করোনার দুঃসহ সংক্রমণে জনজীবন বিপর্যস্ত প্রায়। সামগ্রিক কর্মকাণ্ডে স্থবিরতার বোঝা চেপে বসেছে। সেটা শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বও এমন ক্রান্তিকাল পার করছে। এই রকম মহাদুর্বিপাকে উন্নয়নের গতিশীল চাকা হোঁচট খেলেও থেমে থাকেনি। বছর ঘুরতেই করোনা সংক্রমণের মধ্যেও প্রবৃদ্ধির যে চিত্র উঠে এসেছে তা যেমন উৎসাহব্যঞ্জক, একইভাবে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রায় এগিয়ে যাওয়ার উন্নয়ন কার্যকাণ্ড মাইলফলকও বটে। আর এই উন্নয়নের গন্তব্যে পৌঁছতে হরেক রকম সূচকের বাস্তবায়নের পথযাত্রা ক্রমশই দৃশ্যমান হচ্ছে। এসডিজি বাস্তবায়নে এগিয়ে থাকা বিশ্বের তিনটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ নজরকাড়া অবস্থায় দৃশ্যমান। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নেও বাংলাদেশ জোর কদমে এগিয়ে চলেছে। দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি এবং উন্নয়ন অগ্রগাতিমায় বাংলাদেশ যে যোগ্যতা এবং সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে, তাও অতুলনীয়। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) নিয়মিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী দেশের এই অনন্য অর্জনের দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করে বর্তমান সরকারের নতুন কর্মোদ্দীপনার নজির হিসেবে মূল্যায়ন করেন। মুজিববর্ষ উপলক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রকাশিত স্মারকগ্রন্থ ‘দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বঙ্গবন্ধু’-এর মোড়ক উন্মোচন করতে গিয়ে দেশের এই অনন্য অভিগমনের ওপর প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ অভিমত ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ অদম্য কর্মসক্ষমতায় টেকসই উন্নয়নের গন্তব্যে যেভাবে ধাবিত হচ্ছে, তার সুফল আমাদের বিশ্ব কাতারে শীর্ষে নিয়ে যেতে খুব বেশি সময় নেবে না। নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় মাতৃভূমি এবং সাধারণ মানুষের কল্যাণে যা যা করণীয় সবটা করতে বর্তমান সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। শুধু সরকার নয়, সকলে মিলে মিশে কর্মপরিকল্পানায় যুক্ত হয়ে আন্তরিক প্রচেষ্টার সুফল এই উন্নত বাংলাদেশ। সারা বিশ্ব যখন করোনার নৃশংস ছোবলে স্থবিরতার কঠিন সময় অতিবাহিত করছে, তখন বাংলাদেশ উন্নয়নের ক্রমবর্ধমান যাত্রায় এগিয়ে যাওয়ার চিত্রও আমাদের অনেকটা স্বস্তি আর আশ্বস্ত করছে। শুধু করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে বাংলাদেশ তার সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে মোটেও দেরি করেনি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আরও বহু দূরের পথ পাড়ি দিতে হবে আমাদের। তেমন লক্ষ্যমাত্রাও বাংলাদেশের কর্মপরিকল্পনায় নির্দেশিত হয়ে আছে।