স্টাফ রিপোর্টার :
শপিং মল থেকে শুরু করে পশুর হাট। সর্বত্রই থাকবে ক্রেতাদের ঢল। বেচাকেনা হবে কোটি কোটি টাকা। আর এ সুযোগ কাজে লাগাতে সক্রিয় জাল টাকার কারবারীরা। ঈদকে সামনে রেখে জাল টাকার একাধিক চক্র সক্রিয় হয়েছে। বাজার চাঙ্গা হলেই এসব টাকা ছড়িয়ে দিবে বাজারে। ক্রেতা সেজেই এসব টাকা ছড়িয়ে দেয় চক্রটি। তবে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, প্রতি বান্ডিল জাল টাকা তৈরি করতে চক্রটির খরচ পড়ে চার থেকে ৫ হাজার টাকা। প্রতি বান্ডিল পাইকারি দামে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে। পাইকাররা আবার এগুলোকে প্রান্তিক পর্যায়ের বিভিন্ন খুচরা বিক্রেতাদের কাছে প্রতি বান্ডিল ২০ থেকে ২২ হাজার টাকায় বিক্রি করে। যা রুট পর্যায়ের জাল টাকার কারবারিরা কখনো কখনো গহনাগাটি, কখনো কাপড় চোপড়, ভোজ্যপণ্য এমনকি পশুর হাটে গরু কিনতে গিয়ে বিক্রি করে ছড়িয়ে দেয়।
সূত্রে জানা গেছে, বছরজুড়ে জাল টাকা তৈরির সাথে জড়িত চক্রগুলো সক্রিয় থাকে। তবে কোরবানীর পশুর হাটকে সামনে রেখে বড় টার্গেট নিয়ে মাঠে নামে তারা। এ সময় মুদি দোকান থেকে শপিংমল, পশুরহাটসহ সবখানে থাকে উপচে পড়া ভিড়। আর এ সুযোগে জাল নোটগুলো মাঠে ছাড়ে প্রতারক চক্র। খালি চোখে দেখে বোঝারই উপায় নেই এগুলো জাল নোট। তবে এ প্রতারক চক্রটি ধরতে মাঠে সক্রিয় রয়েছে র্যাব, ডিবিসহ গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক টিম।
অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পশুর হাটে কোরবানীর পশু ক্রয়-বিক্রয়ের সময় ক্রেতা-বিক্রেতা সকলকে ‘জাল টাকা’র বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। হাটের আয়োজক, ইরাজাদার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মানুষকে সতর্ক করতে প্রচারণা চালাতে হবে এবং অপরাধীরা যাতে ভয় পায় সে ব্যবস্থা করতে হবে।
এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের বলেন, কোরবানীর পশুর হাট ঘিরে পুলিশের পক্ষ থেকে বাড়তি তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। জাল নোট শনাক্তের মেশিন স্থাপনসহ সতর্কতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।