কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে চলমান লকডাউনে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে প্রতিদিন। এরপরও মানুষের অবাদ চলাফেরায় বাড়ছে করোনা।
পুলিশের সহযোগিতায় প্রতিদিনই ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বেগম সোমাইয়া আক্তার।
অভিযানে সরকার কর্তৃক আরোপিত নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় উপজেলা চৌমুহনী, ভানুগাছ বাজার, শমশেরনগর ও মুন্সীবাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ও ২৬৯ এবং সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন ২০১৮ এর ২৪ (২) ধারা মোতাবেক ১২টি মামলায় ৪ হাজার ১শ’ টাকা অর্থদন্ড আদায় করা হয়।
এদিকে প্রতিদিন করোনার সংক্রমণ রোধ এবং সরকার ঘোষিত লকডাউন কার্যকরে মাঠে কাজ করে যাচ্ছে প্রশাসন। বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে অনেক এলাকায় ঘুরে দেখা যায় মধ্যবয়স্ক ও বয়স্করা লকডাউন এবং স্বাস্থ্যবিধি মানলেও কিছুটা মানতে নারাজ উঠতি বয়সের যুবকরা। তাদের দেখা যায় মাস্ক ছাড়া বাজারে, দোকানপাটে, এমনকি রাস্তায় ঘোরাফেরা করতে। প্রশাসন তাদের সাধ্যমতো দিনরাত চেষ্টা করে যাচ্ছে মানুষকে ঘরে রাখতে। কে শোনে কার কথা! নিজেদের একটু অবহেলার কারণে প্রতিদিন ১৫/২০ জন বা তার বেশি করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে এ উপজেলায়।
করোনা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে ধাবিত হওয়ায় সচেতন মানুষ চিন্তিত। করোনার উপসর্গ জ্বর কাশি ও সর্দি ছড়িয়ে পড়েছে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। হাসপাতালের আউটডোরে রোগীর প্রচন্ড ভিড় প্রতিনিয়ত। তাদের সামাল দিতে কর্তৃপক্ষ হিমসিম খেতে হচ্ছে। নমুনা পরীক্ষায়ও করোনা সনাক্তের হার আগের চেয়ে অনেক গুণ বেড়েছে। গ্রাম থেকে করোনা উপসর্গ নিয়ে আসা রোগী বা অন্যান্য রোগী সামাল দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে ডাক্তারদের।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা না থাকায় অনেকে হোম আইসোলেশন বেচে নিয়েছেন, আবার অনেক আত্বীয়স্বজন রোগী নিয়ে সিলেট হাসপাতালমুখী হচ্ছেন। আবার করোনা রোগীর সাথে পাল্লা দিয়ে দীর্ঘ হচ্ছে করোনায় মৃত্যুর মিছিলও।