স্টাফ রিপোর্টার :
মহামারি করোনা ভাইরাসে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ১৮ ব্যক্তিকে সাড়ে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে র্যাব-৯ ও জেলা প্রশাসকের ভ্রাম্যমান আদালত। গত ২২ ও ২৪ জুন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত যৌথভাবে পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে এ টাকা জরিমানা করা হয়।
র্যাব জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টা হতে বিকেল ৬টা পর্যন্ত র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৯, সিপিএসসি (ইসলামপুর ক্যাম্প) এর একটি আভিযানিক দল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সামিউল আলম ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার লুৎফর রহমান এবং মোঃ মেজবাহ উদ্দিন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সিলেট এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ কোতয়ালী থানা এলাকায় স্বাস্ব্য বিধি সঠিকভাবে না মানায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে ৫ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। তারা হচ্ছেন, মোঃ ফখরুল হুদা ২০ হাজার টাকা, তনয় দাসকে ৫ হাজার টাকা, পলাশ দাসকে ৫ হাজার টাকা, আহমদ আলীকে ৮ হাজার টাকা ও শিব্বির আহমদকে ১৫ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ৫৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ঔষধ আইন ২০১৮ এর (অ), ১৮(ক), ১৮(ক)(গ) ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় এবং জরিমানাকৃত অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা প্রদান করা হয়েছে।
এদিকে ২২ জুন সকাল সাড়ে ১১টা হতে বিকেল পৌনে ৪টা পর্যন্ত র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৯, সিপিএসসি (ইসলামপুর ক্যাম্প) এর একটি আভিযানিক দল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সামিউল আলম ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার লুৎফর রহমান এবং মোঃ মেজবাহ উদ্দিন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সিলেট এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসারফোর্সসহ দক্ষিণ সুরমা থানার এলাকায় স্বাস্ব্য বিধি সঠিকভাবে না মানায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে ১৩ জন ব্যক্তিকে জরিমানা করা হয়। তারা হচ্ছেন, আব্দুস সালাম ৩ হাজার টাকা, মোঃ জীবন মিয়াকে দেড় হাজার টাকা, লিটন আহমদকে আড়াই হাজার টাকা, সাদেক মিয়াকে ২ হাজার টাকা, সাদেক হোসেনকে ৫ হাজার টাকা, সাইফুল ইসলামকে ১ হাজার টাকা, আব্দুল হালিমকে ৫শ’ টাকা, বাচ্চু মিয়াকে ১ হাজার টাকা, দুলাল ঘোষকে ৩ হাজার টাকা, মাহফুজ আহমদকে ৫শ’ টাকা, রফিকুল ইসলামকে ৪ হাজার টাকা, মাসুদ আহমদকে ২ হাজার টাকা ও খালেদ আহমদকে দেড় হাজার টাকাসহ সর্বমোট সাড়ে ২৭ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দন্ড বিধি আইনের ১৮৬০ সনের ২৬৯ ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় এবং জরিমানাকৃত অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা প্রদান করা হয়েছে।