কাজিরবাজার ডেস্ক :
ব্যাংক লেনদেনে যথাযথভাবে সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। বিশেষ করে জেলা, উপজেলা এবং থানা পর্যায়ে এ সমস্যা সবচেয়ে বেশি। এছাড়া এটিএম বুথেও একই পরিস্থিতি। অনেক এটিএম বুথের প্রবেশ মুখে হ্যান্ড স্যানিটাইজার নেই। টাকা তোলার লম্বা লাইনও কোথা কোথাও দেখা যাচ্ছে।
ফলে ব্যাংকে করোনাভাইরাস আক্রান্ত এবং শাখা লকডাউন অব্যাহত আছে। ইতিমধ্যে সিটি ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। সর্বশেষ মঙ্গলবারও সুনামগঞ্জে একজন ব্যাংক কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং সংশ্লিষ্ট শাখা লকডাউন করা হয়েছে।
এর আগে সোনালী ব্যাংকের রংপুর বাজার শাখার ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে সাতজনই জ্বর, সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত হন। এ অবস্থায় ওই শাখায় লেনদেনসহ সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সোনালী ব্যাংকের রংপুর প্রধান শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আবদুল বারেক চৌধুরী জানান, জ্বরে ভোগা সাতজনের ছয়জনই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গত বুধবার সকাল থেকে শাখার যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এর আগে ঢাকায় সোনালী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা করোনা আক্রান্তের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট শাখা লকডাউন করা হয়েছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের দুইজন ম্যানেজার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ব্যাংকারদের বিকল্প সেটে শাখা সচল রাখা হয়েছে।
জানতে চাইলে কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আলী হোসেন প্রধানিয়া বলেন, দুইজন ম্যানেজার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ এবং ময়মনসিংহের ওই দুই শাখা ব্যাংকারদের বিকল্প সেট দিয়ে সচল রাখা হয়েছে।
বেসরকারি ব্যাংকগুলোর অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী আক্রান্ত হয়েছেন। সাউথইস্টের বংশাল শাখা সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। এ শাখার লেনদেন এখন অনলাইনে চলছে। শাখাটির একজন পিয়ন এবং একজন সিকিউরিটি গার্ড আক্রান্ত হয়েছেন। তবে একজন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
অগ্রণী ব্যাংকের এক কমকর্তা আক্রান্তের খবরে প্রথমে প্রিন্সিপাল অফিস বন্ধ করলেও পরে তা খুলে দেয়া হয়েছে। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি আরও অনেক ব্যাংকের কর্মকর্তা করোনায় আক্তান্তের খবর পাওয়া গেছে।