস থেকে ইয়াবা ও মদ জব্দ করা হয় বলে র‌্যাব জানায়।
মামলায় বলা হয়, পরীমনি এসব মদ কবির নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে সংগ্রহ করে বাসায় রাখতেন।
একই মামলায় র‌্যাব দাবি করেছে, চিত্রনায়িকা পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, তিনি প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের কাছ থেকে মদ সংগ্রহ করতেন।
অপরদিকে র‌্যাবের দাবি, কথিত ব্যবসায়ী শরফুল হাসান ওরফে মিশুর বসুন্ধরা এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে সাত হাজার ২০০টি ইয়াবা জব্দ হয়। তার বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণে তিনটি মামলা হয়।
এছাড়া মাসুদুল ইসলাম ওরফে জিসানের বিরুদ্ধেও মাদক, বিশেষ ক্ষমতা, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়।
এসব অভিযানের আগে ২৯ জুলাই রাতে হেলেনা জাহাঙ্গীরের গুলশানের বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, বন্য প্রাণী নিয়ন্ত্রণ আইন ও প্রতারণার অভিযোগে ছয়টি মামলা হয়।