স্টাফ রিপোর্টার :
শ্রীশ্রী জগন্নাথদেব, বলদেব ও শুভদ্রা মহারাণীর রথযাত্রা মহোৎসব আগামী ১২ জুলাই প্রথম শুরু হবে। এ উপলক্ষে সিলেট দেবালয় রথযাত্রা উদযাপন কমিটির উদ্যোগে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই মতবিনিময় সভা নগরীর লামাবাজারস্থ শ্রীশ্রী কৃষ্ণ-বলরাম জিউর আখড়ায় গতকাল শুক্রবার সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শান্তনু দত্ত সন্তু।
মতবিনিময় সভার শুরুতেই সিলেট দেবালয় রথযাত্রা উদযাপন কমিটির সদস্য হীরেন সিংহ, বাবু সানা রাজ কুমার, হিজম রঘু সিংহ ও নরেশ চন্দ্র সিংহ প্রয়াত হওয়ায় তাঁদের আত্মার চিরকল্যাণ ও চিরশান্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট দেবালয় রথযাত্রা উদযাপন কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ড. দীলিপ কুমার দাশ চৌধুরী অ্যাডভোকেট।
মতবিনিময় সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিলেট নগরীর রিকাবীবাজারস্থ ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা প্রাঙ্গণ সঠিক ভাবে সংরক্ষণ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করা, রথযাত্রা উৎসবে অনুদান প্রাপ্তির আলোচনা করা এবং এবার বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের সময়ে রথযাত্রা টেনে নিয়ে রিকাবীবাজার প্রাঙ্গণে নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সিলেট দেবালয় রথযাত্রা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রী নৃপেন্দ্র সিংহ, অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উত্তম সিংহ রতন, সময় টিভির সাংবাদিক দিগেন সিংহ, কালা শর্মা, শ্যামল সিংহ, আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ ইসকন সিলেট-এর ইয়ুথ ফোরামের কো-অর্ডিনেটর দেবর্ষি শ্রীবাস দাস ব্রহ্মচারী, আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ ইসকন সিলেট-এর প্রচার বিভাগের প্রধান সিদ্ধ মাধব দাস, প্রশান্ত সিংহ, সুরজিত সিংহ, শংকর সিংহ, মিন্টু সিংহ, রতন সিংহ, নীলকান্ত সিংহ, ক্ষীর সিংহ, দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সজল ঘোষ, পুরী দাস সিংহ প্রমুখ। সমস্ত মতবিনিময় অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সমেন্দ্র সিংহ।
উল্লেখ্য, আগামী ১২ জুলাই সোমবার প্রথম রথযাত্রা ও ২০ জুলাই মঙ্গলবার উল্টো রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছর অর্থাৎ ২০২০ইং বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে কীর্ত্তন সহকারে রথ টেনে নিয়ে যাওয়া হয়নি রিকাবীবাজারস্থ রথযাত্রা প্রাঙ্গনে। তবে প্রতিটি মন্দির ও দেবালয়ে সনাতন ধর্মীয় নিয়ম-নীতি ও আচার-অনুষ্ঠান যথাযথ ভাবে পালিত হয় সরকার কর্তৃক স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব মেনে।