বিএনপির জাতীয় নিবার্হী কমিটির সদস্য ও বিগত একাদশ সংসদ নির্বাচনে ছাতক দোয়ারা বাজার সুনামগঞ্জ- ৫ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, প্রবাসে থাকলেও দেশের প্রতি ভালবাসা ও দায় এড়াতে পারেন না প্রবাসীরা। তাই করোনার দুর্যোগে মোকাবেলায় কাজ করছেন প্রবাসীরা। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে আছেন সিলেটের প্রায় প্রতিটি এলাকার মানুষজন। এই দুর্যোগ মুহূর্তে প্রবাসে থেকেও দেশের মানুষদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন প্রবাসীরা। কোনো ফায়দা হাসিলের জন্য নয়, শুধুমাত্র নিজ এলাকার মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে ভালবাসার তাগিদে নিজেরা বিপদে থেকেও দেশের মানুষকে সাহায্য করছেন। করোনার এই দুর্যোগে তাদের মত সবাইকে মানুষের পাশে সবাইকে দাঁড়াতে হবে।
শনিবার (২ মে) প্রবাসী ও স্থানীয় বিএনপি নেতাদের অর্থায়নে ছাতক উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের সময় তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, সমাজের বিত্তশালীরা এগিয়ে এলে আমরা এই দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে পারব সহজে। কর্মহীন সহায় মানুষদের এই দুর্যোগে প্রবাসীরা যে ভূমিকা পালন করছেন তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, অসহায় মানুষদের ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিন। আক্রান্তদের সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করুন। পেটে খাবার না থাকলে মানুষকে ঘরে রাখা সম্ভব হবেনা। অসহায় মানুষদের সঠিক ভাবে সরকারী ত্রাণের আওতায় নিয়ে আসুন।
দেশের যেকোন দুর্যোগে প্রবাসীরা এগিয়ে আসেন, এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র মিশিগান স্টেট এর সাবেক কাউন্সিলর বৃক্ষ প্রেমী কাজী মকসুদ মিয়া, মুক্তিরগাঁও নিবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আশরাফুল আলম, যুক্তরাজ্য প্রবাসী রাজু ইসলাম ও সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক কামাল হুসেন তালুকদার এর অর্থায়নে ছাতক উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের সিংচাপইড় ইউনিয়নে ৪ নং ওয়ার্ডের কামারগাও বাজার সংলগ্ন মাঠ, কালারুকা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের তাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ ও ৯নং ওয়ার্ডের রায়ত গ্রাম, সিংচাপইড় ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের খাশগাও গ্রাম ও দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের চেচান মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠের পৃথক পৃথক স্থানে এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এসময় মিজান চৌধুরী বলেন, করোনা ভাইরাসে ভয়াবহতা প্রতিদিন বেড়ে চলেছে, দীর্ঘ লকডাউনে কর্মহীন মানুষ পড়েছেন বিপাকে, ঘরে ঘরে দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্য সংকট। লকডাউনের শুরু থেকে আমি ছাতক-দোয়ারার ২২ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার কর্মহীন, অসহায়, দরিদ্র মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি। এখনও খাদ্য বিতরণ অব্যাহত রেখেছি।
তিনি বলেন, এসব অসহায় মানুষদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন প্রবাসীরাও, পিছিয়ে নেই আমাদের স্বানীয় নেতাকর্মীরাও। যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী তারাও সাহায্য করে যাচ্ছেন। এভাবে সবাই মিলে সহযোগিতা করলে আমরা এই দুর্যোগ কাটিয়ে উটতে পারবো। বিজ্ঞপ্তি