কাজিরবাজার ডেস্ক :
সিলেট বিভাগের সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলায় চালু হয়েছে ডিজিটাল রেকর্ড রুম। এ ব্যবস্থায় ঘরে বসেই অনলাইনে আবেদন এবং অনলাইনে ফি দেওয়ার পর নির্ধারিত সময় এবং নির্ধারিত স্থান থেকে খতিয়ানের সার্টিফাইড কপি নেওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
তিনি বলেন, আগামী ছয় থেকে সাত মাসের মধ্যে সারাদেশকে ডিজিটাল রেকর্ড রুমের আওতায় আনা হবে।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে ২১ জেলায় ডিজিটাল রেকর্ড রুমের নাগরিক সেবা ডিজিটাইজেশন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘পাইলটিং সফলভাবে বাস্তবায়ন হওয়ায় এটা এখন আর পাইলটিং পর্যায়ে নেই। নাগরিকের ব্যাপক সাড়া পাওয়ায় আজকে ২১ জেলার রেকর্ড রুমের সার্টিফাইড খতিয়ান দেওয়ার নাগরিক সেবা কার্যক্রমটি ডিজিটাল বা ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে চালু করা হলো। এখন থেকে এ জেলাগুলোতে সব ধরনের ম্যানুয়াল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
এছাড়া আগামী বছরের মধ্যে সারাদেশে ডিজিটাল রেকর্ড রুমের কাজ শেষ করা হবে। ডিজিটাল রেকর্ড রুম ব্যবস্থায় অনলাইনে আবেদন এবং অনলাইনে ফি দেওয়ার মাধ্যমে নির্ধারিত সময় এবং নির্ধারিত স্থান থেকে খতিয়ানের সার্টিফাইড কপি নেওয়া যাবে বলেও জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘সাইবার সিকিউরিটি একটা বড় ইস্যু, সেটার সঙ্গে একটা আমরা কমব্যাট করছি। এথিক্যাল হ্যাকার দিয়ে আন-এথিক্যাল হ্যাকারদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে আমরা দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেবো। নিরাপদভাবে মানুষ যাতে সার্টিফায়েড কপি পেতে পারেন সেটা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে বলেও জানান মন্ত্রী।
‘সবমিলিয়ে সারাদেশে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৯৮ লাখ ৫৮ হাজার ১১৩টি খতিয়ান অনলাইনে চূড়ান্তভাবে উন্মুক্ত করা হয়েছে। www.eporcha.gov.bd, www.land.gov.bd, www.dlsr.gov.bd, www.minland.gov.bd বা জাতীয় তথ্য বাতায়নের সব জেলা বাতায়নের ওয়েবসাইট থেকে নাগরিক অনলাইনে এ সেবাটি নিতে পারছে। ডিজিটাল রেকর্ড রুম কার্যক্রমের ভেন্ডর হিসেবে কারিগরি সহায়তা করেছে সফট বিডি লিমিটেড। ’
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রাথমিক পর্যায়ে ৬১ জেলায় জেলা তথ্যসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে রেকর্ড রুমের সেবা দেওয়া হতো। পরবর্তিতে ৪টি জেলায় ইলেক্ট্রনিক ল্যান্ড রেকর্ড সিস্টেম (ইএলআরএস) চালু করা হয়। ভূমি মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভূমি রেকর্ড ও মৌজা ম্যাপ ডিজিটাইজেশন প্রকল্পের মধ্যমে ৫৫টি জেলায় খতিয়ান ডিজিটাজেশন কার্যক্রম শুরু করা হয়।
ওই প্রকল্পের ডাটা এন্ট্রির জন্য এটুআই থেকে ডিজিটাল রেকর্ড রুম (ডিআরআর) নামে সিস্টেম তৈরি করে দেওয়া হয়। এছাড়া ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের ব্যবস্থাপনায় ৬টি জেলার ৪৬টি উপজেলায় ডিজিটাল অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (ডিএলএমএস) মাধ্যমে রেকর্ড ডিজিটাইজেশন কার্যক্রম চালু করা হয়।