কাজিরবাজার ডেস্ক :
পাকিস্তান থেকে আফগানিস্তানে ঢোকার চেষ্টাকালে পাকিস্তান সীমান্তরক্ষীদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের চামান শহরের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে গতকাল পাকিস্তানের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত ক্রসিং দখল করে তালেবান। পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ জানায়, আফগানিস্তানের সঙ্গে তারা স্পিন-বলদাক সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্পিন বলদাক সীমান্ত ক্রসিংটি ব্যবহার করে সরাসরি পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে প্রবেশ করা যায়। তালেবানের অনেক শীর্ষ নেতা বেলুচিস্তানে কয়েক দশক ধরে ঘাঁটি গেড়েছেন। সেখানে তালেবানের বহু যোদ্ধাও বসবাস করে।
রয়টার্স বলছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী তালেবান যোদ্ধারা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে থাকা আফগানিস্তানের সীমান্ত ক্রসিং ও চেক পোস্টগুলো দখলে নিচ্ছে। কারণ সীমান্ত ক্রসিং ও চেক পোস্টগুলো থেকে তাদের বড় অংকের রাজস্ব আদায় হবে, যার কোনোটিই আফগান সরকারের কোষাগারে যাবে না।
আফগানিস্তানে জোর করে প্রবেশ করার বিষয়ে চামান সীমান্তে দায়িত্বে থাকা এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে ৪০০ জনের মতো মানুষ জোর করে সীমান্ত পার হতে চায়। বাধা দিতে গেলে তারা অবাধ্য হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে তাদের লাঠিপেটা করা হয়। তবে ওই এলাকার পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছেন চামানের এক সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত এপ্রিলে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনাকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন। এরপর থেকে দেশটিতে সরকারি সেনা ও তালেবানের মধ্যে লড়াই বেড়ে গেছে। আফগানিস্তানে ২০ বছরের আগ্রাসন শেষে আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মার্কিন সেনাদের দেশটি ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যে তালেবানের দাবি, তারা আফগানিস্তানের প্রায় ৮৫ শতাংশ এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।