স্টাফ রিপোর্টার :
সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন গতকাল শুক্রবার। সকাল থেকে মহানগরী এলাকাসহ ১৩ উপজেলায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী, র্যাব-পুলিশ, বিজিবি।
এছাড়াও সিলেটের প্রবেশদ্বার দক্ষিণ সুরমা, কুমারগাঁও ও বিমানবন্দর সড়কসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো হয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। জনগুরুত্বপূর্ণ কিছু পরিবহন ছাড়া আর কোনো যানবাহন চলতে দেওয়া হচ্ছে না। এতে রাস্তাঘাটে কমেছে মানুষের আনাগোনা, অনেকটা ফাঁকা অবস্থা। প্রয়োজন ছাড়া কোনো যানবাহন বা ব্যক্তিকে এক জায়াগা থেকে অন্য জায়গায় চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। এতে কেউ কেউ হেঁটেই রওনা দেন গন্তব্যে।
জানা গেছে, সিলেটের প্রশাসনের উদ্যোগে যথাযথভাবে লকডাউন পালন ও স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার সারাদিন ব্যাপী সিলেট মহানগর ও সকল উপজেলায় ৩৩ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট একযোগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে ১৭২ টি মামলা ও ২ লাখ ৬’শ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া লকডাউনে বিধি নিষেধ অমান্য করায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সিলেট মহানগর পুলিশ নগরীর বিভিন্ন স্থানে এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর উপস্থিতিতে সর্বমোট ২৫ জনকে ১১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ সময় পুলিশের অভিযানে সিএনজি অটোরিক্সা ৯ টি, মোটরসাইকেল ৩০টি, প্রাইভেট কার ২টি ও অন্যান্য ৭ টি মামলাসহ সর্বমোট ৪৮টি মামলা করা হয়। এবং সিএনজি অটোরিক্সা ১৮ টি, মোটরসাইকেল ৫৯ টি, প্রাইভেট কার ৩ টি, অন্যান্য ২৪টি সহ মোট ১০৪ টি গাড়ি আটক করে পুলিশ।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক দল লকডাউন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। টহল পুলিশের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। সেই সাথে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে মাঠে কাজ করে যাচ্ছে একাধিক টিম। কেউ লকডাউন না মেনে বাহির হলে তার বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে জরিমানার পাশাপাশি আইনী ব্যবস্থা।