স্টাফ রিপোর্টার :
করোনাভাইরাসে গোপনে বিয়ে সেরে কনেকে নিয়ে ফিরছিলেন বর। তবে দক্ষিণ সুরমা হুমায়ুন রশীদ চত্বরে পৌঁছামাত্র বেরসিক পুলিশ আটকে দেয় বর-কনেবাহী গাড়ি। পরে নির্বাহী ম্যা্জেিস্ট্রট সেখানে গিয়ে লকডাউনের নির্দেশনা ভেঙ্গে বিয়ের দায়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে হুমায়ুন রশীদ চত্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বরপক্ষের লোকজনের দাবি, লকডাউন ঘোষণার আগেই বিয়ের তারিখ ধার্য্য করা হয়েছিল। তারিখ পেছাতে না পারায় তারা সীমিত পরিসরে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বর-কনেবাহী একটি মাইক্রোবাস হুমায়ূন রশিদ চত্বর এলাকায় আসলে পুলিশ গাড়িটি আটকায়। এ সময় নোহা মাইক্রোবাসে বসা ছিলে বর-কনেসহ ৯ যাত্রী। লকডাউন ভাঙার কারণ জিজ্ঞেস করলেও সদুত্তর দিতে পারেননি তারা। গাড়ির ভেতরে বর ও কনে দেখে খবর দেয়া হয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে। পরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বরপক্ষের লোকজন জানান, লকডাউনে সবধরণের সামাজিক অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা আছে সেটা তারা জানতেন। কিন্তু বিয়ের তারিখ আগেই নির্ধারিত থাকায় বিশেষ অসুবিধার কারণে তারা তারিখ পরিবর্তন করতে পারেননি। তাই সীমিত পরিসরে শুধু একটিমাত্র মাইক্রোবাস নিয়ে তারা কনেকে আনতে গিয়েছিলেন। এরমধ্যেই তারা ভ্রাম্যমান আদালতের মুখোমুখি হতে হয়েছে।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, কঠোর লকডাউন অমান্য করে বিয়ের আয়োজন করায় বরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে।
